মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আপাতত টিকা নয় বাংলাদেশকে, স্পষ্ট জানিয়ে দিলো ভারত

আন্তর্জাতিকডেস্ক ##   বাংলাদেশসহ কোনো দেশই আপাতত ভারতে উৎপাদিত টিকা পাচ্ছে না বলে জানিয়ে দিয়েছে দেশটি। উল্টো টিকা কোন দেশ থেকে আমদানি করা যায় সেটা নিয়ে ভাবছে তারা।

শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী এ তথ্য জানান। বাংলাদেশে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ ভারতের কাছ থেকে পাওয়া প্রথম দফার টিকা নিয়ে বসে রয়েছেন পরবর্তী ডোজের জন্য। দ্বিতীয় ডোজের সময় পেরিয়েছে আড়াই-তিন মাস।

সাংবাদিক বৈঠকে অরিন্দম বাগচীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আপনারা জানেন প্রতিষেধক ও অন্যান্য সরঞ্জাম বাইরের দেশগুলিতে রফতানির ক্ষেত্রে ভারতই সবার আগে ছিলো। কিন্তু আমরা এখন বাইরে থেকে সরবরাহ (প্রতিষেধক) আমদানিই নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি। সেই প্রেক্ষাপটে প্রতিষেধক রফতানি করার প্রশ্ন ওঠাটাই ঠিক নয়। আমরা এখন ঘরোয়া প্রতিষেধক তৈরির কর্মসূচিকেই মূল লক্ষ্যবস্তু করছি।

কূটনৈতিক মহল বলছে, খুবই প্রাঞ্জল করে মুখপাত্র জানিয়ে দিয়েছেন প্রতিষেধক রফতানির প্রশ্নই উঠছে না। তার কারণ দেশে যেভাবে টিকাকরণ করা সম্ভব হবে বলে ধরে নেয়া হয়েছিলো তার ধারেকাছে দিয়েও যেতে পারেনি মোদি সরকার। কিন্তু সেই সঙ্গে এই বিতর্কও উঠছে যে, কেন্দ্র নিজে থেকেই বারবার বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বকে আশ্বস্ত করেছিলো ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’-এর নীতির কথা বলে। এপ্রিলের গোড়ায়, অর্থাৎ ভারতে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার ঠিক আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাইসিনা সংলাপে জানিয়েছিলেন, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ভারতের যেটুকু সম্পদ তা গোটা বিশ্বের সঙ্গে ভাগ করে নেয়াতেই বিশ্বাস করে তার সরকার।

বাংলাদেশের বক্তব্য, ভারতের এমন আশ্বাসেই অন্য কোনো দেশের দিকে তাকানো হয়নি। এমন কী প্রাথমিকভাবে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছিলো চীনকেও। উপায়ান্তর না দেখে এখন সেই চীনেরই দ্বারস্থ হতে হচ্ছে। যদিও আমরা এখনো জানি না, যারা ভারতের কাছ থেকে প্রথম ডোজ় নিয়ে বসে রয়েছেন তাঁদের এখন প্রোটোকল কী হবে?

বাংলাদেশ সূত্রের বরাতে আনন্দবাজার পত্রিকা আরো বলছে, অবশ্য এ কথাও জানা যাচ্ছে, পররাষ্ট্র সচিব ও বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বেশ কিছুদিন আগেই ঘরোয়াভাবে ঢাকাকে সতর্ক করেছিলেন। জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ যেনো তাদের নাগরিকদের জন্য প্রতিষেধকের বিকল্প ব্যবস্থা করতে শুরু করে। কারণ, অন্য দেশকে দেয়ার মতো বাড়তি টিকা ভারতের হাতে নেই।

জনপ্রিয়

বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে হার্ডলাইনে বিএনপি, স্বতন্ত্র প্রার্থী শতাধিক

আপাতত টিকা নয় বাংলাদেশকে, স্পষ্ট জানিয়ে দিলো ভারত

প্রকাশের সময় : ০৭:৫০:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুন ২০২১

আন্তর্জাতিকডেস্ক ##   বাংলাদেশসহ কোনো দেশই আপাতত ভারতে উৎপাদিত টিকা পাচ্ছে না বলে জানিয়ে দিয়েছে দেশটি। উল্টো টিকা কোন দেশ থেকে আমদানি করা যায় সেটা নিয়ে ভাবছে তারা।

শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী এ তথ্য জানান। বাংলাদেশে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ ভারতের কাছ থেকে পাওয়া প্রথম দফার টিকা নিয়ে বসে রয়েছেন পরবর্তী ডোজের জন্য। দ্বিতীয় ডোজের সময় পেরিয়েছে আড়াই-তিন মাস।

সাংবাদিক বৈঠকে অরিন্দম বাগচীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আপনারা জানেন প্রতিষেধক ও অন্যান্য সরঞ্জাম বাইরের দেশগুলিতে রফতানির ক্ষেত্রে ভারতই সবার আগে ছিলো। কিন্তু আমরা এখন বাইরে থেকে সরবরাহ (প্রতিষেধক) আমদানিই নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি। সেই প্রেক্ষাপটে প্রতিষেধক রফতানি করার প্রশ্ন ওঠাটাই ঠিক নয়। আমরা এখন ঘরোয়া প্রতিষেধক তৈরির কর্মসূচিকেই মূল লক্ষ্যবস্তু করছি।

কূটনৈতিক মহল বলছে, খুবই প্রাঞ্জল করে মুখপাত্র জানিয়ে দিয়েছেন প্রতিষেধক রফতানির প্রশ্নই উঠছে না। তার কারণ দেশে যেভাবে টিকাকরণ করা সম্ভব হবে বলে ধরে নেয়া হয়েছিলো তার ধারেকাছে দিয়েও যেতে পারেনি মোদি সরকার। কিন্তু সেই সঙ্গে এই বিতর্কও উঠছে যে, কেন্দ্র নিজে থেকেই বারবার বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বকে আশ্বস্ত করেছিলো ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’-এর নীতির কথা বলে। এপ্রিলের গোড়ায়, অর্থাৎ ভারতে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার ঠিক আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাইসিনা সংলাপে জানিয়েছিলেন, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ভারতের যেটুকু সম্পদ তা গোটা বিশ্বের সঙ্গে ভাগ করে নেয়াতেই বিশ্বাস করে তার সরকার।

বাংলাদেশের বক্তব্য, ভারতের এমন আশ্বাসেই অন্য কোনো দেশের দিকে তাকানো হয়নি। এমন কী প্রাথমিকভাবে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছিলো চীনকেও। উপায়ান্তর না দেখে এখন সেই চীনেরই দ্বারস্থ হতে হচ্ছে। যদিও আমরা এখনো জানি না, যারা ভারতের কাছ থেকে প্রথম ডোজ় নিয়ে বসে রয়েছেন তাঁদের এখন প্রোটোকল কী হবে?

বাংলাদেশ সূত্রের বরাতে আনন্দবাজার পত্রিকা আরো বলছে, অবশ্য এ কথাও জানা যাচ্ছে, পররাষ্ট্র সচিব ও বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বেশ কিছুদিন আগেই ঘরোয়াভাবে ঢাকাকে সতর্ক করেছিলেন। জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ যেনো তাদের নাগরিকদের জন্য প্রতিষেধকের বিকল্প ব্যবস্থা করতে শুরু করে। কারণ, অন্য দেশকে দেয়ার মতো বাড়তি টিকা ভারতের হাতে নেই।