রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ বেড়েছে গোয়ালন্দের কৃষকদের ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকদের মুখে হাসি

মেহেদী হাসান, রাজবাড়ী প্রতিনিধি
 রবি মৌসুমের মসলা জাতীয় একটি ফসল পেঁয়াজ। রাজবাড়ী জেলায় প্রত্যেক বাজারে উঠতে শুরু করেছে নতুন  মুড়িকাটা পেঁয়াজ।  গতকাল গোয়ালন্দ বাজারে পেঁয়াজের আড়তে দেখা গেছে অনেক পেঁয়াজের আমদানি, প্রতি  মণ পেঁয়াজ ২৮০০ থেকে ৩০০০ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে। এদিকে গোয়ালন্দ   উপজেলার উজানচর,, দৌলতদিয়া, ছোটভাকলা, দেবগ্রাম ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায় মাঠে মাঠে মুড়িকাটা পেঁয়াজ আর পেঁয়াজের আবাদ। গত বছর  পেঁয়াজের ভাল দাম পাওয়ায় এবারও কৃষকেদের পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ বেড়েছে।  দৌলতদিয়া ইউনিয়ন ফকির পাড়া এলাকার কৃষক আমিন,জলিল, মোজাফফর, সাহাদত সহ অনেক কৃষক বলেন আমরা গতবছর পেঁয়াজের দাম ভালো পাওয়ায়  এ বছর  বেশি জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছি। উজানচর ইউনিয়ন  মঙ্গলপুর,  গ্রামের কৃষক  মনোরদ্দিন শেখ, মোস্তাক মোল্লা, সুজন মোল্লা, ও মইজদ্দিন মোল্লা পাড়া আতিক খাঁ, সাহেব আলী, জুমার আলী সহ চর মজলিস পুর এলাকার  অনেক কৃষক বলেন বর্তমানে আমরা মুড়িকাটা পেঁয়াজ চায করে অনেক আনন্দিত। তারা বলেন  বিগত দুই বছর আগে  পেঁয়াজের  যে দাম ছিল তাতে আমাদের খরচের টাকা হত না। ২ বছর ধরে পেঁয়াজের ভালো দাম পেয়ে আমরা অনেক খুশি সেই খুশিতে আমরা অনেক ই এ বছর দিগুণ জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছি। কৃষকেরা আরো বলেন প্রতি একরে মুড়িকাটা চিকন গুটি পেঁয়াজ বীজ  ১০/১২ মণ রোপণ করতে হয়।ফলন ভালো হলে একর প্রতি ২৫০/২৮০ মণ পেঁয়াজ জন্মে। তারা এটাও  বলেন,  জমি প্রস্তুতি থেকে বীজ সার ঔষধ, চাষাবাদ কামলা কৃষক সহ বাজারজাত করা পর্যন্ত একর প্রতি প্রায় ১৫০হাজার থেকে ১৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। এই দুই বছর পেঁয়াজের ভালো দাম পাওয়ায় আমরা লাভবান। কৃষকেরা আরো বলেন উপজেলা কৃষি অফিস থেকে  প্রশিক্ষনের মাধ্যমে  সঠিক ভাবে সকল কৃষকদের সুন্দর পরামর্শ দিয়ে চাষাবাদের উপর অতি গুরুত্ব দিত তাহলে এ দেশের  কৃষকেরা আরো উন্নত হত। তবে  এ উপজেলার  ৪ টি ইউনিয়ন ও একটি  পৌরসভায় কমবেশি  পেঁয়াজের চাষ হয়েছে।  তবে উজানচর ইউনিয়নে বেশি পেঁয়াজ চাষ হয়েছে  তার পাশাপাশি দৌলতদিয়া ইউনিয়ন।  এ বিষয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ রায়হানুল হায়দার বলেন এ বছর  ২২৩০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। তিনি আরো বলেন  গোয়ালন্দ উপজেলায়  রবি শস্য উৎপাদনের তালিকায় পেঁয়াজের চাষ বেশি হয়েছে। বাংলাদেশে পেঁয়াজের চাহিদা মেটাতে পেঁয়াজ চাষীদের   সঠিক সময় সঠিক পরামর্শ দিয়ে পেঁয়াজের আবাদ বাড়াতে হবে বলে তিনি জানান।
জনপ্রিয়

