শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খালেদার হার্টে আরও দুটি ব্লক ধরা পড়েছে: চিকিৎসক

ছবি-সংগৃহীত

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার হার্টে আরও দুটি ব্লক পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

কিডনি ও লিভার জটিলতার কারণে তাকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়াকে পর্যবেক্ষণ করছে।

রবিবার (১২ জুন) তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত উনি শারীরিকভাবে যে অবস্থায় আছেন, চিকিৎসকদের বক্তব্য হল, ৭২ ঘণ্টা না গেলে…কোনো কমেন্ট করা ঠিক হবে না। সেজন্য উনারা কোনো মন্তব্য করা থেকে বিরত রয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘বাকি দুইটি ব্লকের বিষয়ে উনার শরীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তীতে ব্যবস্থা করা হবে। কারণ উনার ক্রনিক কিডনি ডিজিজ আছে, ক্রনিক লিভার ডিজিস আছে, এক্ষেত্রে যেসব ওষুধ ইউজ করতে হয়, তাতে কিডনির ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। সেজন্য আরও দুটি ব্লক অপসারণের কাজটি বাকি রাখা হয়েছে।’

সিসিইউতে খালেদাকে কার্ডিওলস্টিদের পর্যবেক্ষেণে রাখার কথা জানিয়ে জাহিদ বলেন, গতকাল ম্যাডামের হার্টে এনজিওগ্রাম করার পর তিনটা ব্লক পাওয়া যায়। একটা ব্লক মেইন গ্রেট ভেসেল, যেটা লেফট সাইডে, সেটায় মোর দ্য ৯৫ শতাংশ ব্লক ছিল। এ কারণে উনার হার্ট অ্যাটাক হয়…এনজিওগ্রামে ওখানে সঙ্গে সঙ্গে স্টেন্টিং করা হয়েছে।

গত শুক্রবার রাতে ৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকার বসুন্ধরায় এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে তার হৃদযন্ত্রে সমস্যা ধরা পড়লে এনজিওগ্রাম করার সিদ্ধান্ত হয়। শনিবার দুপুরে হার্টে একটি ব্লক অপসারণ করে সেখানে স্টেন্টিং করা হয়।

খালেদার হার্টে আরও দুটি ব্লক ধরা পড়েছে: চিকিৎসক

প্রকাশের সময় : ০৭:০৪:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জুন ২০২২

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার হার্টে আরও দুটি ব্লক পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

কিডনি ও লিভার জটিলতার কারণে তাকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়াকে পর্যবেক্ষণ করছে।

রবিবার (১২ জুন) তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত উনি শারীরিকভাবে যে অবস্থায় আছেন, চিকিৎসকদের বক্তব্য হল, ৭২ ঘণ্টা না গেলে…কোনো কমেন্ট করা ঠিক হবে না। সেজন্য উনারা কোনো মন্তব্য করা থেকে বিরত রয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘বাকি দুইটি ব্লকের বিষয়ে উনার শরীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তীতে ব্যবস্থা করা হবে। কারণ উনার ক্রনিক কিডনি ডিজিজ আছে, ক্রনিক লিভার ডিজিস আছে, এক্ষেত্রে যেসব ওষুধ ইউজ করতে হয়, তাতে কিডনির ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। সেজন্য আরও দুটি ব্লক অপসারণের কাজটি বাকি রাখা হয়েছে।’

সিসিইউতে খালেদাকে কার্ডিওলস্টিদের পর্যবেক্ষেণে রাখার কথা জানিয়ে জাহিদ বলেন, গতকাল ম্যাডামের হার্টে এনজিওগ্রাম করার পর তিনটা ব্লক পাওয়া যায়। একটা ব্লক মেইন গ্রেট ভেসেল, যেটা লেফট সাইডে, সেটায় মোর দ্য ৯৫ শতাংশ ব্লক ছিল। এ কারণে উনার হার্ট অ্যাটাক হয়…এনজিওগ্রামে ওখানে সঙ্গে সঙ্গে স্টেন্টিং করা হয়েছে।

গত শুক্রবার রাতে ৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকার বসুন্ধরায় এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে তার হৃদযন্ত্রে সমস্যা ধরা পড়লে এনজিওগ্রাম করার সিদ্ধান্ত হয়। শনিবার দুপুরে হার্টে একটি ব্লক অপসারণ করে সেখানে স্টেন্টিং করা হয়।