শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যশোরের বাঘারপাড়ায় হামলাকারীদের হুমকি, পুলিশ নিরব 

  • যশোর অফিস।।
  • প্রকাশের সময় : ১০:২৩:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৩
  • ৬৬

যশোরের বাঘারপাড়ায় হামলাকারীদের হুমকিধামকি অব্যাহত পুলিশ নিরব 

যশোরের বাঘারপাড়ার চাড়াভিটা বাজার এলাকায় চারজনের ওপর হামলা চালিয়ে আহত ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা ছিনতাই ঘটনায় পুলিশ এখনও কোন মামলা নেয়নি। ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার করা হচ্ছে। এঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হলেও পুলিশ নিরব থাকায় মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে হামলাকারীরা। তারা নানাভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে অভিযোগ তুলে নেয়ার জন্য। বাঁদিও তার পরিবার সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
অভিযোগে জানা গেছে,গত ২২ জানুয়ারি রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বাঘারপাড়া উপজেলার চাড়াভিটা বাজারে দুর্বৃত্তদের হামলায় রঘুনাথপুর গ্রামের স্বপন সরকারের ছেলে যশোরের আব্দুল রাজ্জাক কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র রায়হান পারভেজ (১৭), ভাই নাইম ইসলাম (২২), জলিল শেখের ছেলে একলাছ শেখ (৩৫) ও আমির শেখ (৫০) আহত হয়। আহতদের মধ্যে রায়হানের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সে বাঘারপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ছিল। একটি তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ওই রাতে চাড়াভিটা বাজারে শালিস হওয়ার কথা ছিল। এ শালিসে যাওয়ার সময় পাকের আলী গ্রামের মৃত জাফর সরদারের ছেলে আমিনুর সরদারের নেতৃত্বে কুতুব, ইমন, আরিফ, সুমন, নারকেলবাড়িয়া গ্রামের রনু, রঘুনাথপুর গ্রামের হৃদয়, দক্ষিণ শ্রীরামপুর গ্রামের শরিফ, আলামিনসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৮/১০জন ওই চারজনের ওপর দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে আহত করে। এসময় তারা নাইমের কাছে থাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ব্যবসার ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এঘটনায় বাঘারপাড়া থানায় তাদের নামে অভিযোগ করা হলেও এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও কোন পদক্ষেপ নেয়নি পুলিশ। একারণে হামলাকারীদের হুমকি-ধামকির মধ্যে চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিনাতিপাত করছে বাদীপক্ষ। বাজারে ব্যবসা বাণিজ্য করতে ভয় পাচ্ছে তারা। হামলার পরে তিনদিন ধরে নাইমের পরিবহন কাউন্টার ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের দোকানসহ তিনটি দোকান বন্ধ করে দেয় দুর্বৃত্তরা। বর্তমানে তারা চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, চাড়াভিটা বাজার এলাকায় সন্ত্রাসী কুতুবের নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। তারা মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিবাদ করলে তাকে হুমকি ধামকি দেয়া হয়। হামলা চালিয়ে আহতও করা হয়। যার সর্বশেষ শিকার ওই চারজন। সম্প্রতি কুতুব মাদক মামলায় আটক হয়ে কারাগারে থাকার পর জামিনে বের হয়ে পুনরায় মাদক ব্যবসায় নেমে পড়েছে। তার নামে কয়েকটি মাদকসহ অন্য মামলা রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে।#
