রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা  

বিএসসি’তে শত দুর্নীতি করেও পদোন্নতি পেলেন আবু সুফিয়ান, খুঁটির জোর কোথায় ?

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের জিএম (ডিপিএ চলতি দায়িত্ব) ক্যাপ্টেন আমীর মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানের বিরুদ্ধে স্বজন প্রীতি, নাবিকদের হয়রানি, সিলেকশনে অনিয়ম, বেতন বৈষম্য, জাল সনদে চাকরী করা, মিথ্যা তথ্ প্রচার, ৬টি নতুন জাহাজে অদক্ষ ক্যাপ্টেন ও চিপ ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ, বিএসসি নিয়োগ বিধিমালা ভঙ্গ করে বেশি ডলারে চুক্তিভিত্তক নিয়োগসহ শতাধিক অভিযোগ ওঠেছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, তার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মে প্রমাণ মিললেও কোন ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করে এসপিডি বিভাগ থেকে উল্টো জিএম (ডিপিএ, সিইও) পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেছেন তারেই দপ্তরের কর্মরত অনেকে। তাকে নিয়ে তীব্র সমালোচনা ইতিমধ্যে জাহাজ নির্মাণ শিল্পসহ দেশের ব্যবসায়িক অঙ্গনে চাওর হয়েছে।
শনিবার নগরের একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন সী-ম্যান্স এসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। তারা বলেন, আবু সুফিয়ান প্রতিষ্ঠানকে সীমাহীন আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন করেছে। তিনি বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজের ক্যাপ্টেনকে তার কমান্ড মেনে “রাশিয়ান নেভির নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যুদ্ধ সীমানায় জাহাজ নিয়ে যাওয়ার কারনে বিএসসি হারায় একটি নতুন জাহাজ ও একজন চৌকস অফিসারকে।
এতে আবু সুফিয়ানের দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলে ধরে তারা বলেন, মোঃ সোহানূর রহমান সোহান একজন ট্রেইনিং ফায়ারম্যান। তাকে জাহাজে উঠাতে ২ লক্ষ টাকা ধার্য্য করা হয়। সেই টাকা দিতে না পারায় তার উপর অমানবিক শারীরিক নির্যাতন করেন ক্যাপ্টেন আমীর মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান।
তারা জানান, জাহাজে নাবিক ইঞ্জিনিয়ার যেই যান প্রথম কন্টাক্ট ক্যাপ্টেন আমির মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানের সাথে করতে হয়। চাকুরী পেতে পদ পদবি অনুযায়ী টাকার ডিমান্ড, চাকুরী চলাকালীন সেলারীর কমিশন ঠিক করে দেন তিনি। আর তার কথা না শুনলে কপালে নেমে আসে দুর্গতি। যা বেতন বৈষম্যের মুল কারণ হিসেবে দেখা হয়। তারা জানান, দুদক তদন্তে দোষী প্রমাণিত হওয়া সত্বেও জাল সার্টিফিকেট দিয়ে এখনও চাকুরিতে বহাল আছেন তিনি। নানান অভিযোগ জমা পড়লেও কোন ব্যাবস্থা নেয়নি বিএসসি ও নৌ মন্ত্রণালয়।
জনপ্রিয়

হান্নান মাসউদকে হত্যার হুমকি, গ্রেপ্তার ১

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা  

বিএসসি’তে শত দুর্নীতি করেও পদোন্নতি পেলেন আবু সুফিয়ান, খুঁটির জোর কোথায় ?

প্রকাশের সময় : ১১:১৫:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের জিএম (ডিপিএ চলতি দায়িত্ব) ক্যাপ্টেন আমীর মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানের বিরুদ্ধে স্বজন প্রীতি, নাবিকদের হয়রানি, সিলেকশনে অনিয়ম, বেতন বৈষম্য, জাল সনদে চাকরী করা, মিথ্যা তথ্ প্রচার, ৬টি নতুন জাহাজে অদক্ষ ক্যাপ্টেন ও চিপ ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ, বিএসসি নিয়োগ বিধিমালা ভঙ্গ করে বেশি ডলারে চুক্তিভিত্তক নিয়োগসহ শতাধিক অভিযোগ ওঠেছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, তার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মে প্রমাণ মিললেও কোন ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করে এসপিডি বিভাগ থেকে উল্টো জিএম (ডিপিএ, সিইও) পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেছেন তারেই দপ্তরের কর্মরত অনেকে। তাকে নিয়ে তীব্র সমালোচনা ইতিমধ্যে জাহাজ নির্মাণ শিল্পসহ দেশের ব্যবসায়িক অঙ্গনে চাওর হয়েছে।
শনিবার নগরের একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন সী-ম্যান্স এসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। তারা বলেন, আবু সুফিয়ান প্রতিষ্ঠানকে সীমাহীন আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন করেছে। তিনি বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজের ক্যাপ্টেনকে তার কমান্ড মেনে “রাশিয়ান নেভির নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যুদ্ধ সীমানায় জাহাজ নিয়ে যাওয়ার কারনে বিএসসি হারায় একটি নতুন জাহাজ ও একজন চৌকস অফিসারকে।
এতে আবু সুফিয়ানের দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলে ধরে তারা বলেন, মোঃ সোহানূর রহমান সোহান একজন ট্রেইনিং ফায়ারম্যান। তাকে জাহাজে উঠাতে ২ লক্ষ টাকা ধার্য্য করা হয়। সেই টাকা দিতে না পারায় তার উপর অমানবিক শারীরিক নির্যাতন করেন ক্যাপ্টেন আমীর মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান।
তারা জানান, জাহাজে নাবিক ইঞ্জিনিয়ার যেই যান প্রথম কন্টাক্ট ক্যাপ্টেন আমির মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানের সাথে করতে হয়। চাকুরী পেতে পদ পদবি অনুযায়ী টাকার ডিমান্ড, চাকুরী চলাকালীন সেলারীর কমিশন ঠিক করে দেন তিনি। আর তার কথা না শুনলে কপালে নেমে আসে দুর্গতি। যা বেতন বৈষম্যের মুল কারণ হিসেবে দেখা হয়। তারা জানান, দুদক তদন্তে দোষী প্রমাণিত হওয়া সত্বেও জাল সার্টিফিকেট দিয়ে এখনও চাকুরিতে বহাল আছেন তিনি। নানান অভিযোগ জমা পড়লেও কোন ব্যাবস্থা নেয়নি বিএসসি ও নৌ মন্ত্রণালয়।