মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ওয়ানডে সিরিজ জয় করলেন বাংলাদেশ

নুরুজ্জামান লিটন ## ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ক্যারিবীয়দের ১২২ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ জয় পেয়েছিল ছয় উইকেটে। শুক্রবার দ্বিতীয় ম্যাচে সাত উইকেটে জয় পেয়েছে। এ দু’টি জয়ের ফলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ওয়ানডে সিরিজ জয় করে নিয়েছে তামিম বাহিনীরা।
প্রথমে ব্যাটিং নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সংগ্রহ করে ১৪৮ রান। জয়ের লক্ষ্যে পরে ব্যাটিংয়ে নেমে দলনেতা তামিম ইকবালের অর্ধশত রানের সুবাদে তিন উইকেট হারিয় জয় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের।
স্বাগতিকরা ১৪৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালই হয়। লিটন দাস ফিরে যাওয়ার আগে করেন ২৪ রান। নাজমুল হোসেন শান্ত অনেকটা হতাশ করেন। তিনি ফেরেন ১৭ রানে। এক প্রান্ত আগলে রেখে অধিনায়ক তামিম ফেরেন দলের শতরান পার করে। তার আগে তিনি তুলে নেন অর্ধশত রান।
অধিনায়ক অর্ধশত রান করলেও সাকিব অপরাজিত ছিলেন ৪৩ রানে। মুশফিকুর রহীমের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ৪০ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন সাকিব। মুশফিক করেন নয় রান।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে আজও ইতিবাচক শুরুর ইংগিদ দিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপেনার সুনিল অ্যামব্রিস। ১৫ বলে ছয় রানে ফিরে যান অ্যামব্রিস।
ইনিংসের ১১তম ওভারে হাসান মাহমুদকে অসাধারণ এক পুল শটে ছক্কা হাঁকান ওটলে। তবে স্পিন আসতেই ভাঙে জশুয়া-ওটলের প্রতিরোধ। এক ওভারেই দু’জনকে ফেরান মিরাজ। ব্যক্তিগত ২৪ রানে ফেরেন অভিষিক্ত ওটলে। একই ওভারের চতুর্থ বলে বোল্ড হয়ে যান জশুয়া। তিনি করেন পাঁচ রান।
নিজের পম ওভারের শেষ বলে আন্দ্রে ম্যাকার্থিকে আর্মারে বোকা বানান সাকিব। স্লগ করতে গিয়ে সোজা বোল্ড হন ৭ বলে ৩ রান করা ম্যাকার্থি। আগের ম্যাচে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৪৪ রান করা মায়ারস এবার ফেরেন শূন্য রানে।
মাত্র ৪১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে কঠিন চাপে পড়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ষষ্ঠ উইকেটে ইনিংস সর্বোচ্চ ২৬ রানের জুটি গড়েন জেসন মোহাম্মদ ও এনক্রুমাহ বোনার। দলীয় ৭১ রানে ঘটে উইন্ডিজের সপ্তম উইকেটের পতন। দলীয় নব্বইয়ের আগেই অষ্টম উইকেট হারানোর পর পাল্টা আক্রমণ করেন রভম্যান পাওয়েল ও আলঝারি জোসেফ। দুই স্পিনার মেহেদি মিরাজ ও সাকিব আল হাসানের বিপক্ষে আক্রমণাত্মক খেলতে থাকেন তারা। তাদের জুটিতে আসে ইনিংস সর্বোচ্চ ৩২ রান।
শেষ উইকেট জুটি ভাঙতে ৬.১ ওভার বোলিং করতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
সবমিলিয়ে ৯.৪ ওভারে মাত্র ২৫ রান খরচায় চারটি উইকেট নেন মিরাজ। ওয়ানডেতে এটিই তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার। এছাড়া দু’টি করে উইকেট গেছে সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমানের ঝুলিতে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

জনপ্রিয়

পঞ্চগড়ে কৃষকের অধিকার ও অন্তর্ভুক্তিকরন এবং নারী ও শিশুর সহিংসতারোধে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত

