মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ক্ষেতলালে পাখিদের জন্য গাছের ডালে মাটির কৃত্রিম বাসা তৈরি

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে পাখিদের বসবাসের জন্য গাছের ডালে মাটির কৃত্রিম বাসা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে শান্তিসংঘ- কল্যানের পথে নামের একটি সংগঠন। গত ৭ (অক্টোবর) শুক্রবার উপজেলা রোয়াইর , কাটাহার ও আন্দারীর চৌরস্তার  মোড়ে থাকা গাছের ডালে ২০০টি বাসা বেঁধে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ওই সংগঠনের সভাপতি এম রাসেল আহমেদ।
জানা গেছে, খাদ্য ভান্ডার ক্ষেত উত্তরের জনপদ জয়পুরহাট। বিস্তৃর্ন ফসেলের মাঠ এ জেলার প্রাণ কেন্দ্র জুরিয়ে। সবুজে ঘেরা প্রকৃতি দোলা দেয় বাতাসে। এ জেলায় প্রচুর ধান, আলু, সরিষা, আখ, পাট , কলা ,কচু জন্মে। জমিতে কিটনাষক ছিটাতে হয় পোকার আক্রমন থেকে রক্ষা পেতে কিন্তু আগের দিনে পাখিরা এসব পোকা মাকড় খেয়ে বাচতো। সেই কিটনাষক ব্যবহারে পাখির সংখ্যা দিন দিন কমতে শুরু করেছে বহু আগে থেকে। তাছাড়া বড়বড় গাছ কাটার ফলে হারিয়ে যেতে বসেছে আমাদের পরিবেশ রক্ষাকারী পাখি। আগে গাছে গাছে পাখির বিচরণ ছিল দেখার মতো। কিন্তু, সেদিন আজ আর অবশিষ্ট নেই। পাখিও এখন আর আগের মতো দেখা যায় না। তাই গাছের ডালে পাখিদের বাসা বেঁধে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে শান্তিসংঘ- কল্যানের পথে নামের এই সংগঠনটি। তারই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার উপজেলা রোয়াইর , কাটাহার ও আন্দারীর চৌরস্তার  মোড়ে থাকা গাছের ডালে ২০০টি বাসা বেঁধে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন সংগঠনটি।
এবিষয়ে সংগঠনের সভাপতি এম রাসেল আহমেদ বলেন, পরিবেশ প্রকৃতি রক্ষায় পাখিদের ভূমিকা অপরিসীম। পরিবেশ-প্রকৃতির জন্য জয়পুরহাট জেলা এক অনন্য ভান্ডার। কিন্তু নানান কারণে পাখির সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। বড় গাছ না থাকায় পাখিরা  আশ্রয়স্থল হারাতে বসেছেন।  পাখিদের আশ্রয়স্থল হারানো খুবই বেদনাদায়ক। এ অবস্থা অনুধাবনের পর আমরা প্রাথমিকভাবে তাদের জন্য গাছের ডালে মাটির বাসা বেঁধে দেওয়ার কাজ শুরু করেছি। পর্যায়ক্রমে শত শত বাসা বেধে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এ কার্যক্রম শুরু করলাম।  পাখিদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে, শুরুতে আমরা রাস্তার পাশে বড় বড় বট,পাকড় গাছে এসব বাসা বসাবো। পাখির সংখ্যা বাড়ানো ও বিলুপ্তপ্রায় পাখি ফিরিয়ে আনতে গাছে গাছে পাখির নিরাপদ বাসা নিশ্চিত করতে কাজ করছি।
এ ব্যপারে পরিবেশ বিশারদ ও জননেতা  তিতাস মোস্তফা বলেন,  পর্যায়ক্রমে পুরো জয়পুরহাটের মসজিদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কবরস্থান, বাগান বাড়ি, রাস্তার পাশের গাছে গাছে- তা ছড়িয়ে দেয়া হবে। এসব বাসা রক্ষণাবেক্ষণ এবং পাখি শিকার বন্ধেও আমরা কাজ করছি। আশা করছি এ কার্যক্রমের কল্যাণে পাখিরা ফিরে আসবে।
কাটাহার রউফিয়া মাদ্রসার শিক্ষক আবু নাছের বলেন, আগে আমাদের এলাকায় অনেক পাখি ছিল ,দিন দিন এলাকায় পাখি শূন্য অবস্থা বিরাজ করছে। পাখিদের নিরাপদ বাসস্থান তৈরীতে যুবসমাজ যে ভুমিকা নিছে আমি সত্যি গর্বিত। আগে আমরা বিভিন্ন গাছে পাখির বাসা দেখতাম এখন আর সে বাসা দেখা যায়না। আশা করছি পাখিরা এই কৃত্তিম বাসস্থানে নিরাপদে অবস্থান করবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শান্তিসংঘর- কল্যানের পথে সংগঠনের সহ সভাপতি  রাব্বিউল হাসান জিন্নাহ, হেলাল উদ্দিন , সাঃ সম্পাদক জাহিদ হাসান, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক রনি বাবু, মোস্তাক আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন সহ এলাকার বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ প্রমুখ।
বার্তা/এন
জনপ্রিয়

