শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রান্নাঘরেই রয়েছে খুসখুসে কাশির সমাধান

নাজমা খাতুন ## শীতে সাধারণ সমস্যার মধ্যে অন্যতম হলো খুসখুস কাশি হওয়া। সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা হলেও এটি একাধারে হতে থাকলে বিরক্ত লাগে। এছাড়া সহজে এটি সারতে চায় না। এজন্য কাশি হলেই সিরাপের ওপর নির্ভর করতে হয়।

তবে এই বিরক্তিকর সমস্যা দূর করতে ওষুধের দোকান বা অন্য কোনো উপায় অবলম্বন না করে ভরসা রাখতে পারেন কাঁচা মরিচ, রসুন ও হলুদে। এসব উপদান সঠিকভাবে খেলে উপকার মিলবে। চলুনসেগুলো জেনে নিই-

রসুন ও কাঁচা মরিচ
রসুন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যসমৃদ্ধ। সর্দি-কাশির জন্য এটি কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এজন্য এক কাপ পানিতে দু-তিনটি রসুন, এক চামচ ধনেপাতার রস এবং অল্প পরিমাণে কাঁচা মরিচের কুচি মিশিয়ে দুই মিনিট ফুটিয়ে নিন। সামান্য ঠান্ডা করে মধু মিশিয়ে দিনে দু’বার খেলেই কাশি নিরাময় হয়। এ ছাড়াও রসুনের গুঁড়া, কয়েক ফোঁটা লবঙ্গ তেল এবং খানিকটা মধু গরম পানিতে মিশিয়ে পান করলেও কাশি থেকে আরাম পাওয়া যায়।

হলুদ
আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবে যুগ যুগ ধরে হলুদ ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি কাশির জন্য অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। এ জন্য আধা কাপ গরম পানিতে এক চামচ হলুদ গুঁড়া এবং এক চামচ কালো মরিচ মিশিয়ে নিন। চাইলে দারুচিনি গুঁড়াও মিশিয়ে নিতে পারেন। দু-তিন মিনিটের জন্য মিশ্রণটি ফুটিয়ে নিন। এ মিশ্রণে মধু মিশিয়ে পান করলে কাশি কমতে শুরু করবে।

পেঁয়াজ
পেঁয়াজের গন্ধ কাশি নিরাময় করতে পারে। পেঁয়াজের রসে সমপরিমাণে মধু মিশিয়ে একটি বোতলের মুখ বন্ধ করে চার ঘণ্টা রেখে দিন। মিশ্রণটি দিনে দুবার এক চামচ পরিমাণে খেলে কাশি কমে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

রান্নাঘরেই রয়েছে খুসখুসে কাশির সমাধান

প্রকাশের সময় : ০১:৪০:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২১

নাজমা খাতুন ## শীতে সাধারণ সমস্যার মধ্যে অন্যতম হলো খুসখুস কাশি হওয়া। সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা হলেও এটি একাধারে হতে থাকলে বিরক্ত লাগে। এছাড়া সহজে এটি সারতে চায় না। এজন্য কাশি হলেই সিরাপের ওপর নির্ভর করতে হয়।

তবে এই বিরক্তিকর সমস্যা দূর করতে ওষুধের দোকান বা অন্য কোনো উপায় অবলম্বন না করে ভরসা রাখতে পারেন কাঁচা মরিচ, রসুন ও হলুদে। এসব উপদান সঠিকভাবে খেলে উপকার মিলবে। চলুনসেগুলো জেনে নিই-

রসুন ও কাঁচা মরিচ
রসুন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যসমৃদ্ধ। সর্দি-কাশির জন্য এটি কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এজন্য এক কাপ পানিতে দু-তিনটি রসুন, এক চামচ ধনেপাতার রস এবং অল্প পরিমাণে কাঁচা মরিচের কুচি মিশিয়ে দুই মিনিট ফুটিয়ে নিন। সামান্য ঠান্ডা করে মধু মিশিয়ে দিনে দু’বার খেলেই কাশি নিরাময় হয়। এ ছাড়াও রসুনের গুঁড়া, কয়েক ফোঁটা লবঙ্গ তেল এবং খানিকটা মধু গরম পানিতে মিশিয়ে পান করলেও কাশি থেকে আরাম পাওয়া যায়।

হলুদ
আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবে যুগ যুগ ধরে হলুদ ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি কাশির জন্য অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। এ জন্য আধা কাপ গরম পানিতে এক চামচ হলুদ গুঁড়া এবং এক চামচ কালো মরিচ মিশিয়ে নিন। চাইলে দারুচিনি গুঁড়াও মিশিয়ে নিতে পারেন। দু-তিন মিনিটের জন্য মিশ্রণটি ফুটিয়ে নিন। এ মিশ্রণে মধু মিশিয়ে পান করলে কাশি কমতে শুরু করবে।

পেঁয়াজ
পেঁয়াজের গন্ধ কাশি নিরাময় করতে পারে। পেঁয়াজের রসে সমপরিমাণে মধু মিশিয়ে একটি বোতলের মুখ বন্ধ করে চার ঘণ্টা রেখে দিন। মিশ্রণটি দিনে দুবার এক চামচ পরিমাণে খেলে কাশি কমে।