শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নেপালকে উড়িয়ে সাফের নতুন রানি বাংলাদেশ

ছবি-সংগৃহীত

নেপালকে উড়িয়ে সাফের নতুন রানি হয়েছে বাংলাদেশ। ভারতকে আগেই মসনদ থেকে সরিয়ে দিয়ে রানি হওয়ার মিশনে নেমেছিল বাংলাদেশ ও নেপাল। কিন্তু মসনদে বসার মিশনে নেপালকে পাত্তাই দেয়নি। স্বাগতিকদের উড়িয়ে দিয়ে ৩-১ গোলে জিতে আসরে অপরাজিত থেকে শিরোপার মুকুট পড়ে নেয় সাবিনা খাতুনের বাংলাদেশ। প্রথমার্ধে বাংলাদেশ ২-০ গোলে এগিয়েছিল। কৃষ্ণা রানী ২টি ও বদলি খেলোয়াড় শামসুন্নাহার জুনিয়র একটি গোল করেন।

নারী সাফের ষষ্ট আসরে গিয়ে বাংলার সূর্যকন্যারা সফল হলেন। একবারই, ২০১৬ সালে তারা ফাইনালে খেলেছিল। কিন্তু ভারতের সঙ্গে হেরেছিল ৩-১ গোলে। ভারত ছিল আগের পাঁচ আসরেরই চ্যাম্পিয়ন।

এবার সাবিনা-কৃষ্ণা-সানজিদারা দেশবাসীকে সাফের প্রথম শিরোপা উপহার দিয়েছেন অপরাজিত থেকে। ফাইনালে হজম করা গোলটি বাংলাদেশের জালে ছিল প্রথম। আবার বাংলাদেশের দেওয়া ৩ গোলও ছিল নেপালের এই আসরে প্রথম হজম করা।

বৃষ্টি ভেজা কর্দমাক্ত মাঠে দুই দলই নিজেদের স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারেনি। তারপরও বাংলাদেশ ভারী মাঠে খেলা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখে প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল। পরে ম্যাচ জিতে ৩-১ গোলে।

কাঠমান্ডুর দর্শক পরিপূর্ণ রঙ্গশালা দশরথ স্টেডিয়ামে ১৩ মিনিটে গোল করে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ডানপ্রান্ত থেকে মনিকা চাকমার ক্রস থেকে বদলি খেলোয়াড় শামসুন্নাহার জুনিয়র বক্সের ভেতর নেপালের দুইজন খেলোয়াড়ের সামনে থেকে প্লেসিং শটে গোল করে লাল-সবুজের বাংলাদেশকে উল্লাসে মাতিয়ে তুলেন। ৯ মিনিটে তিনি সিরাত জাহান স্বপ্নার বদলি হিসেবে নেমেই বাজিমাত করেন। ২৫ মিনিটে সাবিনা বিপজ্জনকভাবে বক্সে ডুকে পড়েছিলেন। সামনে ছিলেন নেপালের গোলরক্ষক আনজিলা একা। কিন্তু পেছনে থেকে এসে নেপালের রক্ষণভাগের একজন খেলোয়াড় প্রতিহত করেন।

নেপাল প্রথম বলার মতো সুযোগ পায় ৩৫ মিনিটে। অনিকার ফ্রি কিক গোলরক্ষক রুপমা চাকমা ঝাঁপিয়ে পড়ে কর্নার করে রক্ষা করেন। সেই কর্নার থেকে আবার গোল হজম করেই ফেলেছিল বাংলাদেশ। সেই অনিকার কর্নার থেকে সৃষ্ট ঝটলায় বল বাংলাদেশের জালে প্রবেশের ঠিক আগ মুহূর্তে গোল লাইন থেকে নিশ্চিত গোল রক্ষা করেন রক্ষণভাগের একজন খেলোয়াড়। নেপালের এই চাপ সামলে বাংলাদেশ আবার আক্রমণে গিয়ে গোল পেয়ে যায়। ৪১ মিনিটে ডি বক্সের সামনে থেকে বাংলাদেশর সাবিনা বাম প্রান্তে অনেকটা ফাঁকায় থাকা কৃষ্ণা রানী সরকারের কাছে বল ঠেলে দেন। কৃষ্ণা সেই বল ধরে বক্সে ডুকে বাম পায়ের জোড়ালো শটে নিশাানভেদ করেন।