ওয়ানডে সিরিজ জয় করলেন বাংলাদেশ

প্রকাশের সময় : ০৯:২১:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ জানুয়ারী ২০২১

নুরুজ্জামান লিটন ## ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ক্যারিবীয়দের ১২২ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ জয় পেয়েছিল ছয় উইকেটে। শুক্রবার দ্বিতীয় ম্যাচে সাত উইকেটে জয় পেয়েছে। এ দু’টি জয়ের ফলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ওয়ানডে সিরিজ জয় করে নিয়েছে তামিম বাহিনীরা।
প্রথমে ব্যাটিং নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সংগ্রহ করে ১৪৮ রান। জয়ের লক্ষ্যে পরে ব্যাটিংয়ে নেমে দলনেতা তামিম ইকবালের অর্ধশত রানের সুবাদে তিন উইকেট হারিয় জয় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের।
স্বাগতিকরা ১৪৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালই হয়। লিটন দাস ফিরে যাওয়ার আগে করেন ২৪ রান। নাজমুল হোসেন শান্ত অনেকটা হতাশ করেন। তিনি ফেরেন ১৭ রানে। এক প্রান্ত আগলে রেখে অধিনায়ক তামিম ফেরেন দলের শতরান পার করে। তার আগে তিনি তুলে নেন অর্ধশত রান।
অধিনায়ক অর্ধশত রান করলেও সাকিব অপরাজিত ছিলেন ৪৩ রানে। মুশফিকুর রহীমের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ৪০ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন সাকিব। মুশফিক করেন নয় রান।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে আজও ইতিবাচক শুরুর ইংগিদ দিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপেনার সুনিল অ্যামব্রিস। ১৫ বলে ছয় রানে ফিরে যান অ্যামব্রিস।
ইনিংসের ১১তম ওভারে হাসান মাহমুদকে অসাধারণ এক পুল শটে ছক্কা হাঁকান ওটলে। তবে স্পিন আসতেই ভাঙে জশুয়া-ওটলের প্রতিরোধ। এক ওভারেই দু’জনকে ফেরান মিরাজ। ব্যক্তিগত ২৪ রানে ফেরেন অভিষিক্ত ওটলে। একই ওভারের চতুর্থ বলে বোল্ড হয়ে যান জশুয়া। তিনি করেন পাঁচ রান।
নিজের পম ওভারের শেষ বলে আন্দ্রে ম্যাকার্থিকে আর্মারে বোকা বানান সাকিব। স্লগ করতে গিয়ে সোজা বোল্ড হন ৭ বলে ৩ রান করা ম্যাকার্থি। আগের ম্যাচে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৪৪ রান করা মায়ারস এবার ফেরেন শূন্য রানে।
মাত্র ৪১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে কঠিন চাপে পড়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ষষ্ঠ উইকেটে ইনিংস সর্বোচ্চ ২৬ রানের জুটি গড়েন জেসন মোহাম্মদ ও এনক্রুমাহ বোনার। দলীয় ৭১ রানে ঘটে উইন্ডিজের সপ্তম উইকেটের পতন। দলীয় নব্বইয়ের আগেই অষ্টম উইকেট হারানোর পর পাল্টা আক্রমণ করেন রভম্যান পাওয়েল ও আলঝারি জোসেফ। দুই স্পিনার মেহেদি মিরাজ ও সাকিব আল হাসানের বিপক্ষে আক্রমণাত্মক খেলতে থাকেন তারা। তাদের জুটিতে আসে ইনিংস সর্বোচ্চ ৩২ রান।
শেষ উইকেট জুটি ভাঙতে ৬.১ ওভার বোলিং করতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
সবমিলিয়ে ৯.৪ ওভারে মাত্র ২৫ রান খরচায় চারটি উইকেট নেন মিরাজ। ওয়ানডেতে এটিই তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার। এছাড়া দু’টি করে উইকেট গেছে সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমানের ঝুলিতে।