
বিনোদন ডেস্ক ## সিঙ্গেল মাদার হতে ভয় পেয়েছিলেন? সেই কারণেই কী তড়িঘড়ি বিয়েটা সারলেন? দিয়া মির্জাকে এহেন প্রশ্নেরই সম্মুখীন হতে হল এবার। বিয়ের এক মাস ঘুরতে না ঘুরতেই মা হওয়ার খবর জানিয়েছেন ‘রেহনা হ্যায় তেরে দিল মে’ খ্যাত অভিনেত্রী। আর এতেই নড়েচড়ে বসেছিলেন নেটিজেনদের একাংশ। চুপিসারে অনেকেই প্রশ্ন করছিলেন, তাহলে কী বিয়ের আগেই প্রেগন্যান্ট হয়ে পড়েছিলেন নায়িকা? সোমবার অভিনেত্রীর বেবি বাম্পের ছবিতে এক নেটিজেন তাঁকে সরাসরি জিজ্ঞাসা করে ফেললেন বিষয়টি। ওই ইউজার লিখেছিলেন, ‘অভিনন্দন। কিন্তু যখন বিয়ের সময় মহিলাকে দিয়ে পৌরহিত্য করাতে পারলেন, তখন গর্ভাবস্থার কারণে বিয়েটা কেন করলেন? বিয়ের আগে কী মহিলারা সন্তানসম্ভবা হতে পারেন না? আজও কী এই ছুতমার্গ বজায় থাকবে?’
দিয়া বরাবরই স্পষ্টভাষী। এবারেও কিন্তু সেই অবতাতেই দেখা গেল তাঁকে। পালটা উত্তর দিয়ে বললেন, ‘খুবই ইন্টারেস্টিং প্রশ্ন করেছেন আপনি। প্রথমত শুধুমাত্র সন্তানসম্ভবা হওয়ার কারণে আমি বিয়ে করিনি। আমরা একসঙ্গে জীবন কাটাতে চেয়েছিলাম। যখন সুখবরটি জানতে পারি, সে সময় আমরা বিয়ের প্ল্যানিং করছিলাম। বিয়ের আনন্দ আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল ওই খবর।’
অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘কিছু সমস্যা থাকার কারণে আমরা বিষয়টি জানাইনি। আগে জটিলতাগুলি কাটাতে চেয়েছিলাম। চিকিৎসকদের সবুজ সংকেত মেলার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় গর্ভাবস্থার খবরটি জানাই। সুতরাং এটা স্পষ্ট যে বিয়েটা ফ্যাক্টর ছিল না।’
এরপরেই চেনা পরিচিত অন্দাজে দিয়া বলেন, ‘আমি আপনার প্রশ্নের উত্তর নাই দিতে পারতাম। কিন্তু তা করলাম না। কারণ আমি মনে করি যে মাতৃত্ব একজন নারীর জীবনে খুশির স্রোত বইয়ে দেয়। আমি এই দিনগুলির জন্য বহুদিন ধরে অপেক্ষা করছিলাম। কখন একজন নারী সন্তান ধারন করবেন, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। এই নিয়ে সমাজ কেন, পরিবারেরও কথা বলা উচিত নয়। ছুতমার্গ থাকার তো কথাই নেই।’
প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন দিয়া মির্জা৷ বৈভব রেখির সঙ্গে তাঁর প্রায় ৪ বছরের প্রেম পেয়েছে নতুন স্বীকৃতি৷
নিজস্ব সংবাদদাতা 







