দ্বিতীয়ার্ধে গোল পরিশোধের জন্য নেপাল বেশ চাপ সৃষ্টি করে। সেখানে তারা সফলও হয়। একটি গোল পরিশোধ করে আবার চাপও সৃষ্টি করে। সে সময় মনে হয়েছিল তারা খেলায় সমতা নিয়ে আসবে। কিন্তু গোলরক্ষক রুপমা চাকমার প্রতিরোধের কারণে নেপাল দ্বিতীয় গোল আর করতে পারেনি।

৫১ মিনিটে নেপাল গোল পরিশোধের একটি নিশ্চিত সুযোগ নষ্ট করে। ডান প্রান্ত থেকে অমিতার ক্রস ডি বক্সের মাঝে অনেকটা ফাঁকায় থেকে রেশমি কুমারির হেড বারের বাইরে দিয়ে চলে যায়। ৭০ মিনিটে অনিতা বক্সের ভেতের থেকে ডান পায়ের কোনাকুনি শটে গোলরক্ষক রুপমা চাকমাকে পরাজিত করে ব্যবধান কমিয়ে আনেন ২-১।

৭৬ মিনিটে আবার গোল করে বাংলাদেশ এগিয়ে যায়। মাঝ মাঠ থেকে বল পেয়ে কৃষ্ণা রানী সরকার এককভাবে বল নিয়ে বক্সের ভেতরে ডুকে ডান পায়ের শটে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোল করে বাংলাদেশের শিরোপার স্বপ্ন অনেকটা নিশ্চিত করে ফেলেন কৃষ্ণা।

নেপালকে উড়িয়ে সাফের নতুন রানি বাংলাদেশ

প্রকাশের সময় : ০৯:১২:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

নেপালকে উড়িয়ে সাফের নতুন রানি হয়েছে বাংলাদেশ। ভারতকে আগেই মসনদ থেকে সরিয়ে দিয়ে রানি হওয়ার মিশনে নেমেছিল বাংলাদেশ ও নেপাল। কিন্তু মসনদে বসার মিশনে নেপালকে পাত্তাই দেয়নি। স্বাগতিকদের উড়িয়ে দিয়ে ৩-১ গোলে জিতে আসরে অপরাজিত থেকে শিরোপার মুকুট পড়ে নেয় সাবিনা খাতুনের বাংলাদেশ। প্রথমার্ধে বাংলাদেশ ২-০ গোলে এগিয়েছিল। কৃষ্ণা রানী ২টি ও বদলি খেলোয়াড় শামসুন্নাহার জুনিয়র একটি গোল করেন।

নারী সাফের ষষ্ট আসরে গিয়ে বাংলার সূর্যকন্যারা সফল হলেন। একবারই, ২০১৬ সালে তারা ফাইনালে খেলেছিল। কিন্তু ভারতের সঙ্গে হেরেছিল ৩-১ গোলে। ভারত ছিল আগের পাঁচ আসরেরই চ্যাম্পিয়ন।

এবার সাবিনা-কৃষ্ণা-সানজিদারা দেশবাসীকে সাফের প্রথম শিরোপা উপহার দিয়েছেন অপরাজিত থেকে। ফাইনালে হজম করা গোলটি বাংলাদেশের জালে ছিল প্রথম। আবার বাংলাদেশের দেওয়া ৩ গোলও ছিল নেপালের এই আসরে প্রথম হজম করা।

বৃষ্টি ভেজা কর্দমাক্ত মাঠে দুই দলই নিজেদের স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারেনি। তারপরও বাংলাদেশ ভারী মাঠে খেলা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখে প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল। পরে ম্যাচ জিতে ৩-১ গোলে।

