সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ক্ষেতলালে ঐতিহ্যবাহী পাখি তলার মেলা, উৎসবে মুখর আয়মাপুর গ্রাম

ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি:

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার আয়মাপুর গ্রামে আজ ১৫ (নভেম্বর) শনিবার  অনুষ্ঠিত হচ্ছে একদিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী পাখি তলার মেলা, যা স্থানীয়দের কাছে জামাই মেলা নামেও সুপরিচিত। বহু প্রাচীন এই মেলাকে ঘিরে সকাল থেকেই গ্রামজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশ। দূরদূরান্ত থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানুষজন ভিড় করছেন মেলাপ্রাঙ্গণে।

মেলায় শিশু-কিশোরদের বিনোদনের জন্য উঠেছে রঙিন নাগরদোলা, চড়কি ও বিভিন্ন রাইড। তাদের উচ্ছ্বাসে মেলার চারদিক আরও প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি বসেছে হস্তশিল্পের পসরা—কাঠ, বাঁশ, মাটির তৈরি খেলনা, ঘর সাজানোর সামগ্রী, বাঁশের ডালি-চালনি, নানান ব্যবহার্য জিনিসপত্র। রঙিন মিঠাই, জিলাপি, ছানামিঠাইসহ ঘরোয়া মিষ্টির গন্ধে মেলার চারপাশ সরব।

মেলার অন্যতম আকর্ষণ ছিল গ্রামের ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা। স্থানীয় লাঠিয়াল দলের মনোমুগ্ধকর প্রদর্শনী দেখতে ভিড় জমিয়েছে উৎসুক জনতা। প্রবীণদের মতে, এ ধরনের আয়োজন গ্রামবাংলার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

আইমাপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের বাপ-দাদারা এই মেলা করে গিয়েছেন, পর্যায়ক্রমে আমরা করছি। আগামীতে আমাদের সন্তানরা করবে। ১০০ বছরেরও অধিক সময় ধরে এ মেলা হয়ে আসছে। মেলার প্রধান আকর্ষণ গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের লাঠি খেলা। মেলার দিনে এ গ্রামের ধনী থেকে গরিব সকলেই জামাইদের আমন্ত্রণ করেন এ কারণে এই মেলাটি জামাই মেলা নামেও পরিচিত।

দিনব্যাপী আয়োজিত এই মেলায় সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। গান, নাচ আর নানা পরিবেশনায় মুখর হয়ে উঠবে সমগ্র মেলাপ্রাঙ্গণ।

উৎসব-উদ্দীপনা, পারিবারিক মিলন আর গ্রামীণ ঐতিহ্যের মিলনে আয়মাপুরের পাখি তলার মেলা আজও গ্রামবাংলার সংস্কৃতির এক জীবন্ত প্রতিচ্ছবি।

জনপ্রিয়

সিরাজগঞ্জে চেম্বার নির্বাচন ঘিরে সরব প্রচারণা, প্রাথমিক জরিপে এগিয়ে সাত্তার

ক্ষেতলালে ঐতিহ্যবাহী পাখি তলার মেলা, উৎসবে মুখর আয়মাপুর গ্রাম

প্রকাশের সময় : ০৭:৩৪:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫

ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি:

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার আয়মাপুর গ্রামে আজ ১৫ (নভেম্বর) শনিবার  অনুষ্ঠিত হচ্ছে একদিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী পাখি তলার মেলা, যা স্থানীয়দের কাছে জামাই মেলা নামেও সুপরিচিত। বহু প্রাচীন এই মেলাকে ঘিরে সকাল থেকেই গ্রামজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশ। দূরদূরান্ত থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানুষজন ভিড় করছেন মেলাপ্রাঙ্গণে।

মেলায় শিশু-কিশোরদের বিনোদনের জন্য উঠেছে রঙিন নাগরদোলা, চড়কি ও বিভিন্ন রাইড। তাদের উচ্ছ্বাসে মেলার চারদিক আরও প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি বসেছে হস্তশিল্পের পসরা—কাঠ, বাঁশ, মাটির তৈরি খেলনা, ঘর সাজানোর সামগ্রী, বাঁশের ডালি-চালনি, নানান ব্যবহার্য জিনিসপত্র। রঙিন মিঠাই, জিলাপি, ছানামিঠাইসহ ঘরোয়া মিষ্টির গন্ধে মেলার চারপাশ সরব।

মেলার অন্যতম আকর্ষণ ছিল গ্রামের ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা। স্থানীয় লাঠিয়াল দলের মনোমুগ্ধকর প্রদর্শনী দেখতে ভিড় জমিয়েছে উৎসুক জনতা। প্রবীণদের মতে, এ ধরনের আয়োজন গ্রামবাংলার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

আইমাপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের বাপ-দাদারা এই মেলা করে গিয়েছেন, পর্যায়ক্রমে আমরা করছি। আগামীতে আমাদের সন্তানরা করবে। ১০০ বছরেরও অধিক সময় ধরে এ মেলা হয়ে আসছে। মেলার প্রধান আকর্ষণ গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের লাঠি খেলা। মেলার দিনে এ গ্রামের ধনী থেকে গরিব সকলেই জামাইদের আমন্ত্রণ করেন এ কারণে এই মেলাটি জামাই মেলা নামেও পরিচিত।

দিনব্যাপী আয়োজিত এই মেলায় সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। গান, নাচ আর নানা পরিবেশনায় মুখর হয়ে উঠবে সমগ্র মেলাপ্রাঙ্গণ।

উৎসব-উদ্দীপনা, পারিবারিক মিলন আর গ্রামীণ ঐতিহ্যের মিলনে আয়মাপুরের পাখি তলার মেলা আজও গ্রামবাংলার সংস্কৃতির এক জীবন্ত প্রতিচ্ছবি।