মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কোস্ট গার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ ও গোলাবারুদসহ করিম শরীফ বাহিনীর ২ সহযোগী আটক

মারুফ বাবু, মোংলা প্রতিনিধিঃ
কোস্ট গার্ডের অভিযানে অস্ত্র-গোলাবারুদসহ সুন্দরবনের দুর্ধর্ষ ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর ২ সহযোগীকে আটক করা হয়েছে। আজ (শনিবার, ২৯ নভেম্বর) সকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এক সংবাদ বিজ্ঞাপ্তিতে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়  সুন্দরবনের দুর্ধর্ষ ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর সদস্যরা সুন্দরবনের পশুর নদী সংলগ্ন ভাইজোড়া খাল এলাকায় অবস্থান করছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে আজ শনিবার (২৯ নভেম্বর) ভোর ৬ টায় কোস্ট গার্ড বেইস মোংলা ও স্টেশন হারবাড়িয়া কর্তৃক ঐ এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করে উক্ত এলাকা হতে ১ টি একনলা বন্দুক, ৩ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ৪ রাউন্ড ফাঁকা কার্তুজসহ সুন্দরবনের কুখ্যাত ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর অন্যতম দুই সহযোগী ফারুক বেপারী (৩০) এবং ইমদাদুল বেপারী (২৭) কে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন বাগেরহাট জেলা মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের বাসিন্দা।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ করিম শরীফ বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতি এবং ডাকাত দলকে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও রসদ সরবরাহের মাধ্যমে সহযোগিতা করে আসছিলো। আটককৃত ডাকাত ও জব্দকৃত সকল আলামতের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, কোস্ট গার্ডের এ ধরনের সাঁড়াশি অভিযানের ফলে সুন্দরবন অঞ্চল ধীরে ধীরে জলদস্যু ও ডাকাতমুক্ত হয়ে উঠছে। এ অভিযানের মাধ্যমে উপকূলীয় এলাকার জেলে ও মাছ শিকারিরা এখন নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে তাদের জীবিকা নির্বাহ করতে পারছেন।
বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে উপকূলীয় ও নদীতীরবর্তী অঞ্চলে ২৪ ঘণ্টাব্যাপী টহল কার্যক্রম এবং বিশেষ অভিযান অব্যাহত রেখেছে, যার ফলে এসব অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকাংশে উন্নত হয়েছে। সুন্দরবনকে দস্যু মুক্ত করতে কোস্ট গার্ডের এই ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
জনপ্রিয়

সিরাজগঞ্জ সিজেডএমের উদ্যোগে ৬০০ হতদরিদ্রের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরি ইউনিয়নের কৈজুরি পাথালিয়াপাড়া এলাকায় সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট (সিজেডএম) এর জীবিকা উন্নয়ন কেন্দ্রের উদ্যোগে ৬০০ হতদরিদ্র নারী ও পুরুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৈজুরি বাজার জামে মসজিদের ইমাম ও কৈজুরি মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষক মাওলানা মো. জয়নাল আবেদীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন একই মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুল খালেক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিজেডএমের জীবিকা উন্নয়ন কেন্দ্র, শাহজাদপুর উপজেলা শাখার প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মো. ইসমাইল হক। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন একাউন্টস অ্যান্ড অ্যাডমিন অফিসার হাফিজুর রহমান, ফিল্ড অফিসার মো. শহিদুল ইসলামসহ জীবিকা উন্নয়ন কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। শীতবস্ত্র পেয়ে উপকারভোগী নারী ও পুরুষরা সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং শীত মৌসুমে এ সহায়তাকে সময়োপযোগী ও মানবিক উদ্যোগ হিসেবে উল্লেখ করেন।

কোস্ট গার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ ও গোলাবারুদসহ করিম শরীফ বাহিনীর ২ সহযোগী আটক

প্রকাশের সময় : ০৬:৪৭:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৫
মারুফ বাবু, মোংলা প্রতিনিধিঃ
কোস্ট গার্ডের অভিযানে অস্ত্র-গোলাবারুদসহ সুন্দরবনের দুর্ধর্ষ ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর ২ সহযোগীকে আটক করা হয়েছে। আজ (শনিবার, ২৯ নভেম্বর) সকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এক সংবাদ বিজ্ঞাপ্তিতে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়  সুন্দরবনের দুর্ধর্ষ ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর সদস্যরা সুন্দরবনের পশুর নদী সংলগ্ন ভাইজোড়া খাল এলাকায় অবস্থান করছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে আজ শনিবার (২৯ নভেম্বর) ভোর ৬ টায় কোস্ট গার্ড বেইস মোংলা ও স্টেশন হারবাড়িয়া কর্তৃক ঐ এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করে উক্ত এলাকা হতে ১ টি একনলা বন্দুক, ৩ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ৪ রাউন্ড ফাঁকা কার্তুজসহ সুন্দরবনের কুখ্যাত ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর অন্যতম দুই সহযোগী ফারুক বেপারী (৩০) এবং ইমদাদুল বেপারী (২৭) কে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন বাগেরহাট জেলা মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের বাসিন্দা।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ করিম শরীফ বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতি এবং ডাকাত দলকে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও রসদ সরবরাহের মাধ্যমে সহযোগিতা করে আসছিলো। আটককৃত ডাকাত ও জব্দকৃত সকল আলামতের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, কোস্ট গার্ডের এ ধরনের সাঁড়াশি অভিযানের ফলে সুন্দরবন অঞ্চল ধীরে ধীরে জলদস্যু ও ডাকাতমুক্ত হয়ে উঠছে। এ অভিযানের মাধ্যমে উপকূলীয় এলাকার জেলে ও মাছ শিকারিরা এখন নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে তাদের জীবিকা নির্বাহ করতে পারছেন।
বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে উপকূলীয় ও নদীতীরবর্তী অঞ্চলে ২৪ ঘণ্টাব্যাপী টহল কার্যক্রম এবং বিশেষ অভিযান অব্যাহত রেখেছে, যার ফলে এসব অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকাংশে উন্নত হয়েছে। সুন্দরবনকে দস্যু মুক্ত করতে কোস্ট গার্ডের এই ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।