মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারতের জনতা কারফিউয়ে বেনাপোলে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

রোকনুজ্জামান রিপন :=

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘জনতা কারফিউ’ জারি করায় রবিবার সকাল থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে বন্ধ রয়েছে দু’দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য। ফলে ওপারে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে ৫ হাজার পণ্য বোঝাই ট্রাক আটকে আছে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায়।

তবে দু’দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রীরা নিজেদের দেশে ফিরতে পারছেন। সেই সঙ্গে বেনাপোল বন্দরে স্বাভাবিক রয়েছে মালামাল খালাস প্রক্রিয়া। বেনাপোল কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার আকরাম হোসেন জানান, ভারতের অভ্যন্তরে কারফিউ জারি করায় সকাল থেকে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও বন্দর ও কাস্টমসের কার্যক্রম সচল রয়েছে। সোমবার থেকে যথানিয়মে আমদানি-রপ্তানিও শুরু হবে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ্ব মফিজুর রহমান সজন জানান, সকাল থেকে দু’দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি হয়নি। তবে বন্দর থেকে মালামাল খালাস প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে।  বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি আহসান হাবীব জানান, ভারতের সঙ্গে সকাল থেকে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও এ পথে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত করছে। তবে ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞা জারি করায় গত ১৩ মার্চের পর থেকে এ পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশি ভারতে যায়নি। বাংলাদেশ সরকারের কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকায় ভারতীয়রা এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশে আসছেন। তবে তাদের সঙ্গে মেডিকেলসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকা বাধ্যতামূলক।

উল্লেখ্য, বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রী দুই দেশে যাতায়াত করে থাকেন। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন এ পথে প্রায় ৫ শতাধিক ট্রাক পণ্য আমদানি হয় এবং ভারতে রপ্তানি হয় ২ শতাধিক ট্রাক পণ্য। আমদানি রপ্তানি বন্ধ থাকায় সরকারকে প্রতিদিন ২০ কোটি টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হতে হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

জনপ্রিয়

সিরাজগঞ্জ সিজেডএমের উদ্যোগে ৬০০ হতদরিদ্রের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরি ইউনিয়নের কৈজুরি পাথালিয়াপাড়া এলাকায় সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট (সিজেডএম) এর জীবিকা উন্নয়ন কেন্দ্রের উদ্যোগে ৬০০ হতদরিদ্র নারী ও পুরুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৈজুরি বাজার জামে মসজিদের ইমাম ও কৈজুরি মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষক মাওলানা মো. জয়নাল আবেদীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন একই মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুল খালেক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিজেডএমের জীবিকা উন্নয়ন কেন্দ্র, শাহজাদপুর উপজেলা শাখার প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মো. ইসমাইল হক। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন একাউন্টস অ্যান্ড অ্যাডমিন অফিসার হাফিজুর রহমান, ফিল্ড অফিসার মো. শহিদুল ইসলামসহ জীবিকা উন্নয়ন কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। শীতবস্ত্র পেয়ে উপকারভোগী নারী ও পুরুষরা সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং শীত মৌসুমে এ সহায়তাকে সময়োপযোগী ও মানবিক উদ্যোগ হিসেবে উল্লেখ করেন।

ভারতের জনতা কারফিউয়ে বেনাপোলে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

প্রকাশের সময় : ০৭:৩০:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ মার্চ ২০২০
রোকনুজ্জামান রিপন :=

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘জনতা কারফিউ’ জারি করায় রবিবার সকাল থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে বন্ধ রয়েছে দু’দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য। ফলে ওপারে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে ৫ হাজার পণ্য বোঝাই ট্রাক আটকে আছে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায়।

তবে দু’দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রীরা নিজেদের দেশে ফিরতে পারছেন। সেই সঙ্গে বেনাপোল বন্দরে স্বাভাবিক রয়েছে মালামাল খালাস প্রক্রিয়া। বেনাপোল কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার আকরাম হোসেন জানান, ভারতের অভ্যন্তরে কারফিউ জারি করায় সকাল থেকে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও বন্দর ও কাস্টমসের কার্যক্রম সচল রয়েছে। সোমবার থেকে যথানিয়মে আমদানি-রপ্তানিও শুরু হবে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ্ব মফিজুর রহমান সজন জানান, সকাল থেকে দু’দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি হয়নি। তবে বন্দর থেকে মালামাল খালাস প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে।  বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি আহসান হাবীব জানান, ভারতের সঙ্গে সকাল থেকে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও এ পথে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত করছে। তবে ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞা জারি করায় গত ১৩ মার্চের পর থেকে এ পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশি ভারতে যায়নি। বাংলাদেশ সরকারের কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকায় ভারতীয়রা এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশে আসছেন। তবে তাদের সঙ্গে মেডিকেলসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকা বাধ্যতামূলক।

উল্লেখ্য, বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রী দুই দেশে যাতায়াত করে থাকেন। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন এ পথে প্রায় ৫ শতাধিক ট্রাক পণ্য আমদানি হয় এবং ভারতে রপ্তানি হয় ২ শতাধিক ট্রাক পণ্য। আমদানি রপ্তানি বন্ধ থাকায় সরকারকে প্রতিদিন ২০ কোটি টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হতে হয়।