মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাদি হত্যায় জড়িত সবার নাম-ঠিকানা উন্মোচিত করে দেব: ডিএমপি কমিশনার

ছবি-সংগৃহীত

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদ্‌ঘাটন করা হবে এবং যারা ঘটনার পেছনে আছে তাদের সবার নাম ও ঠিকানা উন্মোচিত করে দেব।

শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চের অবস্থান কর্মসূচিতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। এসময় হাদি হত্যা মামলার চার্জশিট আগামী ৭ জানুয়ারির মধ্যে আদালতে পেশ করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন ডিএমপি কমিশনার।

তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চলছে। সরকার পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), র‌্যাবসহ সব গোয়েন্দা সংস্থাকে ঘটনার পেছনে কারা জড়িত, তা উদ্‌ঘাটনের দায়িত্ব দিয়েছে। এরইমধ্যে তদন্তে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।

ডিএমপি কমিশনার আরও জানান, এটি একটি রহস্যজনক হত্যাকাণ্ড। এর পেছনে অনেকের জড়িত থাকার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। কারা এর নেপথ্যে রয়েছে, তা উদ্‌ঘাটনে পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

শেখ মো. সাজ্জাত আলী আরও বলেন, এই হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা দু’টি পিস্তল আমরা উদ্ধার করেছি। তদন্তের স্বার্থে অস্ত্র দুটি বর্তমানে সিআইডিতে সায়েন্টিফিক পরীক্ষার জন্য রাখা হয়েছে।

তিনি জানান, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি ডিবি পুলিশ উদ্ধার করেছে। এ ছাড়া এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে বিপুল অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। তদন্তে ২১৮ কোটি টাকার সই করা একটি চেকও উদ্ধার করা হয়েছে।

এ সময় তথ্য ও সম্প্রচার; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জনপ্রিয়

১০ দলীয় সমঝোতায় সিরাজগঞ্জের তিন আসনে এনসিপির প্রার্থিতা প্রত্যাহার

হাদি হত্যায় জড়িত সবার নাম-ঠিকানা উন্মোচিত করে দেব: ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশের সময় : ০৪:২৭:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদ্‌ঘাটন করা হবে এবং যারা ঘটনার পেছনে আছে তাদের সবার নাম ও ঠিকানা উন্মোচিত করে দেব।

শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চের অবস্থান কর্মসূচিতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। এসময় হাদি হত্যা মামলার চার্জশিট আগামী ৭ জানুয়ারির মধ্যে আদালতে পেশ করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন ডিএমপি কমিশনার।

তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চলছে। সরকার পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), র‌্যাবসহ সব গোয়েন্দা সংস্থাকে ঘটনার পেছনে কারা জড়িত, তা উদ্‌ঘাটনের দায়িত্ব দিয়েছে। এরইমধ্যে তদন্তে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।

ডিএমপি কমিশনার আরও জানান, এটি একটি রহস্যজনক হত্যাকাণ্ড। এর পেছনে অনেকের জড়িত থাকার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। কারা এর নেপথ্যে রয়েছে, তা উদ্‌ঘাটনে পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

শেখ মো. সাজ্জাত আলী আরও বলেন, এই হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা দু’টি পিস্তল আমরা উদ্ধার করেছি। তদন্তের স্বার্থে অস্ত্র দুটি বর্তমানে সিআইডিতে সায়েন্টিফিক পরীক্ষার জন্য রাখা হয়েছে।

তিনি জানান, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি ডিবি পুলিশ উদ্ধার করেছে। এ ছাড়া এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে বিপুল অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। তদন্তে ২১৮ কোটি টাকার সই করা একটি চেকও উদ্ধার করা হয়েছে।

এ সময় তথ্য ও সম্প্রচার; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।