রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাউজানে অপহরণের ১৩ ঘণ্টা পর স্কুলছাত্র উদ্ধার

স্কুলছাত্র সাজিদুল ইসলাম সাজিদ

অপহরণের ১৩ ঘণ্টা পর উদ্ধার স্কুল ছাত্র মো.সাজিদুল ইসলাম সাজিদ (১২)। রবিবার (৫ মে) দুপুরে স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফেরার পথে দক্ষিণ রাউজানের পাহাড়তলী চৌমুহনী থেকে তাকে অপহরণ করে সংঘবদ্ধ একটি চত্রু। ঘটনাস্থল থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে রাউজান সদর মুন্সির ঘাটা এলাকা থেকে রাত ২টায় তাকে উদ্ধার করা হয়। সাজিদ রাউজানের চুয়েট স্কুল এন্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।
স্কুল ছাত্র সাজিদ জানায়, স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পথে পথিমধ্যে একটি মেয়ে তাকে একটি কাগজ দিয়ে ঠিকানাটি কোথায় জানতে চায়। কাগজে লেখা ছিল খুবই ছোট। সাজিদ লেখা দেখতে চোখের কাছাকাছি নিয়ে আসলে তাৎক্ষণিকভাবে সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে তার জ্ঞান ফিরলে নিজেকে একটি বেড়ার ঘরে দেখতে পায়। ওখানে তিন যুবক তাকে মায়ের মোবাইল নম্বর দিতে বলে। সাজিদ মোবাইল নম্বর জানে না বললে যুবকরা তাকে মারধর করে।
এরমধ্যে ব্যাপক খোঁজাখুজি শুরু হলে অপহরণকারীরা তাকে ওখান থেকে সিএনজি ট্যাক্সি করে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার সময় সাজিদ মুন্সির ঘাটা এলাকায় ট্যাক্সি থেকে কৌশলে লাফ দেয়। এরপর ওখানে একটি দোকানে গিয়ে তার মায়ের মোবাইলে ফোন দেয়। পরিবারের লোকজন ওখান থেকে তাকে রাত দুইটায় নিয়ে আসে।
এদিকে সাজিদের মামা আঞ্চলিক পত্রিকা দৈনিক পূর্বকোণের সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার ও চট্টগ্রামের সাংবাদিক নেতা মোঃ আলি তারঁ ব্যাক্তিগত ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, ভাগিনা অপহরন পরবর্তী উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নিয়েছেন এলাকার অসংখ্য মানুষ। ভাগিনা নিখোঁজের খবরটি ফেইসবুকে দেওয়ার পর শেয়ার করেছেন ১৬ শতের উপরে ফেইসবুক বন্ধু। প্রতিনিয়ত খবরাখবর নিয়েছেন অসংখ্য মানবিক মানুষ। সহযোগিতা দিয়েছেন জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ। তাদের এ সহযোগিতার জন্য আজীবন ঋণী হয়ে থাকলাম।
এদিকে গত বছর রাউজানের কদলপুরে অপহরন করে এক যুবককে হত্যা করে লাশ টুকরো টুকরো করে উপজাতী পাহাড়ী যুবকরা। এর পর থেকে এখনো অজানা আতংক বিরাজ করে মানুষের মাঝে সে লোহমহর্ষক ঘটনাটি নিয়ে।

রাউজানে অপহরণের ১৩ ঘণ্টা পর স্কুলছাত্র উদ্ধার

প্রকাশের সময় : ১০:১৭:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪
অপহরণের ১৩ ঘণ্টা পর উদ্ধার স্কুল ছাত্র মো.সাজিদুল ইসলাম সাজিদ (১২)। রবিবার (৫ মে) দুপুরে স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফেরার পথে দক্ষিণ রাউজানের পাহাড়তলী চৌমুহনী থেকে তাকে অপহরণ করে সংঘবদ্ধ একটি চত্রু। ঘটনাস্থল থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে রাউজান সদর মুন্সির ঘাটা এলাকা থেকে রাত ২টায় তাকে উদ্ধার করা হয়। সাজিদ রাউজানের চুয়েট স্কুল এন্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।
স্কুল ছাত্র সাজিদ জানায়, স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পথে পথিমধ্যে একটি মেয়ে তাকে একটি কাগজ দিয়ে ঠিকানাটি কোথায় জানতে চায়। কাগজে লেখা ছিল খুবই ছোট। সাজিদ লেখা দেখতে চোখের কাছাকাছি নিয়ে আসলে তাৎক্ষণিকভাবে সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে তার জ্ঞান ফিরলে নিজেকে একটি বেড়ার ঘরে দেখতে পায়। ওখানে তিন যুবক তাকে মায়ের মোবাইল নম্বর দিতে বলে। সাজিদ মোবাইল নম্বর জানে না বললে যুবকরা তাকে মারধর করে।
এরমধ্যে ব্যাপক খোঁজাখুজি শুরু হলে অপহরণকারীরা তাকে ওখান থেকে সিএনজি ট্যাক্সি করে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার সময় সাজিদ মুন্সির ঘাটা এলাকায় ট্যাক্সি থেকে কৌশলে লাফ দেয়। এরপর ওখানে একটি দোকানে গিয়ে তার মায়ের মোবাইলে ফোন দেয়। পরিবারের লোকজন ওখান থেকে তাকে রাত দুইটায় নিয়ে আসে।
এদিকে সাজিদের মামা আঞ্চলিক পত্রিকা দৈনিক পূর্বকোণের সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার ও চট্টগ্রামের সাংবাদিক নেতা মোঃ আলি তারঁ ব্যাক্তিগত ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, ভাগিনা অপহরন পরবর্তী উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নিয়েছেন এলাকার অসংখ্য মানুষ। ভাগিনা নিখোঁজের খবরটি ফেইসবুকে দেওয়ার পর শেয়ার করেছেন ১৬ শতের উপরে ফেইসবুক বন্ধু। প্রতিনিয়ত খবরাখবর নিয়েছেন অসংখ্য মানবিক মানুষ। সহযোগিতা দিয়েছেন জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ। তাদের এ সহযোগিতার জন্য আজীবন ঋণী হয়ে থাকলাম।
এদিকে গত বছর রাউজানের কদলপুরে অপহরন করে এক যুবককে হত্যা করে লাশ টুকরো টুকরো করে উপজাতী পাহাড়ী যুবকরা। এর পর থেকে এখনো অজানা আতংক বিরাজ করে মানুষের মাঝে সে লোহমহর্ষক ঘটনাটি নিয়ে।