রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে এক বছর পর মিয়ানমারের সঙ্গে বৈঠক

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময় : ০৯:৩০:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২২
  • ১২৮
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে দীর্ঘ এক বছর পর মিয়ানমারের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দু’দেশের নবগঠিত যৌথ টাস্কফোর্সের এ বৈঠকে ৮ লাখ রোহিঙ্গার তালিকা যাচাই-বাছাইয়ে ধীরগতিতে মিয়ানমারের প্রতি হতাশা প্রকাশ করে বাংলাদেশ।

অন্যদিকে, কারিগরি জটিলতা ও তথ্যের ঘাটতি কাটিয়ে অনিষ্পন্ন ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া শেষের আশ্বাস দেয় দেশটি। যাচাই-বাছাইয়ে টাস্কফোর্স কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয়।

বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘অ্যাডহক টাস্কফোর্স ফর ভেরিফিকেশন অব দ্য ডিসপ্লেসড পার্সনস ফ্রম রাখাইন’ এর বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত এবং মিয়ানমারের নেতৃত্বে ছিলেন দেশটির ইমিগ্রেশন ও পপুলেশন মন্ত্রণালয়ের উপমহাপরিচালক ইয়ে তুন ও।’

ছয় দফায় মোট ৮ লাখ রোহিঙ্গার তালিকা মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে মাত্র ৪২ হাজারের ‘ভেরিফিকেশন’ শেষ করেছে মিয়ানমার। ওয়ার্কিং কমিটির এ বৈঠকে আটকে থাকা ভেরিফিকেশনের ক্ষেত্রে জটিলতা ও ঘাটতি দূর করার উপর গুরুত্ব দেয়া হয়। এছাড়া, রাখাইনে সহায়ক পরিবেশ তৈরি এবং বাস্তুচ্যুত মানুষদের মাঝে আস্থা ফেরানোর উপরও  আলোচনা হয়। যাচাই বাছাইয়ে দেরির কারণ খুঁজতে উভয়পক্ষই নিজেদের সদিচ্ছার কথা তুলে ধরে।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে সেনা অভিযান শুরুর পর কয়েক মাসের মধ্যে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। আন্তর্জাতিক চাপে মিয়ানমার সরকার ২০১৭ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করলেও সেই প্রত্যাবাসন আজও শুরু হয়নি। ২০১৯ সালে দুই দফা প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও, রাখাইনে নিরাপত্তার শঙ্কায় ফিরতে রাজি হননি রোহিঙ্গারা। সবশেষ ২০২১ সালের ১৯ জানুয়ারি চীনের মধ্যস্থতায় ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হয় মিয়ানমারের সঙ্গে।

ওই বৈঠকে, পরের মাস ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দুই দেশের ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু এর মধ্যে ফেব্রুয়ারির শুরুতে মিয়ানমারে অং সান সু চির সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে সামরিক জান্তা।
জনপ্রিয়

যশোরে ছুরিকাঘাতে দুই যুবক জখম

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে এক বছর পর মিয়ানমারের সঙ্গে বৈঠক

প্রকাশের সময় : ০৯:৩০:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২২
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে দীর্ঘ এক বছর পর মিয়ানমারের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দু’দেশের নবগঠিত যৌথ টাস্কফোর্সের এ বৈঠকে ৮ লাখ রোহিঙ্গার তালিকা যাচাই-বাছাইয়ে ধীরগতিতে মিয়ানমারের প্রতি হতাশা প্রকাশ করে বাংলাদেশ।

অন্যদিকে, কারিগরি জটিলতা ও তথ্যের ঘাটতি কাটিয়ে অনিষ্পন্ন ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া শেষের আশ্বাস দেয় দেশটি। যাচাই-বাছাইয়ে টাস্কফোর্স কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয়।

বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘অ্যাডহক টাস্কফোর্স ফর ভেরিফিকেশন অব দ্য ডিসপ্লেসড পার্সনস ফ্রম রাখাইন’ এর বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত এবং মিয়ানমারের নেতৃত্বে ছিলেন দেশটির ইমিগ্রেশন ও পপুলেশন মন্ত্রণালয়ের উপমহাপরিচালক ইয়ে তুন ও।’

ছয় দফায় মোট ৮ লাখ রোহিঙ্গার তালিকা মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে মাত্র ৪২ হাজারের ‘ভেরিফিকেশন’ শেষ করেছে মিয়ানমার। ওয়ার্কিং কমিটির এ বৈঠকে আটকে থাকা ভেরিফিকেশনের ক্ষেত্রে জটিলতা ও ঘাটতি দূর করার উপর গুরুত্ব দেয়া হয়। এছাড়া, রাখাইনে সহায়ক পরিবেশ তৈরি এবং বাস্তুচ্যুত মানুষদের মাঝে আস্থা ফেরানোর উপরও  আলোচনা হয়। যাচাই বাছাইয়ে দেরির কারণ খুঁজতে উভয়পক্ষই নিজেদের সদিচ্ছার কথা তুলে ধরে।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে সেনা অভিযান শুরুর পর কয়েক মাসের মধ্যে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। আন্তর্জাতিক চাপে মিয়ানমার সরকার ২০১৭ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করলেও সেই প্রত্যাবাসন আজও শুরু হয়নি। ২০১৯ সালে দুই দফা প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও, রাখাইনে নিরাপত্তার শঙ্কায় ফিরতে রাজি হননি রোহিঙ্গারা। সবশেষ ২০২১ সালের ১৯ জানুয়ারি চীনের মধ্যস্থতায় ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হয় মিয়ানমারের সঙ্গে।

ওই বৈঠকে, পরের মাস ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দুই দেশের ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু এর মধ্যে ফেব্রুয়ারির শুরুতে মিয়ানমারে অং সান সু চির সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে সামরিক জান্তা।