
মামুন বাবু ।।
যশোরের শার্শায় বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকাবাসীর দাবির মুখে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রকৌশলী। উপজেলা প্রকৌশলীর উপস্হিতিতে কাজ করার কথা থাকলেও শুধুমাত্র প্রচীরের উপরের অংশ ভেঙ্গে আবারো নির্মাণ কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।এলাকাবাসী জানান, গত দেড় মাস আগে দক্ষিণ শার্শার পাঁচকায়বা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এ কাজের প্রথম থেকে ঝিনাইদহের কালিগঞ্জের ঠিকাদার রহমত আলী নিম্নমানের ইট, বালি ও খোয়া দিয়ে নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এলাকাবাসী এর প্রতিবাদ করলে ঠিকাদার রহমত আলী নিজেকে কালিগঞ্জের এক সংসদ সদস্য‘র ভাগ্নে বলে পরিচয় দেন। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায় সংসদ সদস্য তার আত্মীয় না। এলাকাবাসী আরো জানান,সীমানা প্রাচীর নির্মাণে ঢালাইয়ের মাঝে লোহার খাঁচা দেওয়ার কথা থাকলেও ঠিকাদার তা না করে বরং নিম্নমানের বালি, খোয়া ও স্বল্প পরিমানে সিমেন্ট ব্যবহার করেন।
বিষয়টি এলাকাবাসী উপজেলা প্রকৌশলীকে অবহিত করে প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলে। পরে উপজেলা প্রকৌশলী প্রাচীর নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন। এব্যাপারে ঠিকাদার রহমত আলী বলেন , আমার ভুল হয়েছে আমি পুনরায় প্রাচীর নির্মাণ করে দেবাে।
রহমত আলীর নির্মাণ শ্রমিক মোরাদ হোসেন প্রথমে স্বীকার না করলেও পরে তিনি বলেন, এ কাজের সম্পূর্ণ ত্রুটিযুক্ত। এমন নিম্নমানের কাজ কোথাও হয় না। এ নির্মাণ কাজের প্রথম থেকেই ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী বা বিদ্যালয়ের পক্ষে কোনো তদারকির লোক না থাকায় এই অনিয়ম হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
তিনি আরো বলেন, এক বস্তা নিম্নমানের সিমেন্টের সাথে২০ ঝুড়ি খোয়া, ১৬ ঝুড়ি বালি দিয়ে কোনো রড না দিয়ে ঢালাই দেওয়া হয়েছে। রডের খাঁচা দেওয়া হয়নি বা লিংটনের সাথে পিলারের কোনো জয়েন্ট নেই। তার কথার সত্যতা স্বীকার করেন সাথে থাকা অন্যান্য শ্রমিকরা।
এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী এম এম মামমুন হাসান বলেন, বিষয়টি জেনেই ঘটনাস্হলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সম্পূর্ন ভেঙ্গে নতুন করে আবার আমার উপস্হিতিতে কাজ করতে বলা হয়েছে। আমার উপস্হিতি ছাড়া কাজ করতে নিষেধ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন এলাকার গণ্যমান্যব্যক্তিদের সাথে নিয়ে আমি পুনরায় কাজ শুরু করতে চাই।
নিজস্ব সংবাদদাতা 






































