
বার্তাকণ্ঠ ডেস্ক ##
ধূমপান ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। অনেকেই ভেবে থাকেন ধূমপান ছেড়ে দিয়েও কোনো লাভ নেই! কারণ ফুসফুস যতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার তা তো হয়েই গেছে! এটি একেবারেই ভুল ধারণা। সিগারেটের একমাত্র ক্ষতিকারক উপাদান হলো নিকোটিন, নিকোটিন অবশ্যই স্পর্শকাতর। তবে সিগারেট তামাকের আরও অনেক ক্ষতিকারক পদার্থ আছে। সিগারেটে কমপক্ষে ৭ হাজার রাসায়নিক আছে। এগুলো শরীরে প্রবেশ করলে ৬৯টি কার্সিনোজেনিক উত্পাদন হতে পারে।
১. ধূমপান মানসিক চাপ থেকে মুক্তি দেয়- এটি একটি ভুল ধারণা। বিজ্ঞানের মতে, ধূমপান মানসিক চাপ কমায় না বরং বাড়ায়। কারণ ধূমপানের সময় আপনার দেহ নিকোটিন প্রত্যাহার করে। এই প্রত্যাহার উদ্বেগ, চাপকে আরও বাড়িয়ে তোলে। সরাসরি আপনার মেজাজকে প্রভাবিত করে।
২. হালকা সিগারেটে ক্ষতি কম- মার্কিন জার্নাল অব পাবলিক হেলথের সমীক্ষায় আরও প্রকাশিত হয়েছে, প্রায় ১০ শতাংশ মানুষ হালকা সিগারেট খেয়ে ভাবেন শরীরের কম ক্ষতি হবে। এই ধারণাটিও ভুল। কারণ সিগারেটে কমপক্ষে ৭ হাজার রাসায়নিক থাকে।
৩. দিনে ২-৩টি সিগারেট খাওয়া ক্ষতিকারক নয়- ২০১৫ সালে বিএমসি মেডিসিনে প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রতিদিন যদি একটি করেও সিগারেট খান; তাহলেও আপনার ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দিনে ২-৩টি সিগারেট খেলে কোনো ক্ষতিই হবে না, এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। একমাত্র ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করলেই আপনার ফুসফুস আগের ক্ষত সারিয়ে নেবে।
৪. ধূমপান ত্যাগ করেও কোনো লাভ নেই- যারা নিয়মিত ধূমপান করেন; তারা ভাবেন ফুসফুসের ক্ষতি তো হয়েছেই! এখন ধূমপান ত্যাগ করে কী লাভ? এ ধারণাটি একদমই ভুল। যখনই আপনি সিগারেট খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করবেন; তখনই আপনার দেহ এবং ফুসফুস আগের ক্ষত সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে।
নিজস্ব সংবাদদাতা 







