কাঠমান্ডুর দর্শক পরিপূর্ণ রঙ্গশালা দশরথ স্টেডিয়ামে ১৩ মিনিটে গোল করে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ডানপ্রান্ত থেকে মনিকা চাকমার ক্রস থেকে বদলি খেলোয়াড় শামসুন্নাহার জুনিয়র বক্সের ভেতর নেপালের দুইজন খেলোয়াড়ের সামনে থেকে প্লেসিং শটে গোল করে লাল-সবুজের বাংলাদেশকে উল্লাসে মাতিয়ে তুলেন। ৯ মিনিটে তিনি সিরাত জাহান স্বপ্নার বদলি হিসেবে নেমেই বাজিমাত করেন। ২৫ মিনিটে সাবিনা বিপজ্জনকভাবে বক্সে ডুকে পড়েছিলেন। সামনে ছিলেন নেপালের গোলরক্ষক আনজিলা একা। কিন্তু পেছনে থেকে এসে নেপালের রক্ষণভাগের একজন খেলোয়াড় প্রতিহত করেন।

নেপাল প্রথম বলার মতো সুযোগ পায় ৩৫ মিনিটে। অনিকার ফ্রি কিক গোলরক্ষক রুপমা চাকমা ঝাঁপিয়ে পড়ে কর্নার করে রক্ষা করেন। সেই কর্নার থেকে আবার গোল হজম করেই ফেলেছিল বাংলাদেশ। সেই অনিকার কর্নার থেকে সৃষ্ট ঝটলায় বল বাংলাদেশের জালে প্রবেশের ঠিক আগ মুহূর্তে গোল লাইন থেকে নিশ্চিত গোল রক্ষা করেন রক্ষণভাগের একজন খেলোয়াড়। নেপালের এই চাপ সামলে বাংলাদেশ আবার আক্রমণে গিয়ে গোল পেয়ে যায়। ৪১ মিনিটে ডি বক্সের সামনে থেকে বাংলাদেশর সাবিনা বাম প্রান্তে অনেকটা ফাঁকায় থাকা কৃষ্ণা রানী সরকারের কাছে বল ঠেলে দেন। কৃষ্ণা সেই বল ধরে বক্সে ডুকে বাম পায়ের জোড়ালো শটে নিশাানভেদ করেন।

দ্বিতীয়ার্ধে গোল পরিশোধের জন্য নেপাল বেশ চাপ সৃষ্টি করে। সেখানে তারা সফলও হয়। একটি গোল পরিশোধ করে আবার চাপও সৃষ্টি করে। সে সময় মনে হয়েছিল তারা খেলায় সমতা নিয়ে আসবে। কিন্তু গোলরক্ষক রুপমা চাকমার প্রতিরোধের কারণে নেপাল দ্বিতীয় গোল আর করতে পারেনি।

৫১ মিনিটে নেপাল গোল পরিশোধের একটি নিশ্চিত সুযোগ নষ্ট করে। ডান প্রান্ত থেকে অমিতার ক্রস ডি বক্সের মাঝে অনেকটা ফাঁকায় থেকে রেশমি কুমারির হেড বারের বাইরে দিয়ে চলে যায়। ৭০ মিনিটে অনিতা বক্সের ভেতের থেকে ডান পায়ের কোনাকুনি শটে গোলরক্ষক রুপমা চাকমাকে পরাজিত করে ব্যবধান কমিয়ে আনেন ২-১।

৭৬ মিনিটে আবার গোল করে বাংলাদেশ এগিয়ে যায়। মাঝ মাঠ থেকে বল পেয়ে কৃষ্ণা রানী সরকার এককভাবে বল নিয়ে বক্সের ভেতরে ডুকে ডান পায়ের শটে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোল করে বাংলাদেশের শিরোপার স্বপ্ন অনেকটা নিশ্চিত করে ফেলেন কৃষ্ণা।