১০ দলীয় সমঝোতায় সিরাজগঞ্জের তিন আসনে এনসিপির প্রার্থিতা প্রত্যাহার

ক্ষেতলালে পাখিদের জন্য গাছের ডালে মাটির কৃত্রিম বাসা তৈরি

প্রকাশের সময় : ০৭:০২:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ অক্টোবর ২০২২
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে পাখিদের বসবাসের জন্য গাছের ডালে মাটির কৃত্রিম বাসা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে শান্তিসংঘ- কল্যানের পথে নামের একটি সংগঠন। গত ৭ (অক্টোবর) শুক্রবার উপজেলা রোয়াইর , কাটাহার ও আন্দারীর চৌরস্তার  মোড়ে থাকা গাছের ডালে ২০০টি বাসা বেঁধে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ওই সংগঠনের সভাপতি এম রাসেল আহমেদ।
জানা গেছে, খাদ্য ভান্ডার ক্ষেত উত্তরের জনপদ জয়পুরহাট। বিস্তৃর্ন ফসেলের মাঠ এ জেলার প্রাণ কেন্দ্র জুরিয়ে। সবুজে ঘেরা প্রকৃতি দোলা দেয় বাতাসে। এ জেলায় প্রচুর ধান, আলু, সরিষা, আখ, পাট , কলা ,কচু জন্মে। জমিতে কিটনাষক ছিটাতে হয় পোকার আক্রমন থেকে রক্ষা পেতে কিন্তু আগের দিনে পাখিরা এসব পোকা মাকড় খেয়ে বাচতো। সেই কিটনাষক ব্যবহারে পাখির সংখ্যা দিন দিন কমতে শুরু করেছে বহু আগে থেকে। তাছাড়া বড়বড় গাছ কাটার ফলে হারিয়ে যেতে বসেছে আমাদের পরিবেশ রক্ষাকারী পাখি। আগে গাছে গাছে পাখির বিচরণ ছিল দেখার মতো। কিন্তু, সেদিন আজ আর অবশিষ্ট নেই। পাখিও এখন আর আগের মতো দেখা যায় না। তাই গাছের ডালে পাখিদের বাসা বেঁধে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে শান্তিসংঘ- কল্যানের পথে নামের এই সংগঠনটি। তারই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার উপজেলা রোয়াইর , কাটাহার ও আন্দারীর চৌরস্তার  মোড়ে থাকা গাছের ডালে ২০০টি বাসা বেঁধে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন সংগঠনটি।
এবিষয়ে সংগঠনের সভাপতি এম রাসেল আহমেদ বলেন, পরিবেশ প্রকৃতি রক্ষায় পাখিদের ভূমিকা অপরিসীম। পরিবেশ-প্রকৃতির জন্য জয়পুরহাট জেলা এক অনন্য ভান্ডার। কিন্তু নানান কারণে পাখির সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। বড় গাছ না থাকায় পাখিরা  আশ্রয়স্থল হারাতে বসেছেন।  পাখিদের আশ্রয়স্থল হারানো খুবই বেদনাদায়ক। এ অবস্থা অনুধাবনের পর আমরা প্রাথমিকভাবে তাদের জন্য গাছের ডালে মাটির বাসা বেঁধে দেওয়ার কাজ শুরু করেছি। পর্যায়ক্রমে শত শত বাসা বেধে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এ কার্যক্রম শুরু করলাম।  পাখিদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে, শুরুতে আমরা রাস্তার পাশে বড় বড় বট,পাকড় গাছে এসব বাসা বসাবো। পাখির সংখ্যা বাড়ানো ও বিলুপ্তপ্রায় পাখি ফিরিয়ে আনতে গাছে গাছে পাখির নিরাপদ বাসা নিশ্চিত করতে কাজ করছি।
এ ব্যপারে পরিবেশ বিশারদ ও জননেতা  তিতাস মোস্তফা বলেন,  পর্যায়ক্রমে পুরো জয়পুরহাটের মসজিদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কবরস্থান, বাগান বাড়ি, রাস্তার পাশের গাছে গাছে- তা ছড়িয়ে দেয়া হবে। এসব বাসা রক্ষণাবেক্ষণ এবং পাখি শিকার বন্ধেও আমরা কাজ করছি। আশা করছি এ কার্যক্রমের কল্যাণে পাখিরা ফিরে আসবে।
কাটাহার রউফিয়া মাদ্রসার শিক্ষক আবু নাছের বলেন, আগে আমাদের এলাকায় অনেক পাখি ছিল ,দিন দিন এলাকায় পাখি শূন্য অবস্থা বিরাজ করছে। পাখিদের নিরাপদ বাসস্থান তৈরীতে যুবসমাজ যে ভুমিকা নিছে আমি সত্যি গর্বিত। আগে আমরা বিভিন্ন গাছে পাখির বাসা দেখতাম এখন আর সে বাসা দেখা যায়না। আশা করছি পাখিরা এই কৃত্তিম বাসস্থানে নিরাপদে অবস্থান করবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শান্তিসংঘর- কল্যানের পথে সংগঠনের সহ সভাপতি  রাব্বিউল হাসান জিন্নাহ, হেলাল উদ্দিন , সাঃ সম্পাদক জাহিদ হাসান, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক রনি বাবু, মোস্তাক আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন সহ এলাকার বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ প্রমুখ।
বার্তা/এন