ঝিকরগাছার নাভারণে গরিব-দুস্থদের জন্য দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ বেড়েছে গোয়ালন্দের কৃষকদের ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকদের মুখে হাসি

প্রকাশের সময় : ১১:১৩:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫
মেহেদী হাসান, রাজবাড়ী প্রতিনিধি
 রবি মৌসুমের মসলা জাতীয় একটি ফসল পেঁয়াজ। রাজবাড়ী জেলায় প্রত্যেক বাজারে উঠতে শুরু করেছে নতুন  মুড়িকাটা পেঁয়াজ।  গতকাল গোয়ালন্দ বাজারে পেঁয়াজের আড়তে দেখা গেছে অনেক পেঁয়াজের আমদানি, প্রতি  মণ পেঁয়াজ ২৮০০ থেকে ৩০০০ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে। এদিকে গোয়ালন্দ   উপজেলার উজানচর,, দৌলতদিয়া, ছোটভাকলা, দেবগ্রাম ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায় মাঠে মাঠে মুড়িকাটা পেঁয়াজ আর পেঁয়াজের আবাদ। গত বছর  পেঁয়াজের ভাল দাম পাওয়ায় এবারও কৃষকেদের পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ বেড়েছে।  দৌলতদিয়া ইউনিয়ন ফকির পাড়া এলাকার কৃষক আমিন,জলিল, মোজাফফর, সাহাদত সহ অনেক কৃষক বলেন আমরা গতবছর পেঁয়াজের দাম ভালো পাওয়ায়  এ বছর  বেশি জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছি। উজানচর ইউনিয়ন  মঙ্গলপুর,  গ্রামের কৃষক  মনোরদ্দিন শেখ, মোস্তাক মোল্লা, সুজন মোল্লা, ও মইজদ্দিন মোল্লা পাড়া আতিক খাঁ, সাহেব আলী, জুমার আলী সহ চর মজলিস পুর এলাকার  অনেক কৃষক বলেন বর্তমানে আমরা মুড়িকাটা পেঁয়াজ চায করে অনেক আনন্দিত। তারা বলেন  বিগত দুই বছর আগে  পেঁয়াজের  যে দাম ছিল তাতে আমাদের খরচের টাকা হত না। ২ বছর ধরে পেঁয়াজের ভালো দাম পেয়ে আমরা অনেক খুশি সেই খুশিতে আমরা অনেক ই এ বছর দিগুণ জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছি। কৃষকেরা আরো বলেন প্রতি একরে মুড়িকাটা চিকন গুটি পেঁয়াজ বীজ  ১০/১২ মণ রোপণ করতে হয়।ফলন ভালো হলে একর প্রতি ২৫০/২৮০ মণ পেঁয়াজ জন্মে। তারা এটাও  বলেন,  জমি প্রস্তুতি থেকে বীজ সার ঔষধ, চাষাবাদ কামলা কৃষক সহ বাজারজাত করা পর্যন্ত একর প্রতি প্রায় ১৫০হাজার থেকে ১৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। এই দুই বছর পেঁয়াজের ভালো দাম পাওয়ায় আমরা লাভবান। কৃষকেরা আরো বলেন উপজেলা কৃষি অফিস থেকে  প্রশিক্ষনের মাধ্যমে  সঠিক ভাবে সকল কৃষকদের সুন্দর পরামর্শ দিয়ে চাষাবাদের উপর অতি গুরুত্ব দিত তাহলে এ দেশের  কৃষকেরা আরো উন্নত হত। তবে  এ উপজেলার  ৪ টি ইউনিয়ন ও একটি  পৌরসভায় কমবেশি  পেঁয়াজের চাষ হয়েছে।  তবে উজানচর ইউনিয়নে বেশি পেঁয়াজ চাষ হয়েছে  তার পাশাপাশি দৌলতদিয়া ইউনিয়ন।  এ বিষয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ রায়হানুল হায়দার বলেন এ বছর  ২২৩০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। তিনি আরো বলেন  গোয়ালন্দ উপজেলায়  রবি শস্য উৎপাদনের তালিকায় পেঁয়াজের চাষ বেশি হয়েছে। বাংলাদেশে পেঁয়াজের চাহিদা মেটাতে পেঁয়াজ চাষীদের   সঠিক সময় সঠিক পরামর্শ দিয়ে পেঁয়াজের আবাদ বাড়াতে হবে বলে তিনি জানান।