বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্কুলছাত্রী নিয়ে শিক্ষক উধাও, শিক্ষকের ছেলের পোস্ট ফেসবুকে ভাইরাল

ছবি-সংগৃহীত

বরগুনার আমতলীতে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে নিয়ে উধাও হয়েছেন নিয়াজ মোর্শেদ নাদিম (৪০) নামে এক স্কুলশিক্ষক। এ ঘটনার পর ওই শিক্ষকের ৮ বছরের ছেলে আবেগঘন পোস্ট দেওয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে গেছে।

জানা গেছে, গত ১৭ সেপ্টেম্বর বুধবার আমতলী পৌরসভার প্রাণিসম্পদ অফিসপাড়া এলাকার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. মজিবর রহমান ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা নার্গিস বেগমের ছেলে নাদিম দীর্ঘদিন ধরে বাসায় শিক্ষার্থীদের আইসিটি বিষয়ে প্রাইভেট পড়াতেন। এ সময়  স্থানীয় একটি বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে রেখে গোপনে ওই ছাত্রী নিয়ে উধাও হন তিনি।

ফেসবুক পোস্টে শিশু আরহাম তার বাবাকে উদ্দেশ করে লিখেছে— বাবা, তুমি তো অনেক সুখে আছো, তাই না? কিন্তু আমাদের এ কেমন জীবনে রেখে গেলে?

আরহাম আরও লেখে- জন্মের পর থেকে আমাকে নিয়ে তুমি কোলে কোলে ঘুরাতে, আবদার না করলেও সবকিছু এনে দিতে। এখন আমরা দুই ভাইবোন হাত ধরে রাস্তায় ঘুরি, কিছু চাইতে আর মুখ খুলি না। তুমি তো মারা যাওনি বাবা, তাহলে হারিয়ে গেলে কেন?

নিজেদের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আরহাম লেখে- আমরা কী খাব, কিভাবে পড়াশোনা করব, তুমি কি একবারও ভাবনি? দোয়া করি বাবা, পৃথিবীটা যেন তোমার কাছে জান্নাত হয়ে যায়।

জনপ্রিয়

তারেক রহমান মঞ্চে একাই বক্তব্য রাখবেন

স্কুলছাত্রী নিয়ে শিক্ষক উধাও, শিক্ষকের ছেলের পোস্ট ফেসবুকে ভাইরাল

প্রকাশের সময় : ০৮:২৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫

বরগুনার আমতলীতে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে নিয়ে উধাও হয়েছেন নিয়াজ মোর্শেদ নাদিম (৪০) নামে এক স্কুলশিক্ষক। এ ঘটনার পর ওই শিক্ষকের ৮ বছরের ছেলে আবেগঘন পোস্ট দেওয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে গেছে।

জানা গেছে, গত ১৭ সেপ্টেম্বর বুধবার আমতলী পৌরসভার প্রাণিসম্পদ অফিসপাড়া এলাকার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. মজিবর রহমান ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা নার্গিস বেগমের ছেলে নাদিম দীর্ঘদিন ধরে বাসায় শিক্ষার্থীদের আইসিটি বিষয়ে প্রাইভেট পড়াতেন। এ সময়  স্থানীয় একটি বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে রেখে গোপনে ওই ছাত্রী নিয়ে উধাও হন তিনি।

ফেসবুক পোস্টে শিশু আরহাম তার বাবাকে উদ্দেশ করে লিখেছে— বাবা, তুমি তো অনেক সুখে আছো, তাই না? কিন্তু আমাদের এ কেমন জীবনে রেখে গেলে?

আরহাম আরও লেখে- জন্মের পর থেকে আমাকে নিয়ে তুমি কোলে কোলে ঘুরাতে, আবদার না করলেও সবকিছু এনে দিতে। এখন আমরা দুই ভাইবোন হাত ধরে রাস্তায় ঘুরি, কিছু চাইতে আর মুখ খুলি না। তুমি তো মারা যাওনি বাবা, তাহলে হারিয়ে গেলে কেন?

নিজেদের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আরহাম লেখে- আমরা কী খাব, কিভাবে পড়াশোনা করব, তুমি কি একবারও ভাবনি? দোয়া করি বাবা, পৃথিবীটা যেন তোমার কাছে জান্নাত হয়ে যায়।