সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জুলাই ঐক্য’র পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকে স্মারক লিপি প্রদান 

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
আওয়ামী সন্ত্রাসীদের তৎপরতা বন্ধে কঠোর নির্দেশনা প্রদান, জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা গ্রহণসহ, ১১ দফা দাবি উল্লেখ করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সাথে মতবিনিময় পরবর্তী স্মারক লিপি প্রদান করেছে জুলাই ঐক্য’র নেতৃবৃন্দ।
২১ ডিসেম্বর রবিবার বিকাল চারটায়, চট্টগ্রাম কোর্ট বিল্ডিংস্থ, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জুলাই ঐক্য’র মুখপাত্র আবরার হাসান রিয়াদের নেতৃত্বে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ১১ দফা দাবি উত্থাপন করে, মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদী’র মৃত্যুর পরবর্তী দেশের বিভিন্ন স্থানে ও চট্টগ্রাম জেলায় সম্প্রতি আওয়ামী সন্ত্রাসী ও তাদের সহযোগী সক্রিয় তৎপরতা অসংখ্য জনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রস্তুতিশীল করা, সাধারণ মানুষের মাঝে ভীতি সৃষ্টি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা এবং বিশেষভাবে জুলাই আন্দোলন অংশগ্রহণকারী যুদ্ধ ও সাহসী কর্মীদের টার্গেট করে হুমকি, আমরা ওপারে নিমূলক কর্মকান্ড চালাচ্ছে – যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ।
উল্লেখিত দাবী সমূহ: অতি দ্রুত যাতে শহীদ ওসমান হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার নিশ্চিত করে বিচারের মুখোমুখি করা হয়।
আওয়ামী সন্ত্রাসী ও তাদের সহযোগীদের সব ধরনের অবৈধ তৎপরতা বন্ধে প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর ও সুস্পষ্ট নির্দেশনা প্রদান।
নির্বাচনকে সামনে রেখে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গ সংগঠন সমূহের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে চিরুনি অভিযান পরিচালনা এবং অব্যাহত রাখা।
অসংখ্য আওয়ামী সন্ত্রাসী দেশের অভ্যন্তর অবস্থান করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিনিয়ত জুলাই যোদ্ধাদের হুমকি দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক তৎপরতা করা বৃদ্ধির জন্য নির্দেশনা প্রদান করা।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারী যোদ্ধা,আহত জুলাই যোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ নজরদারিও প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ।
হুমকি, মামলা, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িতদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা।
রাজনৈতিক পরিচয়ের উধ্বে উঠে নিরপেক্ষ সাহসী প্রশাসনিক ভূমিকা নিশ্চিত করা।
জুলাই বিপ্লবে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলাগুলো দ্রুত চার্জশিট প্রদান করতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা।
আওয়ামী শাসন আমলে বিরোধী দলীয় নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে হওয়া ষড়যন্ত্রমূলক মামলা সমূহ দ্রুত নিষ্পত্তি করা।
অনেক দূর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও সপ্তম আমার আসামিরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে কোট থেকে জামিল মুক্ত হচ্ছে, পরবর্তী তারা শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট করছে। এই বিষয়ে তদারকি বৃদ্ধি করা এবং সন্ত্রাসীদের জামিন যাতে সহজলভ্য না হয় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয়  নির্দেশনা দেয়া। জনগণের
নিরাপত্তা ও শান্তি রক্ষায় নিয়মিত মনিটরিং ও ভ্রাম্যমাণ টহল জোরদার করা।
জেলা প্রশাসক জুলাইক কে নেতৃবৃন্দের দাবিগুলো মনোযোগ সহকারে শুনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার আশ্বাস দেন এবং জুলাই আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের বিরোধিতাকারী ও সন্ত্রাসীদের বিষয়ে কখনো ছাড় নয়, কোনো আপোষ নয় বলে জানান।
জনপ্রিয়

