রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শ্রদ্ধা

ছবি-সংগৃহীত

মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা দিবসে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়েছে জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া সংগঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১টা ২৭ মিনিটে সংগঠনটির পক্ষ থেকে শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

এ সময় সংগঠনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা, সদস্যসচিব আরিফ সোহেল, দপ্তর সম্পাদক জাহিদ আহসানসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব আরিফ সোহেল বলেন, আমাদের মায়ের ভাষায় কথা বলতে দেওয়া হয়নি। সেজন্য আমাদের বায়ান্নতে সংগ্রাম করতে হয়েছে।

তিনি বলেন, চব্বিশেও আমাদের সাংস্কৃতিক পরিচয়, রাজনৈতিক এক্সপ্রেশন, যেভাবে আমরা আমাদের জীবনকে সাজাতে চেয়েছি, সেটাকে স্বৈরাচার দমন করে রেখেছিল। তার বিরুদ্ধে আমরা ভাষা খুঁজে নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, চব্বিশে যে স্লোগানগুলো ব্যবহার করা হয়েছিল, সেগুলো আমাদের ভাষার প্রতিফলন করে। যেটি আমাদের বায়ান্নর সঙ্গে যুক্ত করে।

এর আগে, রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদনের পর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও বিচার বিভাগের বিচারপতিরা শ্রদ্ধা জানান। তাদের পরে শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।

এরপর একে একে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্টদূত, কূটনীতিক ও হাইকমিশনাররা এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে অন্যান্য নির্বাচন কমিশনাররা শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

পর্যায়ক্রমে তিন বাহিনীর পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর প্রধানরা। এরপর বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি, ডিএমপি কমিশনার এবং আনসার, বিজিবি, র‍্যাব, এনএসআইর মহাপরিচালকরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

পরে রাত ১২টা ৪০ মিনিটে সর্বস্তরের মানুষের জন্য শহীদ মিনার উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এ সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও শ্রেণি-পেশার মানুষ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

 

শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শ্রদ্ধা

প্রকাশের সময় : ০৯:০১:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা দিবসে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়েছে জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া সংগঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১টা ২৭ মিনিটে সংগঠনটির পক্ষ থেকে শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

এ সময় সংগঠনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা, সদস্যসচিব আরিফ সোহেল, দপ্তর সম্পাদক জাহিদ আহসানসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব আরিফ সোহেল বলেন, আমাদের মায়ের ভাষায় কথা বলতে দেওয়া হয়নি। সেজন্য আমাদের বায়ান্নতে সংগ্রাম করতে হয়েছে।

তিনি বলেন, চব্বিশেও আমাদের সাংস্কৃতিক পরিচয়, রাজনৈতিক এক্সপ্রেশন, যেভাবে আমরা আমাদের জীবনকে সাজাতে চেয়েছি, সেটাকে স্বৈরাচার দমন করে রেখেছিল। তার বিরুদ্ধে আমরা ভাষা খুঁজে নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, চব্বিশে যে স্লোগানগুলো ব্যবহার করা হয়েছিল, সেগুলো আমাদের ভাষার প্রতিফলন করে। যেটি আমাদের বায়ান্নর সঙ্গে যুক্ত করে।

এর আগে, রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদনের পর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও বিচার বিভাগের বিচারপতিরা শ্রদ্ধা জানান। তাদের পরে শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।

এরপর একে একে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্টদূত, কূটনীতিক ও হাইকমিশনাররা এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে অন্যান্য নির্বাচন কমিশনাররা শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

পর্যায়ক্রমে তিন বাহিনীর পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর প্রধানরা। এরপর বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি, ডিএমপি কমিশনার এবং আনসার, বিজিবি, র‍্যাব, এনএসআইর মহাপরিচালকরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

পরে রাত ১২টা ৪০ মিনিটে সর্বস্তরের মানুষের জন্য শহীদ মিনার উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এ সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও শ্রেণি-পেশার মানুষ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।