যশোরের চৌগাছায় মাছ ধরতে গিয়ে একজনের মৃত্যু
যশোরের চৌগাছায় কপোতাক্ষ নদে মাছ ধরতে গিয়ে আবুল খায়ের (৫৫) নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার ডাকবাংলোপাড়া সংলগ্ন কপোতাক্ষ শ্মশান ঘাটে এ দূর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আবুল খায়ের পৌরসভার (৮ নং ওয়ার্ড) মডেল পাড়ার বাসিন্দা ও মৃত আছর উদ্দীনের ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশসুত্রে জানা যায়, নিহত আবুল খায়ের শুক্রবার আনুমানিক বিকাল ৪টার দিকে মাছ ধরা খালোই, ঝাকি জাল ও টর্চ নিয়ে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে বের হন। রাত হলেও বাড়ি না ফেরায় খোজাখুজির পর ডাকবাংলোপাড়া সংলগ্ন কপোতাক্ষ শ্মশান ঘাটে তার লাশ ভেসে থাকতে দেখে স্থানীরা। পরে থানা পুলিশে খবর দিলে আনুমানিক রাত ১২টার দিকে দ্রুত পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। স্ট্রকজনিত কারনে মৃত্যু হতে পারে বলেও প্রাথমিক ধারনা করেছেন স্থানীরা।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম সবুজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে৷#
যশোরে রেক্টিফাইড স্প্রীরিট পানে ৩ জনের মৃত্যু
যশোর সদর উপজেলার আবাদ কচুয়া গ্রামে রেক্টিফাইড স্প্রীরিট পানে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি গত দুইদিনে মারা যাওয়া তিনজনের মধ্যে দুজনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে এবং শনিবার দুপুরে একজনের দাফনের প্রক্রিয়া চলছে। তবে বিষয়টি স্বীকার করছেন না মৃতের স্বজনরা।
নিহতরা হলেন, আবাদ কচুয়া গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে ইসলাম (৪৫), শাহাজাহানের ছেলে জাকির হোসেন (২৯) এবং আবু বক্কারের ছেলে আবুল কাশেম ওরফে বাগানে(৫৫)।
স্থানীয়রা জানান, নিহতরা সকলেই নেশাখোর। গত ২৫ তারিখ রাতে গ্রামের একটি মেহগনি বাগানে বসে ৫ জন রেক্টিফাইড স্প্রীরিট পান করে অসুস্থ হয়ে পড়লে গ্রাম্য চিকিৎসকের স্মরাণাপন্ন হয়। অবস্থার অবনতিতে বৃহস্পতিবার তথ্য গোপন করে তারা যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়। এদিন মারা যায় ইসলাম ও জাকির। তাদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আর শুক্রবার রাতে মারা যাওয়া বাগানে ওরফে কাশেমের কবর খনন চলছে।
আবাদ কচুয়া গ্রামের কৃষক আকরাম শেখ বলেন, তারা নেশা ভাং করে। সেদিন নেশা করে তারা বমি করেছিলো। প্রথমদিন দুইজন মারা যায় পরের দিন আরেকজন মারা গেছে।
চা দোকানি আবু বক্কার বলেন, ওরা দিনের বেলা প্রজা থাকে রাতের বেলা রাজা হয়। কিসব দামি দামি খাবার খায়। এই খাইয়ে এখন ঘুমোয় গেছে।
