মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খুলনায় এনসিপি নেতাকে গুলির ঘটনায় সেই নারী আটক

ছবি-সংগৃহীত

খুলনায় জাতীয় শ্রমিক শক্তির নেতা মোতালেব শিকদারকে গুলির ঘটনায় আলোচিত নারী তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। মোতালেব শিকদার (৪২) সোনাডাঙ্গা শেখপাড়া পল্লী মঙ্গল স্কুল এলাকার মৃত মোসলেম শিকদারের ছেলে।  তিনি জাতীয় শ্রমিক শক্তির কেন্দ্রীয় কমিটির সংগঠক।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোনাডাঙ্গা থানাধীন সার্জিক্যাল (গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল) সংলগ্ন আল আকসা মসজিদ সরণির ১০৯ নম্বর রোডের মুক্তা হাউজের নিচতলায় ভাড়া বাসায় তন্বীর কক্ষে গুলিবিদ্ধ হন মোতালেব শিকদার। ঘটনার পর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

খুলনা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া গেছে, তারা এখানে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত ছিলেন এবং নিজেদের মধ্যে কোন্দলের কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে।”

সোনাডাঙ্গা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, আল আকসা মসজিদ স্মরণির ১০৯ নম্বর রোডের মুক্তা হাউজের নিচতলায় গুলির ঘটনা ঘটেছে। সিসিটিভি ক্যামেরার ভিডিওতে দেখা গেছে, শনিবার রাত থেকে মোতালেব টানা সেই ফ্ল্যাটে ছিলেন।

মোতালেব এখন শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান। তিনি বলেন, “তার মাথার বাম পাশে গুলি লেগেছে।

মুক্তা হাউজের মালিকের স্ত্রী আশরাফুন্নাহার সাংবাদিকদের বলেন, “স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তন্বী নামে ওই তরুণী এক মাস আগে নিচতলার ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেন। তিনি নিজেকে এনজিওকর্মী হিসেবে পরিচয় দিতেন এবং প্রায়ই বাড়ির বাইরে থাকতেন। তার কক্ষে একাধিক পুরুষের আসা-যাওয়া ছিল। পরে অন্যদের মাধ্যমে তার অসামাজিক কার্যকলাপের বিষয়টি জানতে পেরে এ মাসে বাড়ি ছাড়ার নোটিস দেওয়া হয়। ছাড়ার আগেই এ ঘটনা ঘটল।

খুলনা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, “ওই ফ্ল্যাট থেকে মাদকের বিভিন্ন উপকরণ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত। মোতালেবকে জিজ্ঞাসাবাদে বাকিদের নাম জানা যাবে। জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

পুলিশ বলছে, ঘটনার প্রকৃত কারণ ও এর সঙ্গে জড়িতদের শনাক্তে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। আটক তন্বীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে জানানো হবে। এনসিপি খুলনা মহানগরের সংগঠক সাইফ নেওয়াজ বলেন, “মোতালেবকে খুব কাছ থেকে মাথায় গুলি করা হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যে খুলনায় একটি বিভাগীয় শ্রমিক সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। সেটা নিয়ে তিনি কাজ করছিলেন।

জনপ্রিয়

সিরাজগঞ্জ সিজেডএমের উদ্যোগে ৬০০ হতদরিদ্রের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরি ইউনিয়নের কৈজুরি পাথালিয়াপাড়া এলাকায় সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট (সিজেডএম) এর জীবিকা উন্নয়ন কেন্দ্রের উদ্যোগে ৬০০ হতদরিদ্র নারী ও পুরুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৈজুরি বাজার জামে মসজিদের ইমাম ও কৈজুরি মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষক মাওলানা মো. জয়নাল আবেদীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন একই মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুল খালেক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিজেডএমের জীবিকা উন্নয়ন কেন্দ্র, শাহজাদপুর উপজেলা শাখার প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মো. ইসমাইল হক। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন একাউন্টস অ্যান্ড অ্যাডমিন অফিসার হাফিজুর রহমান, ফিল্ড অফিসার মো. শহিদুল ইসলামসহ জীবিকা উন্নয়ন কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। শীতবস্ত্র পেয়ে উপকারভোগী নারী ও পুরুষরা সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং শীত মৌসুমে এ সহায়তাকে সময়োপযোগী ও মানবিক উদ্যোগ হিসেবে উল্লেখ করেন।

খুলনায় এনসিপি নেতাকে গুলির ঘটনায় সেই নারী আটক

প্রকাশের সময় : ০১:৩১:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫

খুলনায় জাতীয় শ্রমিক শক্তির নেতা মোতালেব শিকদারকে গুলির ঘটনায় আলোচিত নারী তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। মোতালেব শিকদার (৪২) সোনাডাঙ্গা শেখপাড়া পল্লী মঙ্গল স্কুল এলাকার মৃত মোসলেম শিকদারের ছেলে।  তিনি জাতীয় শ্রমিক শক্তির কেন্দ্রীয় কমিটির সংগঠক।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোনাডাঙ্গা থানাধীন সার্জিক্যাল (গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল) সংলগ্ন আল আকসা মসজিদ সরণির ১০৯ নম্বর রোডের মুক্তা হাউজের নিচতলায় ভাড়া বাসায় তন্বীর কক্ষে গুলিবিদ্ধ হন মোতালেব শিকদার। ঘটনার পর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

খুলনা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া গেছে, তারা এখানে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত ছিলেন এবং নিজেদের মধ্যে কোন্দলের কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে।”

সোনাডাঙ্গা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, আল আকসা মসজিদ স্মরণির ১০৯ নম্বর রোডের মুক্তা হাউজের নিচতলায় গুলির ঘটনা ঘটেছে। সিসিটিভি ক্যামেরার ভিডিওতে দেখা গেছে, শনিবার রাত থেকে মোতালেব টানা সেই ফ্ল্যাটে ছিলেন।

মোতালেব এখন শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান। তিনি বলেন, “তার মাথার বাম পাশে গুলি লেগেছে।

মুক্তা হাউজের মালিকের স্ত্রী আশরাফুন্নাহার সাংবাদিকদের বলেন, “স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তন্বী নামে ওই তরুণী এক মাস আগে নিচতলার ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেন। তিনি নিজেকে এনজিওকর্মী হিসেবে পরিচয় দিতেন এবং প্রায়ই বাড়ির বাইরে থাকতেন। তার কক্ষে একাধিক পুরুষের আসা-যাওয়া ছিল। পরে অন্যদের মাধ্যমে তার অসামাজিক কার্যকলাপের বিষয়টি জানতে পেরে এ মাসে বাড়ি ছাড়ার নোটিস দেওয়া হয়। ছাড়ার আগেই এ ঘটনা ঘটল।

খুলনা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, “ওই ফ্ল্যাট থেকে মাদকের বিভিন্ন উপকরণ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত। মোতালেবকে জিজ্ঞাসাবাদে বাকিদের নাম জানা যাবে। জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

পুলিশ বলছে, ঘটনার প্রকৃত কারণ ও এর সঙ্গে জড়িতদের শনাক্তে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। আটক তন্বীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে জানানো হবে। এনসিপি খুলনা মহানগরের সংগঠক সাইফ নেওয়াজ বলেন, “মোতালেবকে খুব কাছ থেকে মাথায় গুলি করা হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যে খুলনায় একটি বিভাগীয় শ্রমিক সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। সেটা নিয়ে তিনি কাজ করছিলেন।