
মহান বিজয় দিবসে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে নেমেছে সর্বস্তরের মানুষের ঢল। রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করা হয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ।মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই বিভিন্ন সংগঠন ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্যরা স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে ভিড় করছেন। ফুল, ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে আসছেন তারা।
শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আসা জনতার নানা ধরনের স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো সমাধি চত্বর। শিশুদের মাথায় জাতীয় পতাকা আর গালে আঁকা আল্পনা বাড়িয়ে দিয়েছে, বিজয়ের আমেজ।
মানিকগঞ্জ থেকে পরিবারের সঙ্গে স্মৃতিসৌধে আসা কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী শারমিন আক্তার বলেন, আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি। তবে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে বইয়ে পড়েছি। আজ আমি পরিবারের সঙ্গে প্রথম জাতীয় স্মৃতিসৌধে এসে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালাম।
স্কুল শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে দেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছি। সেই জাতির সূর্য সন্তানদের স্মরণ করছি জাতীয় স্মৃতিসৌধে এসে। এই দিনটি আমাদের গৌরবের দিন। তাই দেশের জন্য আত্মদানকারী সেই সব বীরদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই।
এর আগে, সকালে মহান বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মৃতির প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রীয় অভিবাদন জানায়। বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা স্মৃতিসৌধ ত্যাগ করার পর সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় জাতীয় স্মৃতিসৌধের প্রধান ফটক। এরপর থেকেই সর্বস্তরের জনতার ঢল নামে স্মৃতিসৌধে।
নিজস্ব প্রতিবেদক 







































