রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইউক্রেনে অস্ত্রের দোকানে ক্রেতার লম্বা লাইন

সংগৃহীত ছবি

ইউক্রেনের রুশ হামলার আগেই দেশটিতে অস্ত্র ব্যবসা এখন রমরমা। ইউক্রেনের নাগরিকরা বন্দুক, স্নাইপার রাইফেল ও গোলাবারুদ কিনছেন। বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দেশটির অস্ত্রের দোকানের সামনে দেখা গেছে ক্রেতার লম্বা লাইন। দ্য গার্ডিয়ানের খবর।

ইউক্রেনে জারি করা জরুরি অবস্থার মধ্যেই দেশটির পার্লামেন্টে একটি খসড়া আইনে নাগরিকদের অস্ত্র কেনা এবং বহন করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এর আগে, ইউক্রেনে অস্ত্র নিয়ে ঘরের বাইরে বের হওয়ার ব্যাপারে ছিল নিষেধাজ্ঞা।

ইউক্রেনের অধিকাংশ নারী এবং পুরুষ স্কুলে থাকতেই গুলি করা শেখে। ২০১৪ সালে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ক্রাইমিয়া দখল এবং দেশটির পূর্ব প্রান্তে রাশিয়ার সেনা মোতায়েনে প্রেক্ষাপটে ইউক্রেনের প্রায় ৪ লাখ মানুষের যুদ্ধের অভিজ্ঞতা আছে বলে অনুমান করা হয়েছে।

কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে কিয়েভে রুশ আক্রমণের শঙ্কা দানা বাধলে দেশটির নাগরিকদের মধ্যে অস্ত্র কেনার বিশেষ তৎপরতা দেখা যায়। জানা গেছে, অস্ত্রের দোকানগুলোতে সব এ আর-১০ এবং এ আর-১৫ অ্যাসল্ট রাইফেল বিক্রি হয়ে গেছে। কিয়েভের পুশকিন স্ট্রিটের একটি অস্ত্রের দোকানের সামনে থেকে দারিয়া অলেক্সান্দ্রিভনা নামের এক ইউক্রেন নাগরিক বলেন, অবশ্যই এই পরিস্থিতি নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় আছি আমরা। সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ সমাধানের আশাই করছি কিন্তু সবকিছুর জন্যই প্রস্তুত থাকতে হবে।

জনপ্রিয়

যুক্তরাষ্ট্রে ৫ কোটি টাকা মূল্যের ট্রাকভর্তি জীবিত গলদা চিংড়ি চুরি

ইউক্রেনে অস্ত্রের দোকানে ক্রেতার লম্বা লাইন

প্রকাশের সময় : ০৩:৫৬:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২

ইউক্রেনের রুশ হামলার আগেই দেশটিতে অস্ত্র ব্যবসা এখন রমরমা। ইউক্রেনের নাগরিকরা বন্দুক, স্নাইপার রাইফেল ও গোলাবারুদ কিনছেন। বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দেশটির অস্ত্রের দোকানের সামনে দেখা গেছে ক্রেতার লম্বা লাইন। দ্য গার্ডিয়ানের খবর।

ইউক্রেনে জারি করা জরুরি অবস্থার মধ্যেই দেশটির পার্লামেন্টে একটি খসড়া আইনে নাগরিকদের অস্ত্র কেনা এবং বহন করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এর আগে, ইউক্রেনে অস্ত্র নিয়ে ঘরের বাইরে বের হওয়ার ব্যাপারে ছিল নিষেধাজ্ঞা।

ইউক্রেনের অধিকাংশ নারী এবং পুরুষ স্কুলে থাকতেই গুলি করা শেখে। ২০১৪ সালে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ক্রাইমিয়া দখল এবং দেশটির পূর্ব প্রান্তে রাশিয়ার সেনা মোতায়েনে প্রেক্ষাপটে ইউক্রেনের প্রায় ৪ লাখ মানুষের যুদ্ধের অভিজ্ঞতা আছে বলে অনুমান করা হয়েছে।

কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে কিয়েভে রুশ আক্রমণের শঙ্কা দানা বাধলে দেশটির নাগরিকদের মধ্যে অস্ত্র কেনার বিশেষ তৎপরতা দেখা যায়। জানা গেছে, অস্ত্রের দোকানগুলোতে সব এ আর-১০ এবং এ আর-১৫ অ্যাসল্ট রাইফেল বিক্রি হয়ে গেছে। কিয়েভের পুশকিন স্ট্রিটের একটি অস্ত্রের দোকানের সামনে থেকে দারিয়া অলেক্সান্দ্রিভনা নামের এক ইউক্রেন নাগরিক বলেন, অবশ্যই এই পরিস্থিতি নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় আছি আমরা। সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ সমাধানের আশাই করছি কিন্তু সবকিছুর জন্যই প্রস্তুত থাকতে হবে।