বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ ‍আত্মসাতের অভিযোগ

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় একাধিক সহকারী শিক্ষককে এমপিও করার নামে লাখ লাখ টাকা আত্মসাত ও ৪ বছর ধরে সহকারী শিক্ষক কে সম্মানী ভাতা না দেওয়ায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন একাধিক সহকারী শিক্ষক।
হাতীবান্ধা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এমজি মোস্তফার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন, অত্র প্রতিষ্ঠানের ডাবল শিফটের কৃষি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলামসহ কয়েকজন শিক্ষক।
প্রাপ্ত অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার হাতীবান্ধা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এমজি মোস্তফা ডাবল শিফটের শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে ডাবল শিফটের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ ও এমপিও ভুক্ত করনের নামে নিয়োগ বাণিজ্য, অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তুলেছেন  বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক। আবার নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষকদের বাদ দিয়ে ভলান্টিয়ার শিক্ষক দিয়ে পাঠদান চালাচ্ছেন। এতে শিক্ষার গুনগত মান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
অভিযোগকারী হাতীবান্ধা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ডাবল শিফটের কৃষি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, এমপিও ভুক্ত করনের নামে আমার কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা নিয়ে আত্মসাত করেছে প্রধান শিক্ষক এমজি মোস্তফা। এদিকে ৪ বছর ধরে সম্মানী ভাতা না দিয়ে নানা অভিযোগে রেজিস্টার খাতায় স্বাক্ষর নেয়া হচ্ছে। অপর অভিযোগকারী ডাবল শিফটের ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক আশিফুর রহমান বলেছেন, ডাবল শিফটের নামে তার কাছ থেকে প্রধান শিক্ষক ৩ লাখ টাকা নিয়েছেন। এসময় তার সঙ্গে নিজ অভিভাবক ছিলেন। টাকা সরাসরি প্রধান শিক্ষককে দিয়েছি। একারনে আমরা  ন্যায় বিচার প্রার্থনা অত্র বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ  দিয়েছি।
প্রধান শিক্ষক এমজি মোস্তফা  হাতীবান্ধা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এমজি মোস্তফা এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শিক্ষক নিয়োগের নামে কোন অর্থ তিনি নেননি। এখন শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে অর্থ নেয়ার কোন সুযোগ নেই।  সম্মানী ভাতার প্রসঙ্গে ওই প্রধান শিক্ষক বলেন, অভিযোগকারী শিক্ষকরা স্কুলেই আসেনা। তাদের সম্মানী ভাতা আসে কিভাবে।
অত্র স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলতাব হোসেন বলেন, এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।  তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ ‍আত্মসাতের অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ০৯:৪০:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ এপ্রিল ২০২২
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় একাধিক সহকারী শিক্ষককে এমপিও করার নামে লাখ লাখ টাকা আত্মসাত ও ৪ বছর ধরে সহকারী শিক্ষক কে সম্মানী ভাতা না দেওয়ায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন একাধিক সহকারী শিক্ষক।
হাতীবান্ধা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এমজি মোস্তফার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন, অত্র প্রতিষ্ঠানের ডাবল শিফটের কৃষি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলামসহ কয়েকজন শিক্ষক।
প্রাপ্ত অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার হাতীবান্ধা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এমজি মোস্তফা ডাবল শিফটের শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে ডাবল শিফটের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ ও এমপিও ভুক্ত করনের নামে নিয়োগ বাণিজ্য, অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তুলেছেন  বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক। আবার নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষকদের বাদ দিয়ে ভলান্টিয়ার শিক্ষক দিয়ে পাঠদান চালাচ্ছেন। এতে শিক্ষার গুনগত মান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
অভিযোগকারী হাতীবান্ধা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ডাবল শিফটের কৃষি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, এমপিও ভুক্ত করনের নামে আমার কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা নিয়ে আত্মসাত করেছে প্রধান শিক্ষক এমজি মোস্তফা। এদিকে ৪ বছর ধরে সম্মানী ভাতা না দিয়ে নানা অভিযোগে রেজিস্টার খাতায় স্বাক্ষর নেয়া হচ্ছে। অপর অভিযোগকারী ডাবল শিফটের ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক আশিফুর রহমান বলেছেন, ডাবল শিফটের নামে তার কাছ থেকে প্রধান শিক্ষক ৩ লাখ টাকা নিয়েছেন। এসময় তার সঙ্গে নিজ অভিভাবক ছিলেন। টাকা সরাসরি প্রধান শিক্ষককে দিয়েছি। একারনে আমরা  ন্যায় বিচার প্রার্থনা অত্র বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ  দিয়েছি।
প্রধান শিক্ষক এমজি মোস্তফা  হাতীবান্ধা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এমজি মোস্তফা এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শিক্ষক নিয়োগের নামে কোন অর্থ তিনি নেননি। এখন শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে অর্থ নেয়ার কোন সুযোগ নেই।  সম্মানী ভাতার প্রসঙ্গে ওই প্রধান শিক্ষক বলেন, অভিযোগকারী শিক্ষকরা স্কুলেই আসেনা। তাদের সম্মানী ভাতা আসে কিভাবে।
অত্র স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলতাব হোসেন বলেন, এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।  তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।