বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর

বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে হানাদার বাহিনী: মির্জা ফখরুল

ছবি-সংগৃহীত

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর হানাদার বাহিনী বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির সব বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। জীবন উৎসর্গকারী বুদ্ধিজীবীদের ত্যাগ চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। স্বাধীনতা ও জ্ঞানচর্চার জন্য তাদের ত্যাগ কখনও জনমন থেকে মুছে যাবে না। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্তক্ষণে জাতির মুক্তির জন্য জীবন দানকারী বুদ্ধিজীবীদের প্রতি তিনি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে দেওয়া বাণীতে তিনি উল্লেখ করেন, দেশের সব শিক্ষাবিদ, চিন্তাবিদ ও সৃষ্টিশীল মানুষদের প্রতি শ্রদ্ধার প্রতীক-শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস।

তিনি বলেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবীরা জাতির মানসিক ও সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্যবোধের স্ফুরণ ঘটিয়েছিলেন। তাদের কলম ও মেধা আমাদের আত্মপরিচয়ের সন্ধান দেয়। তাদের রক্তেভেজা বাংলায় যেকোনো চক্রান্তকারী অশুভ শক্তিকে প্রতিহত করার প্রেরণা দেয়। দেশের জন্য তাদের সর্বোচ্চ ত্যাগ আজও আমাদের পথ প্রদর্শক। হানাদার বাহিনী ভেবেছিল দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করলেই এই দেশ নিজ পায়ে দাঁড়াতে পারবে না। কিন্তু তাদের সেই অমানবিক পরিকল্পনা সফল হয়নি।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবীরা স্বপ্ন দেখেছিলেন গণতান্ত্রিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। কিন্তু তাদের স্বপ্নকে ব্যর্থ করা হয়েছে বারবার একদলীয় দুঃশাসন কায়েম করে। জনগণের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে স্টিমরোলার চালিয়ে স্তব্ধ করা হয়েছে। ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্টদের পতনের পর থেকে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েমে নানা ঝড়-ঝাপ্টার আঘাত এখনও সহ্য করতে হচ্ছে। গণতান্ত্রিক অধিকার সর্বজনীন অধিকার, সেটির সম্পূর্ণ পুনরুজ্জীবন ঘটাতে আমাদের একযোগে কাজ করতে হবে। তাহলেই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ সার্থক হবে।

জনপ্রিয়

চৌগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আটক 

১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর

বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে হানাদার বাহিনী: মির্জা ফখরুল

প্রকাশের সময় : ০৬:১৬:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর হানাদার বাহিনী বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির সব বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। জীবন উৎসর্গকারী বুদ্ধিজীবীদের ত্যাগ চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। স্বাধীনতা ও জ্ঞানচর্চার জন্য তাদের ত্যাগ কখনও জনমন থেকে মুছে যাবে না। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্তক্ষণে জাতির মুক্তির জন্য জীবন দানকারী বুদ্ধিজীবীদের প্রতি তিনি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে দেওয়া বাণীতে তিনি উল্লেখ করেন, দেশের সব শিক্ষাবিদ, চিন্তাবিদ ও সৃষ্টিশীল মানুষদের প্রতি শ্রদ্ধার প্রতীক-শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস।

তিনি বলেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবীরা জাতির মানসিক ও সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্যবোধের স্ফুরণ ঘটিয়েছিলেন। তাদের কলম ও মেধা আমাদের আত্মপরিচয়ের সন্ধান দেয়। তাদের রক্তেভেজা বাংলায় যেকোনো চক্রান্তকারী অশুভ শক্তিকে প্রতিহত করার প্রেরণা দেয়। দেশের জন্য তাদের সর্বোচ্চ ত্যাগ আজও আমাদের পথ প্রদর্শক। হানাদার বাহিনী ভেবেছিল দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করলেই এই দেশ নিজ পায়ে দাঁড়াতে পারবে না। কিন্তু তাদের সেই অমানবিক পরিকল্পনা সফল হয়নি।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবীরা স্বপ্ন দেখেছিলেন গণতান্ত্রিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। কিন্তু তাদের স্বপ্নকে ব্যর্থ করা হয়েছে বারবার একদলীয় দুঃশাসন কায়েম করে। জনগণের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে স্টিমরোলার চালিয়ে স্তব্ধ করা হয়েছে। ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্টদের পতনের পর থেকে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েমে নানা ঝড়-ঝাপ্টার আঘাত এখনও সহ্য করতে হচ্ছে। গণতান্ত্রিক অধিকার সর্বজনীন অধিকার, সেটির সম্পূর্ণ পুনরুজ্জীবন ঘটাতে আমাদের একযোগে কাজ করতে হবে। তাহলেই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ সার্থক হবে।