শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড বাবার

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময় : ১১:২১:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ২৩

ছবি-আরটিভি

ফরিদপুরে মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া আরও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে তাকে। রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শামীমা পারভীন এ আদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুর জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি গোলাম রাব্বানী ভূঁইয়া।

রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাকে জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এ মামলার বাদী মেয়ের মা।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালে আসামির সঙ্গে বিয়ে হয় বাদীর (৩৯)। তাঁদের দুটি মেয়ে সন্তান হয়। ২০২০ সালে ওই দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদ হয়। দুই মেয়ে মাঝেমধ্যে বাবার কাছে ও মাঝেমধ্যে মায়ের কাছে গিয়ে থাকত। বড় মেয়ে (১৫) যখন বাবার বাড়িতে এসে থাকত, তখন বাবা তাকে ধর্ষণ করতেন। আত্মীয়স্বজনকে এ কথা বললে প্রথম অবস্থায় কেউ বিশ্বাস করেনি। ২০২১ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত দুই বছর মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হয়। ২০২৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি সর্বশেষ ধর্ষণের ঘটনা ঘটলে মেয়ে তাৎক্ষণিক মাকে বিষয়টি জানায়। পরে ডাক্তারি পরীক্ষায় সত্যতা পাওয়া যায়। এ ঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে ২০২৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সাবেক স্বামীকে আসামি করে মেয়ের ধর্ষণের অভিযোগে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করেন। ২০২৩ সালের ২৪ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

এ বিষয়ে ফরিদপুর জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি গোলাম রাব্বানী ভূঁইয়া বলেন, আদালতে ওই ব্যক্তির অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় এ রায় দেওয়া হয়েছে। এটি একটি ন্যক্কারজনক ঘটনা। বাবার কাছে যদি মেয়ের নিরাপত্তা না থাকে, তাহলে এ সমাজ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে। এ রায় একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। –আরটিভি

জনপ্রিয়

যশোরে ধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে মানববন্ধন

মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড বাবার

প্রকাশের সময় : ১১:২১:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ফরিদপুরে মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া আরও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে তাকে। রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শামীমা পারভীন এ আদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুর জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি গোলাম রাব্বানী ভূঁইয়া।

রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাকে জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এ মামলার বাদী মেয়ের মা।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালে আসামির সঙ্গে বিয়ে হয় বাদীর (৩৯)। তাঁদের দুটি মেয়ে সন্তান হয়। ২০২০ সালে ওই দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদ হয়। দুই মেয়ে মাঝেমধ্যে বাবার কাছে ও মাঝেমধ্যে মায়ের কাছে গিয়ে থাকত। বড় মেয়ে (১৫) যখন বাবার বাড়িতে এসে থাকত, তখন বাবা তাকে ধর্ষণ করতেন। আত্মীয়স্বজনকে এ কথা বললে প্রথম অবস্থায় কেউ বিশ্বাস করেনি। ২০২১ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত দুই বছর মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হয়। ২০২৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি সর্বশেষ ধর্ষণের ঘটনা ঘটলে মেয়ে তাৎক্ষণিক মাকে বিষয়টি জানায়। পরে ডাক্তারি পরীক্ষায় সত্যতা পাওয়া যায়। এ ঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে ২০২৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সাবেক স্বামীকে আসামি করে মেয়ের ধর্ষণের অভিযোগে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করেন। ২০২৩ সালের ২৪ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

এ বিষয়ে ফরিদপুর জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি গোলাম রাব্বানী ভূঁইয়া বলেন, আদালতে ওই ব্যক্তির অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় এ রায় দেওয়া হয়েছে। এটি একটি ন্যক্কারজনক ঘটনা। বাবার কাছে যদি মেয়ের নিরাপত্তা না থাকে, তাহলে এ সমাজ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে। এ রায় একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। –আরটিভি