বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শ্বশুরের কোদালের আঘাতে জামাইয়ের মৃত্যু

প্রতীকী ছবি

পটুয়াখালীতে পারিবারিক বিরোধের জেরে শ্বশুরের কোদালের আঘাতে জামাই নিহত হয়েছেন। সোমবার (২০ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার ছোটবিঘাই ইউনিয়নের হরতকিবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের নাম অভিনাশ চন্দ্র দাস (২৮)। তিনি সদর উপজেলার লাউকাঠী ইউনিয়নের ঢেউখালি গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কিছুদিন আগে অভিনাশ শ্বশুরবাড়িতে কিছু নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার জমা রাখেন। সোমবার বিকেলে স্ত্রী মনিকা দাসকে সঙ্গে নিয়ে তিনি শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে সেই অর্থ ও গহনা ফেরত চান।

এ সময় শ্বশুর শান্তি দাস (৫৫), শ্যালক হৃদয় দাস ও স্ত্রী মনিকা দাসের সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে শ্বশুর কোদাল দিয়ে অভিনাশের মাথায় আঘাত করলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। ঘটনার পরপরই শ্বশুর শান্তি দাস, শ্যালক হৃদয় দাস ও স্ত্রী মনিকা দাসসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা পালিয়ে যান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

এ বিষয়ে পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

তিনি আরও বলেন, আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

জনপ্রিয়

মার্কিন এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত

শ্বশুরের কোদালের আঘাতে জামাইয়ের মৃত্যু

প্রকাশের সময় : ০১:৩৩:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

পটুয়াখালীতে পারিবারিক বিরোধের জেরে শ্বশুরের কোদালের আঘাতে জামাই নিহত হয়েছেন। সোমবার (২০ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার ছোটবিঘাই ইউনিয়নের হরতকিবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের নাম অভিনাশ চন্দ্র দাস (২৮)। তিনি সদর উপজেলার লাউকাঠী ইউনিয়নের ঢেউখালি গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কিছুদিন আগে অভিনাশ শ্বশুরবাড়িতে কিছু নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার জমা রাখেন। সোমবার বিকেলে স্ত্রী মনিকা দাসকে সঙ্গে নিয়ে তিনি শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে সেই অর্থ ও গহনা ফেরত চান।

এ সময় শ্বশুর শান্তি দাস (৫৫), শ্যালক হৃদয় দাস ও স্ত্রী মনিকা দাসের সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে শ্বশুর কোদাল দিয়ে অভিনাশের মাথায় আঘাত করলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। ঘটনার পরপরই শ্বশুর শান্তি দাস, শ্যালক হৃদয় দাস ও স্ত্রী মনিকা দাসসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা পালিয়ে যান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

এ বিষয়ে পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

তিনি আরও বলেন, আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।