কচুয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আমির হোসেন বলেন, এরা একসাথেই ঘোরা ফেরা করে। নেশা করে। অধিকাংশই গরীব মানুষ। এলকো বা অন্যকিছু খেয়েছে। তারপর মারা গেছে। বৃহস্পতিবার মারা যায় ইসলাম ও জাকির, ইসলামের কবর হয়েছে আবাদ কচুয়া গ্রামে এবং জাকিরের দাফন হয়েছে শ্বশুর বাড়ি রামনগর গ্রামে। আর শুক্রবার রাতে মারা যাওয়া বাগানে ওরফে কাশেমের কবর খনন চলছে আবাদ কচুয়া গ্রামে। তিনি আরও জানান একই সাথে নেশা করা আশরাফ হোসেনের দুটো চোখ নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানতে পেরেছি।
তিনি আরো বলেন, ঘটনা ধামাচাপা দিতে মৃতের পরিবারের সদস্যরা হাসপাতাল থেকে স্ট্রোকে মৃত্যুবরণের সনদ সংগ্রহ করে নিয়ে এসেছে।
তবে আশরাফ হোসেনের স্ত্রী নাজমা বেগম এ দাবি নাকচ করে দিয়ে বলেন, আমার স্বামী বাজারে কাঠের ব্যবসা করে। সে নেশা ভাং করে না। এগুলো মিথ্যা কথা। তার চোখ নষ্ট হয়নি। তবে তিনি কোথায় সে বিষয়ে কোনো সদুত্তোর দেননি নাজমা বেগম।
মৃত ইসলামের বাড়িতে গেলে তার স্বজনরা দাবি করেন মানষিক চাপে স্ট্রোক করে তার মৃত্যু হয়েছে। গত ৭ দিন ধরে তিনি অসুস্থ ছিলেন।
এদিকে গ্রামবাসী রেক্টিফাইড স্প্রীরিট বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক আব্দুর রশিদ জানান, স্বজনরা তথ্য গোপন করে রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করেন। তবে রোগীদের পরীক্ষা নিরীক্ষা করে যতটুকু বোঝা গেছে, তারা অতিরিক্ত বা বিষাক্ত নেশাজাতীয় দ্রব্য পানে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, তিনজন মারা গেছে, আমরা তৃতীয় জনের মৃত্যুর বিষয়টি জানার পর মামলা প্রস্তুতি নিয়েছি। রেক্টিফাইড স্প্রীরিট পানে মারা গেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। কতজন অসুস্থ আছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংখ্যাটা জানা নেই। একজন অসুস্থ ছিলো ঠিক হয়ে গেছে বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। #
যশোরে গাঁজা ও ধারালো চাকু উদ্ধার, গ্রেফতার-২
যশোরে গাঁজা বেচাকেনার অভিযোগে শুক্রবার রাতে সদর পুলিশ ফাঁড়ীর সদস্যরা যশোর শহরের ১নং ওয়ার্ডস্থ মোল্যাপাড়া নদীর পাড় এলাকায় আলাদা অভিযান চালিয়ে তিনশ’ গ্রাম গাঁজা ও একটি ধারালো চাকুসহ আটক করেছে। আটককৃতরা হচ্ছে,যশোর শহরের মোল্যাপাড়ার মৃত খায়রুল ইসলামের জহিরুল ইসলাম ও শহরের মোল্যাপাড়া আমতলা মোশারফ এর বাড়ির ভাড়াটিয়া আব্দুর রব বাবুর ছেলে ইমন হোসেন। এ ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় আলাদা মাদক আইনে দু’টি মামলা হয়েছে।
সদর পুলিশ ফাঁড়ীর সদস্যরা শুক্রবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে যশোর পৌরসভা ১নং ওয়ার্ড মোল্যাপাড়া নদীর পাড় এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় রাত সাড়ে ৯ টায় মোল্যাপাড়া নগীর পাড় রমজানের চা দোকানের উত্তর পাশে ইমন হোসেনকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার কাছ থেকে দেড়শ’ গ্রাম গাঁজা ও একটি সিলভার সাদা রংয়ের ষ্টীলের ধারালো চাকু উদ্ধার করে। অপরদিকে,সদর ফাঁড়ীর অপরটিম শুক্রবার রাত পৌনে ৯ টায় মোল্যাপাড়া এলাকা থেকে জহিরুল ইসলামকে দেড়শ’ গ্রাম গাঁজাসহ গ্রেফতার করে। শনিবার গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করে।#

