
ক্যারিবীয় সাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় চলমান মাদকবিরোধী সামরিক অভিযানের অংশ হিসেবে একটি সন্দেহভাজন নৌযানে মার্কিন বাহিনী লক্ষ্যভেদী হামলা চালিয়েছে। এতে চারজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর। বৃহস্পতিবারের এ অভিযান প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথের নির্দেশে পরিচালিত হয়। সামরিক সূত্রের দাবি, নৌকাটি পূর্ব ক্যারিবীয় অঞ্চলের একটি পরিচিত মাদক পরিবহন রুটে চলছিল এবং সেটি একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানান, কয়েক মাস ধরেই ক্যারিবীয় অঞ্চলে কঠোর নজরদারি জারি আছে। ইতোমধ্যে এসব অভিযানে ৮০ জনেরও বেশি সন্দেহভাজন পাচারকারী নিহত হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক আরেক হামলার ঘটনার মতো এ ঘটনাটিতেও তদন্ত শুরু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের বিভিন্ন কমিটির উদ্যোগে।
হোয়াইট হাউস জানায়, সর্বশেষ হামলার নির্দেশ ব্র্যাডলি নামে এক কর্মকর্তার পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছিল।
ক্যাপিটল হিলে এক বৈঠকে তিনি বলেন, বেসামরিক কাউকে লক্ষ্য করে হামলার কোনো নির্দেশ তিনি পাননি।
এদিকে হাউস আর্মড সার্ভিসেস কমিটির ডেমোক্র্যাট সদস্য অ্যাডাম স্মিথ দাবি করেন, ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে প্রথম বিস্ফোরণের পর নৌযানে বেঁচে যাওয়া দুজন ভাসমান অবস্থায় ছিলেন; পরে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে তারাও নিহত হন।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, এই ধরনের হামলা বিচারবহির্ভূত হত্যার শামিল। কলম্বিয়ার এক জেলের পরিবার অভিযোগ করেছে আলেজান্দ্রো কারানজা নামের তাদের স্বজনকে ভুলবশত লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়।
ট্রাম্প প্রশাসন পুরো ঘটনাপ্রবাহকে ‘সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান’ হিসেবে তুলে ধরলেও কংগ্রেস এখনো কোনো যুদ্ধ-সম্পর্কিত অনুমোদন দেয়নি। একই সময়ে ভেনেজুয়েলার সীমান্তসংলগ্ন অঞ্চলে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি বাড়ছে। ভেনেজুেলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো অভিযোগ করেছেন এ প্রচেষ্টা তার সরকারকে চাপের মুখে ফেলে উৎখাত করার কৌশল।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক 






































