বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জনগনের দাবি, নিজের ভোট নিজে দিতে চায়: গয়েশ্বর

খুলনা বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, সরকার নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করতে পারে। বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে নেতাকর্মীরা আসবে। যদি এমন কোন বাঁধা অতিক্রম করতে কষ্ট হয়, যেখানে বাঁধা আসবে, সেখানেই যুদ্ধ করতে হবে।

শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবের ব্যাংকুয়েট হলে অনুষ্ঠিত খুলনা বিভাগীয় সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। আগামী ২২ অক্টোবর খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করতে এই সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান উপদেষ্টা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরও বলেন, জনগন নির্বাচন চায় অবাধ এবং সুষ্ঠ। যেটা বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখে সম্ভব না। গাইবান্ধার উপনির্বাচন তার প্রমাণ। এতেই প্রমাণ হয় এই সরকারের হাতে নূন্যতম ক্ষমতা থাকা অবস্থায় কোন নির্বাচন কমিশনের পক্ষে নির্বাচন করা সম্ভব নয়। কেউ কেউ বলছে নির্বাচন কমিশন যে সৎ সেটা প্রমাণ করার জন্য সম্ভবত এই নির্বাচন স্থগিত করেছে। পাশাপাশি তাদের অক্ষমতাও পরিস্কারভাবে প্রমাণিত। সুতারাং আমাকেও যদি নির্বাচন কমিশনের প্রধান করা হয়, আমি নিজের ভোটটা দিতে পারবো কিনা সন্দেহ।
তিনি বলেন, মূল দাবি যদি আমার আদায় করতে যায়, তাহলে এই সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। সরকারের পতনটা নিশ্চিত করতে হবে। একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে। সেই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার পরবর্তীতে একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা অতিসত্বর প্রত্যাহার করতে হবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, জনগনের দাবি নিজের ভোটটি নিজে দিতে চায়। এটা রাজনৈতিক দলের দাবি না, জনগনের দাবি। জনগন সভা-সমাবেশে আসছেন, এই কারণে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের বাঁধা সত্বেও জনসভা কিন্তু আশাতিত সফল হচ্ছে।
স্থানীয় বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মান-অভিমান ভেঙে জনসভায় একত্রিত করবেন। বিভাগে একটি গণজোয়ার সৃষ্টি করবেন।যদি গণজোয়ার সৃষ্টি হয়, সেই জোয়ারেই ভেসে যাবে আওয়ামী লীগ দুবৃত্তায়ন অথবা পুলিশের অতিউৎসাহী কর্মকান্ড।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তৃতা করেন বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট শফিকুল আলম মনাসহ খুলনা বিভাগের ১০ জেলার বিএনপির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক ও আহ্বায়ক/সদস্য সচিব প্রমূখ।
বার্তাকণ্ঠ/এন
জনপ্রিয়

তারেক রহমান মঞ্চে একাই বক্তব্য রাখবেন

জনগনের দাবি, নিজের ভোট নিজে দিতে চায়: গয়েশ্বর

প্রকাশের সময় : ০৭:৪৯:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর ২০২২

খুলনা বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, সরকার নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করতে পারে। বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে নেতাকর্মীরা আসবে। যদি এমন কোন বাঁধা অতিক্রম করতে কষ্ট হয়, যেখানে বাঁধা আসবে, সেখানেই যুদ্ধ করতে হবে।

শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবের ব্যাংকুয়েট হলে অনুষ্ঠিত খুলনা বিভাগীয় সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। আগামী ২২ অক্টোবর খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করতে এই সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান উপদেষ্টা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরও বলেন, জনগন নির্বাচন চায় অবাধ এবং সুষ্ঠ। যেটা বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখে সম্ভব না। গাইবান্ধার উপনির্বাচন তার প্রমাণ। এতেই প্রমাণ হয় এই সরকারের হাতে নূন্যতম ক্ষমতা থাকা অবস্থায় কোন নির্বাচন কমিশনের পক্ষে নির্বাচন করা সম্ভব নয়। কেউ কেউ বলছে নির্বাচন কমিশন যে সৎ সেটা প্রমাণ করার জন্য সম্ভবত এই নির্বাচন স্থগিত করেছে। পাশাপাশি তাদের অক্ষমতাও পরিস্কারভাবে প্রমাণিত। সুতারাং আমাকেও যদি নির্বাচন কমিশনের প্রধান করা হয়, আমি নিজের ভোটটা দিতে পারবো কিনা সন্দেহ।
তিনি বলেন, মূল দাবি যদি আমার আদায় করতে যায়, তাহলে এই সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। সরকারের পতনটা নিশ্চিত করতে হবে। একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে। সেই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার পরবর্তীতে একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা অতিসত্বর প্রত্যাহার করতে হবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, জনগনের দাবি নিজের ভোটটি নিজে দিতে চায়। এটা রাজনৈতিক দলের দাবি না, জনগনের দাবি। জনগন সভা-সমাবেশে আসছেন, এই কারণে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের বাঁধা সত্বেও জনসভা কিন্তু আশাতিত সফল হচ্ছে।
স্থানীয় বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মান-অভিমান ভেঙে জনসভায় একত্রিত করবেন। বিভাগে একটি গণজোয়ার সৃষ্টি করবেন।যদি গণজোয়ার সৃষ্টি হয়, সেই জোয়ারেই ভেসে যাবে আওয়ামী লীগ দুবৃত্তায়ন অথবা পুলিশের অতিউৎসাহী কর্মকান্ড।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তৃতা করেন বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট শফিকুল আলম মনাসহ খুলনা বিভাগের ১০ জেলার বিএনপির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক ও আহ্বায়ক/সদস্য সচিব প্রমূখ।
বার্তাকণ্ঠ/এন