বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যশোরে ১০ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় বাড়ি-জমি দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

যশোর প্রতিনিধি 
যশোরে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় বাড়ি ও কৃষিজমি দখলের চেষ্টা এবং প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সদর উপজেলার রূপদিয়া চাচড়া গ্রামের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম। সোমবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে তিনি এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে.শহিদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, স্থানীয় যুবদল ও জামায়াতের কয়েকজন নেতার মদদে একটি দখলবাজ চক্র দীর্ঘদিন ধরে তাকে ও তার পরিবারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে। এসব ঘটনার ধারাবাহিক মানসিক চাপে তার বাবা স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করেছেন বলেও তিনি দাবি করেন।
তিনি জানান, পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত কবলা দলিলমূলে রূপদিয়া চাচড়া গ্রামে জমি ক্রয় করে তিনি দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন। বাড়ির পাশে থাকা ৩৯ শতক ফসলি জমিও নিয়মিতভাবে তিনি ভোগদখলে রাখছেন। সম্প্রতি ওই জমিটি সরকারি ১/১ খতিয়ানে কালেক্টরেটের নামে রেকর্ডভুক্ত হওয়ায় তিনি আদালতে মামলা দায়ের করেন, যা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।
মামলা চলমান থাকা অবস্থায় স্থানীয় একটি চক্র তার জমি দখলের চেষ্টা শুরু করে বলে অভিযোগ করেন শহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, যুবদল নেতা ইনামুল হক ও মহাসীন, জামায়াত নেতা রফিকুল ইসলাম ও জাকিরসহ শফিকুল ইসলাম, আব্দুল হাকিম, ইদ্রিস আলী, সিরাজ মেম্বার, আব্দুল খালেক এবং তার আপন ভাই আজিজুলসহ কয়েকজন মিলে তার বাড়ি ও জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা চালায়।
এ ঘটনায় তিনি পুনরায় আদালতের দ্বারস্থ হলে আদালত বিবাদীদের জমিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। তবে আদালতের আদেশ অমান্য করে তারা তাকে ও তার পরিবারকে হত্যার হুমকি দিতে থাকে এবং একপর্যায়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে বলে অভিযোগ করা হয়।
চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় তার বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয় এবং একটি মামলায় তাকে কারাভোগও করতে হয় বলে জানান তিনি। একই সময়ে বিবাদীরা কৌশলে তার বাবার কাছ থেকে তিনটি ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়, যা ভবিষ্যতে তাকে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন শহিদুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি পুরো ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং তার পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
জনপ্রিয়

ডেইলি স্টার ভবনে হামলার ঘটনায় আকাশ গ্রেপ্তার

যশোরে ১০ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় বাড়ি-জমি দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশের সময় : ০৭:২৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
যশোর প্রতিনিধি 
যশোরে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় বাড়ি ও কৃষিজমি দখলের চেষ্টা এবং প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সদর উপজেলার রূপদিয়া চাচড়া গ্রামের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম। সোমবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে তিনি এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে.শহিদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, স্থানীয় যুবদল ও জামায়াতের কয়েকজন নেতার মদদে একটি দখলবাজ চক্র দীর্ঘদিন ধরে তাকে ও তার পরিবারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে। এসব ঘটনার ধারাবাহিক মানসিক চাপে তার বাবা স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করেছেন বলেও তিনি দাবি করেন।
তিনি জানান, পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত কবলা দলিলমূলে রূপদিয়া চাচড়া গ্রামে জমি ক্রয় করে তিনি দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন। বাড়ির পাশে থাকা ৩৯ শতক ফসলি জমিও নিয়মিতভাবে তিনি ভোগদখলে রাখছেন। সম্প্রতি ওই জমিটি সরকারি ১/১ খতিয়ানে কালেক্টরেটের নামে রেকর্ডভুক্ত হওয়ায় তিনি আদালতে মামলা দায়ের করেন, যা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।
মামলা চলমান থাকা অবস্থায় স্থানীয় একটি চক্র তার জমি দখলের চেষ্টা শুরু করে বলে অভিযোগ করেন শহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, যুবদল নেতা ইনামুল হক ও মহাসীন, জামায়াত নেতা রফিকুল ইসলাম ও জাকিরসহ শফিকুল ইসলাম, আব্দুল হাকিম, ইদ্রিস আলী, সিরাজ মেম্বার, আব্দুল খালেক এবং তার আপন ভাই আজিজুলসহ কয়েকজন মিলে তার বাড়ি ও জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা চালায়।
এ ঘটনায় তিনি পুনরায় আদালতের দ্বারস্থ হলে আদালত বিবাদীদের জমিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। তবে আদালতের আদেশ অমান্য করে তারা তাকে ও তার পরিবারকে হত্যার হুমকি দিতে থাকে এবং একপর্যায়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে বলে অভিযোগ করা হয়।
চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় তার বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয় এবং একটি মামলায় তাকে কারাভোগও করতে হয় বলে জানান তিনি। একই সময়ে বিবাদীরা কৌশলে তার বাবার কাছ থেকে তিনটি ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়, যা ভবিষ্যতে তাকে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন শহিদুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি পুরো ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং তার পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।