যশোরে ছুরিকাঘাতে দুই যুবক জখম

জুলাই ঐক্য’র পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকে স্মারক লিপি প্রদান 

প্রকাশের সময় : ০৮:০৪:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
আওয়ামী সন্ত্রাসীদের তৎপরতা বন্ধে কঠোর নির্দেশনা প্রদান, জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা গ্রহণসহ, ১১ দফা দাবি উল্লেখ করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সাথে মতবিনিময় পরবর্তী স্মারক লিপি প্রদান করেছে জুলাই ঐক্য’র নেতৃবৃন্দ।
২১ ডিসেম্বর রবিবার বিকাল চারটায়, চট্টগ্রাম কোর্ট বিল্ডিংস্থ, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জুলাই ঐক্য’র মুখপাত্র আবরার হাসান রিয়াদের নেতৃত্বে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ১১ দফা দাবি উত্থাপন করে, মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদী’র মৃত্যুর পরবর্তী দেশের বিভিন্ন স্থানে ও চট্টগ্রাম জেলায় সম্প্রতি আওয়ামী সন্ত্রাসী ও তাদের সহযোগী সক্রিয় তৎপরতা অসংখ্য জনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রস্তুতিশীল করা, সাধারণ মানুষের মাঝে ভীতি সৃষ্টি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা এবং বিশেষভাবে জুলাই আন্দোলন অংশগ্রহণকারী যুদ্ধ ও সাহসী কর্মীদের টার্গেট করে হুমকি, আমরা ওপারে নিমূলক কর্মকান্ড চালাচ্ছে – যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ।
উল্লেখিত দাবী সমূহ: অতি দ্রুত যাতে শহীদ ওসমান হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার নিশ্চিত করে বিচারের মুখোমুখি করা হয়।
আওয়ামী সন্ত্রাসী ও তাদের সহযোগীদের সব ধরনের অবৈধ তৎপরতা বন্ধে প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর ও সুস্পষ্ট নির্দেশনা প্রদান।
নির্বাচনকে সামনে রেখে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গ সংগঠন সমূহের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে চিরুনি অভিযান পরিচালনা এবং অব্যাহত রাখা।
অসংখ্য আওয়ামী সন্ত্রাসী দেশের অভ্যন্তর অবস্থান করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিনিয়ত জুলাই যোদ্ধাদের হুমকি দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক তৎপরতা করা বৃদ্ধির জন্য নির্দেশনা প্রদান করা।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারী যোদ্ধা,আহত জুলাই যোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ নজরদারিও প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ।
হুমকি, মামলা, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িতদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা।
রাজনৈতিক পরিচয়ের উধ্বে উঠে নিরপেক্ষ সাহসী প্রশাসনিক ভূমিকা নিশ্চিত করা।
জুলাই বিপ্লবে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলাগুলো দ্রুত চার্জশিট প্রদান করতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা।
আওয়ামী শাসন আমলে বিরোধী দলীয় নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে হওয়া ষড়যন্ত্রমূলক মামলা সমূহ দ্রুত নিষ্পত্তি করা।
অনেক দূর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও সপ্তম আমার আসামিরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে কোট থেকে জামিল মুক্ত হচ্ছে, পরবর্তী তারা শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট করছে। এই বিষয়ে তদারকি বৃদ্ধি করা এবং সন্ত্রাসীদের জামিন যাতে সহজলভ্য না হয় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয়  নির্দেশনা দেয়া। জনগণের
নিরাপত্তা ও শান্তি রক্ষায় নিয়মিত মনিটরিং ও ভ্রাম্যমাণ টহল জোরদার করা।
জেলা প্রশাসক জুলাইক কে নেতৃবৃন্দের দাবিগুলো মনোযোগ সহকারে শুনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার আশ্বাস দেন এবং জুলাই আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের বিরোধিতাকারী ও সন্ত্রাসীদের বিষয়ে কখনো ছাড় নয়, কোনো আপোষ নয় বলে জানান।