মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভাবিকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠালেন দেবর

লালমনিহাটের হাতীবান্ধায় ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে দেবর শাহিনুর ইসলামের লাঠির আঘাতে গুরুত্বর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কাতরাছেন মা জিন্না বেগম (৪০)।
বৃহস্পতিবার(০৫ এপ্রিল)  বিকেল ৫ টার দিকে ওই উপজেলার পাটিকাপাড়া ইউনিয়নের উত্তর পারুলিয়া ৩ নং ওয়ার্ড এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
এ বিষয়ে (১০ এপ্রিল)  শাহিনুর ইসলাম ( ৩৫)কে প্রধান আসামী করে হাতীবান্ধা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী জিন্না বেগম।
গুরুতর আহত জিন্না বেগম, শাহিনুর ইসলামের বড় ভাই জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, জিন্না আক্তারে ননদ আরজিনা বেগমের সাথে দেবর শাহিনুরের পাওনা টাকা নিয়ে কথা কথাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে জিন্না আক্তারের বড়ছেলে হৃদয় ফুপুর পক্ষ নিলে চাচা শাহিনুর লাঠি দিয়ে হৃদয়কে মারতে যায়। সে সময় ছেলে হৃদয়কে বাঁচাতে গেলে দেবর শাহিনুর তার ভাবীকে এলোপাতারি মারতে থাকে। মারধরের এক পর্যয়ে জিন্না আক্তার জ্ঞান হারিয়ে ফেললে ছেলে হৃদয়ের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য উপজেলা কমপ্লেক্স এ ভর্তি  করেন।
গুরুতর আহত জিন্না আক্তার বলেন, আমার দেবর শাহিনুর কোন মানুষ না সে একটা জানোয়ার। কোন মানুষ মহিলাকে এভাবে মারতে পারে। আমার জায়গায় ছেলে হৃদয় হলে তাকে তো সে মেরেই ফেলতো।
বদরাগী দেবর শাহিনুরের আইনের  মাধ্যমে কঠোর শাস্তি দাবী করেন ভুক্তভুগি জিন্না আক্তার।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শাহিনুর ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি আমার ভাতিজাকে লাঠি দিয়ে মারতে গেছিলাম কিন্তু কিভাবে যে ভাবীর গায়ে আঘাত লাগলো বুঝতে পারিনি।
হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ  এরশাদুল আলম বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলমান আছে দোষী ব্যক্তিকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
সংবাদ প্রকাশ পর্যন্ত জিন্না আক্তার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
জনপ্রিয়

সিরাজগঞ্জ সিজেডএমের উদ্যোগে ৬০০ হতদরিদ্রের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরি ইউনিয়নের কৈজুরি পাথালিয়াপাড়া এলাকায় সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট (সিজেডএম) এর জীবিকা উন্নয়ন কেন্দ্রের উদ্যোগে ৬০০ হতদরিদ্র নারী ও পুরুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৈজুরি বাজার জামে মসজিদের ইমাম ও কৈজুরি মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষক মাওলানা মো. জয়নাল আবেদীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন একই মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুল খালেক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিজেডএমের জীবিকা উন্নয়ন কেন্দ্র, শাহজাদপুর উপজেলা শাখার প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মো. ইসমাইল হক। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন একাউন্টস অ্যান্ড অ্যাডমিন অফিসার হাফিজুর রহমান, ফিল্ড অফিসার মো. শহিদুল ইসলামসহ জীবিকা উন্নয়ন কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। শীতবস্ত্র পেয়ে উপকারভোগী নারী ও পুরুষরা সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং শীত মৌসুমে এ সহায়তাকে সময়োপযোগী ও মানবিক উদ্যোগ হিসেবে উল্লেখ করেন।

ভাবিকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠালেন দেবর

প্রকাশের সময় : ০৭:৩১:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ মে ২০২২
লালমনিহাটের হাতীবান্ধায় ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে দেবর শাহিনুর ইসলামের লাঠির আঘাতে গুরুত্বর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কাতরাছেন মা জিন্না বেগম (৪০)।
বৃহস্পতিবার(০৫ এপ্রিল)  বিকেল ৫ টার দিকে ওই উপজেলার পাটিকাপাড়া ইউনিয়নের উত্তর পারুলিয়া ৩ নং ওয়ার্ড এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
এ বিষয়ে (১০ এপ্রিল)  শাহিনুর ইসলাম ( ৩৫)কে প্রধান আসামী করে হাতীবান্ধা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী জিন্না বেগম।
গুরুতর আহত জিন্না বেগম, শাহিনুর ইসলামের বড় ভাই জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, জিন্না আক্তারে ননদ আরজিনা বেগমের সাথে দেবর শাহিনুরের পাওনা টাকা নিয়ে কথা কথাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে জিন্না আক্তারের বড়ছেলে হৃদয় ফুপুর পক্ষ নিলে চাচা শাহিনুর লাঠি দিয়ে হৃদয়কে মারতে যায়। সে সময় ছেলে হৃদয়কে বাঁচাতে গেলে দেবর শাহিনুর তার ভাবীকে এলোপাতারি মারতে থাকে। মারধরের এক পর্যয়ে জিন্না আক্তার জ্ঞান হারিয়ে ফেললে ছেলে হৃদয়ের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য উপজেলা কমপ্লেক্স এ ভর্তি  করেন।
গুরুতর আহত জিন্না আক্তার বলেন, আমার দেবর শাহিনুর কোন মানুষ না সে একটা জানোয়ার। কোন মানুষ মহিলাকে এভাবে মারতে পারে। আমার জায়গায় ছেলে হৃদয় হলে তাকে তো সে মেরেই ফেলতো।
বদরাগী দেবর শাহিনুরের আইনের  মাধ্যমে কঠোর শাস্তি দাবী করেন ভুক্তভুগি জিন্না আক্তার।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শাহিনুর ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি আমার ভাতিজাকে লাঠি দিয়ে মারতে গেছিলাম কিন্তু কিভাবে যে ভাবীর গায়ে আঘাত লাগলো বুঝতে পারিনি।
হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ  এরশাদুল আলম বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলমান আছে দোষী ব্যক্তিকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
সংবাদ প্রকাশ পর্যন্ত জিন্না আক্তার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।