রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লিচু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

ছবি- সংগৃহীত

লিচুর রয়েছে অনেক উপকারিতা। লিচু আমাদের শরীরের হাজারো উপকার করে। তবে এর যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই তা নয়। এর অপকারিতাও রয়েছে। নিচে লিচু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা দেয়া হলো-
লিচুর উপকারিতা:
লিচুতে রয়েছে ভিটামিন এ ও সি, নানা খনিজ উপাদান যেমন ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাংগানিজ, কপার, ফলেট যেগুলো রক্তের উপাদান তৈরিতে সহযোগিতা করে। রয়েছে এনটিঅক্সিডেনট যা আমাদের ত্বকের উজ্জল্য বৃদ্ধি করে।
লিচুতে রয়েছে-প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম যেটি আমাদের রক্ত ও নালীর চাপ কমিয়ে রক্তের স্বাভাবিক গতি বৃদ্ধি করে। তাই লিচু সেবনের একটি উপকার হল রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকা।
ভিটামিন সি প্রচুর পরিমাণে থাকায় এটি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ফলে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাঙ্গাস থেকে আমরা রক্ষা পাই।
লিচুর অপকারিতা:
মাত্রাতিরিক্ত লিচু খেলে রক্তচাপ অস্বাভাবিকভাবে কমে যেতে পারে, লিচু ওজন বৃদ্ধি করে, লিচুতে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, জরুরি ফ্যাটি এসিড নেই। ফলে বেশি পরিমাণে লিচু খেলে তা শরীরের স্বাভাবিক ব্যালেন্স নষ্ট করে। খালি পেটে লিচু খেলে শরীরে বিষক্রিয়া হতে পারে, রক্তের গ্লুকোজ কমে যায়।
তাই খেতে সুস্বাদু হলেও ইচ্ছেমত লিচু খাওয়ার সুযোগ নেই। দিনে ১০-১২ টি লিচু খাওয়া যেতে পারে।  বয়স, শরীর, অসুস্থতা ইত্যাদি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে পরিমিতভাবে লিচু বা যেকোনো ফল খেতে হবে।
এদিকে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যক্তিভেদে গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত লিচু খেলে দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। এরফলে গর্ভবতী নারীদের শারীরিক জটিলতা দেখে দিতে পারে।
যেমন: ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা, মৃত সন্তান জন্মদান এবং অ্যালার্জির প্রকোপ বাড়িয়ে তুলতে পারে অনেকটাই।
তাই গর্ভাবস্থায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী হবু মা সীমিত পরিমাণে (সারা দিনে ৩-৪টি) লিচু খেতে পারেন।

লিচু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

প্রকাশের সময় : ০১:১৬:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪
লিচুর রয়েছে অনেক উপকারিতা। লিচু আমাদের শরীরের হাজারো উপকার করে। তবে এর যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই তা নয়। এর অপকারিতাও রয়েছে। নিচে লিচু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা দেয়া হলো-
লিচুর উপকারিতা:
লিচুতে রয়েছে ভিটামিন এ ও সি, নানা খনিজ উপাদান যেমন ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাংগানিজ, কপার, ফলেট যেগুলো রক্তের উপাদান তৈরিতে সহযোগিতা করে। রয়েছে এনটিঅক্সিডেনট যা আমাদের ত্বকের উজ্জল্য বৃদ্ধি করে।
লিচুতে রয়েছে-প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম যেটি আমাদের রক্ত ও নালীর চাপ কমিয়ে রক্তের স্বাভাবিক গতি বৃদ্ধি করে। তাই লিচু সেবনের একটি উপকার হল রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকা।
ভিটামিন সি প্রচুর পরিমাণে থাকায় এটি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ফলে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাঙ্গাস থেকে আমরা রক্ষা পাই।
লিচুর অপকারিতা:
মাত্রাতিরিক্ত লিচু খেলে রক্তচাপ অস্বাভাবিকভাবে কমে যেতে পারে, লিচু ওজন বৃদ্ধি করে, লিচুতে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, জরুরি ফ্যাটি এসিড নেই। ফলে বেশি পরিমাণে লিচু খেলে তা শরীরের স্বাভাবিক ব্যালেন্স নষ্ট করে। খালি পেটে লিচু খেলে শরীরে বিষক্রিয়া হতে পারে, রক্তের গ্লুকোজ কমে যায়।
তাই খেতে সুস্বাদু হলেও ইচ্ছেমত লিচু খাওয়ার সুযোগ নেই। দিনে ১০-১২ টি লিচু খাওয়া যেতে পারে।  বয়স, শরীর, অসুস্থতা ইত্যাদি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে পরিমিতভাবে লিচু বা যেকোনো ফল খেতে হবে।
এদিকে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যক্তিভেদে গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত লিচু খেলে দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। এরফলে গর্ভবতী নারীদের শারীরিক জটিলতা দেখে দিতে পারে।
যেমন: ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা, মৃত সন্তান জন্মদান এবং অ্যালার্জির প্রকোপ বাড়িয়ে তুলতে পারে অনেকটাই।
তাই গর্ভাবস্থায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী হবু মা সীমিত পরিমাণে (সারা দিনে ৩-৪টি) লিচু খেতে পারেন।