রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাউজানে কালবৈশাখীর তান্ডব, টিনের ঘর-গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি

টিনের ঘর ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি

চট্টগ্রামের রাউজানে কালবৈশাখীর প্রচন্ড বাতাসে টিনের ঘর ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। সোমবার (৬ মে) বিকাল ৩টার দিকে রাতের অন্ধকারাচ্ছন্নের মত হয়ে প্রচন্ড বেগে বাতাস শুরু হয়। এতে টিনের ঘর, সড়কের গাছপালা, বাগানের রাবার গাছ, বসত ভিটার আম, কাঠাল, লিছু, পেয়ারা, পেঁপে, লেবু, কলা বাগান সহ বিভিন্ন ফল মুলের বাগানের ক্ষতি সাধিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
স্থানীয়রা জানান, আমন ধান ও শাক সব্জির ক্ষতি হতে পারে প্রচুর। বিভিন্ন জায়গাতে বিদ্যুতের তার ছিড়ে গেছে। বাতাস শুরু হওয়ার আগে ব্যাপক বজ্রপাতে বিদ্যুত লাইন বন্ধ করে দেন কর্তৃপক্ষ। ২০ মিনিটের তীব্র বাতাস কমতে শুরু করলেও প্রচুর বৃষ্ট পড়তে থাকে। ৩টা ৫৫ মিনিটে এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত বৃষ্টি ও বজ্রপাত হচ্ছিল। বজ্রপাতের আতংকে মানুষ ঘর থেকে বের হবার সাহস পাচ্ছেনা। বাতাসের কারনে সড়কে যান চলাচল ক্ষণিকের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। সকলেই নিরাপদ আশ্রয়ে বাজারের বিভিন্ন দোকানে ডুকে পরে। ক্লাস চালাকালীন সময়ে তীব্র বাতাস ও বজ্রপাতে হযরত এয়াছিনশাহ পাবলিক বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় সহ অন্যান্য স্কুলের শিক্ষার্থীরা ভয়ে আতংকিত হয়ে পড়ে।
৭ম শ্রেণীর ছাত্রী সুমায়া খানম আনিসা বলেন, আমরা সকল সহপাঠিরা বজ্রপাতের ভয় পেয়ে যায় বেশি। প্রধান শিক্ষক মোঃ নাসির উদ্দিন স্যার আমাদেরকে দোয়া দরুদ পড়তে বলেন এবং আমাদের সকলকে সাহস দিচ্ছিলেন।
হাইস চালক মোঃ আবছার জানান, গাড়ি চালিয়ে শহর থেকে রাউজানে আসার পথে তীব্র বাতাসে ভয় পেয়ে গেছিলাম। দ্রুত গাড়ি থেকে নেমে একটি দোকানে আশ্রয় নিই।
তীব্র কাল বৈশাখীর বাতাসে হলদিয়া ডাবুয়ার গ্রাম গুলোতে বিদ্যুত সংযোগ কবে নাগাদ দিতে পারে এর কোন
নিশ্চয়তা দিতে পারেনি আমিরহাট উপ অফিসের কর্মকতা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানাগেছে, হালকা বজ্রপাতে সোমবার রাতে বহু এলাকা বিদ্যুত বিহীন ছিল। আজও গ্রাহকরা সে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন কিনা এটি নিয়ে চিন্তিত শত শত বিদ্যুৎ গ্রাহক।

রাউজানে কালবৈশাখীর তান্ডব, টিনের ঘর-গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি

প্রকাশের সময় : ১০:২৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪
চট্টগ্রামের রাউজানে কালবৈশাখীর প্রচন্ড বাতাসে টিনের ঘর ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। সোমবার (৬ মে) বিকাল ৩টার দিকে রাতের অন্ধকারাচ্ছন্নের মত হয়ে প্রচন্ড বেগে বাতাস শুরু হয়। এতে টিনের ঘর, সড়কের গাছপালা, বাগানের রাবার গাছ, বসত ভিটার আম, কাঠাল, লিছু, পেয়ারা, পেঁপে, লেবু, কলা বাগান সহ বিভিন্ন ফল মুলের বাগানের ক্ষতি সাধিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
স্থানীয়রা জানান, আমন ধান ও শাক সব্জির ক্ষতি হতে পারে প্রচুর। বিভিন্ন জায়গাতে বিদ্যুতের তার ছিড়ে গেছে। বাতাস শুরু হওয়ার আগে ব্যাপক বজ্রপাতে বিদ্যুত লাইন বন্ধ করে দেন কর্তৃপক্ষ। ২০ মিনিটের তীব্র বাতাস কমতে শুরু করলেও প্রচুর বৃষ্ট পড়তে থাকে। ৩টা ৫৫ মিনিটে এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত বৃষ্টি ও বজ্রপাত হচ্ছিল। বজ্রপাতের আতংকে মানুষ ঘর থেকে বের হবার সাহস পাচ্ছেনা। বাতাসের কারনে সড়কে যান চলাচল ক্ষণিকের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। সকলেই নিরাপদ আশ্রয়ে বাজারের বিভিন্ন দোকানে ডুকে পরে। ক্লাস চালাকালীন সময়ে তীব্র বাতাস ও বজ্রপাতে হযরত এয়াছিনশাহ পাবলিক বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় সহ অন্যান্য স্কুলের শিক্ষার্থীরা ভয়ে আতংকিত হয়ে পড়ে।
৭ম শ্রেণীর ছাত্রী সুমায়া খানম আনিসা বলেন, আমরা সকল সহপাঠিরা বজ্রপাতের ভয় পেয়ে যায় বেশি। প্রধান শিক্ষক মোঃ নাসির উদ্দিন স্যার আমাদেরকে দোয়া দরুদ পড়তে বলেন এবং আমাদের সকলকে সাহস দিচ্ছিলেন।
হাইস চালক মোঃ আবছার জানান, গাড়ি চালিয়ে শহর থেকে রাউজানে আসার পথে তীব্র বাতাসে ভয় পেয়ে গেছিলাম। দ্রুত গাড়ি থেকে নেমে একটি দোকানে আশ্রয় নিই।
তীব্র কাল বৈশাখীর বাতাসে হলদিয়া ডাবুয়ার গ্রাম গুলোতে বিদ্যুত সংযোগ কবে নাগাদ দিতে পারে এর কোন
নিশ্চয়তা দিতে পারেনি আমিরহাট উপ অফিসের কর্মকতা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানাগেছে, হালকা বজ্রপাতে সোমবার রাতে বহু এলাকা বিদ্যুত বিহীন ছিল। আজও গ্রাহকরা সে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন কিনা এটি নিয়ে চিন্তিত শত শত বিদ্যুৎ গ্রাহক।