যশোরের বাঘারপাড়ায় হামলাকারীদের হুমকি, পুলিশ নিরব 

প্রকাশের সময় : ১০:২৩:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৩

যশোরের বাঘারপাড়ায় হামলাকারীদের হুমকিধামকি অব্যাহত পুলিশ নিরব 

যশোরের বাঘারপাড়ার চাড়াভিটা বাজার এলাকায় চারজনের ওপর হামলা চালিয়ে আহত ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা ছিনতাই ঘটনায় পুলিশ এখনও কোন মামলা নেয়নি। ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার করা হচ্ছে। এঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হলেও পুলিশ নিরব থাকায় মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে হামলাকারীরা। তারা নানাভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে অভিযোগ তুলে নেয়ার জন্য। বাঁদিও তার পরিবার সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
অভিযোগে জানা গেছে,গত ২২ জানুয়ারি রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বাঘারপাড়া উপজেলার চাড়াভিটা বাজারে দুর্বৃত্তদের হামলায় রঘুনাথপুর গ্রামের স্বপন সরকারের ছেলে যশোরের আব্দুল রাজ্জাক কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র রায়হান পারভেজ (১৭), ভাই নাইম ইসলাম (২২), জলিল শেখের ছেলে একলাছ শেখ (৩৫) ও আমির শেখ (৫০) আহত হয়। আহতদের মধ্যে রায়হানের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সে বাঘারপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ছিল। একটি তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ওই রাতে চাড়াভিটা বাজারে শালিস হওয়ার কথা ছিল। এ শালিসে যাওয়ার সময় পাকের আলী গ্রামের মৃত জাফর সরদারের ছেলে আমিনুর সরদারের নেতৃত্বে কুতুব, ইমন, আরিফ, সুমন, নারকেলবাড়িয়া গ্রামের রনু, রঘুনাথপুর গ্রামের হৃদয়, দক্ষিণ শ্রীরামপুর গ্রামের শরিফ, আলামিনসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৮/১০জন ওই চারজনের ওপর দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে আহত করে। এসময় তারা নাইমের কাছে থাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ব্যবসার ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এঘটনায় বাঘারপাড়া থানায় তাদের নামে অভিযোগ করা হলেও এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও কোন পদক্ষেপ নেয়নি পুলিশ। একারণে হামলাকারীদের হুমকি-ধামকির মধ্যে চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিনাতিপাত করছে বাদীপক্ষ। বাজারে ব্যবসা বাণিজ্য করতে ভয় পাচ্ছে তারা। হামলার পরে তিনদিন ধরে নাইমের পরিবহন কাউন্টার ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের দোকানসহ তিনটি দোকান বন্ধ করে দেয় দুর্বৃত্তরা। বর্তমানে তারা চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, চাড়াভিটা বাজার এলাকায় সন্ত্রাসী কুতুবের নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। তারা মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিবাদ করলে তাকে হুমকি ধামকি দেয়া হয়। হামলা চালিয়ে আহতও করা হয়। যার সর্বশেষ শিকার ওই চারজন। সম্প্রতি কুতুব মাদক মামলায় আটক হয়ে কারাগারে থাকার পর জামিনে বের হয়ে পুনরায় মাদক ব্যবসায় নেমে পড়েছে। তার নামে কয়েকটি মাদকসহ অন্য মামলা রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে।#
যশোরের চৌগাছায় মাছ ধরতে গিয়ে একজনের মৃত্যু
যশোরের চৌগাছায় কপোতাক্ষ নদে মাছ ধরতে গিয়ে আবুল খায়ের (৫৫) নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার ডাকবাংলোপাড়া সংলগ্ন কপোতাক্ষ শ্মশান ঘাটে এ দূর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আবুল খায়ের পৌরসভার (৮ নং ওয়ার্ড) মডেল পাড়ার বাসিন্দা ও মৃত আছর উদ্দীনের ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশসুত্রে জানা যায়, নিহত আবুল খায়ের শুক্রবার আনুমানিক বিকাল ৪টার দিকে মাছ ধরা খালোই, ঝাকি জাল ও টর্চ নিয়ে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে বের হন। রাত হলেও বাড়ি না ফেরায় খোজাখুজির পর ডাকবাংলোপাড়া সংলগ্ন কপোতাক্ষ শ্মশান ঘাটে তার লাশ ভেসে থাকতে দেখে স্থানীরা। পরে থানা পুলিশে খবর দিলে আনুমানিক রাত ১২টার দিকে দ্রুত পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। স্ট্রকজনিত কারনে মৃত্যু হতে পারে বলেও প্রাথমিক ধারনা করেছেন স্থানীরা।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম সবুজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে৷#
যশোরে রেক্টিফাইড স্প্রীরিট পানে ৩ জনের মৃত্যু
যশোর সদর উপজেলার আবাদ কচুয়া গ্রামে রেক্টিফাইড স্প্রীরিট পানে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি গত দুইদিনে মারা যাওয়া তিনজনের মধ্যে দুজনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে এবং শনিবার দুপুরে একজনের দাফনের প্রক্রিয়া চলছে। তবে বিষয়টি স্বীকার করছেন না মৃতের স্বজনরা।
নিহতরা হলেন, আবাদ কচুয়া গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে ইসলাম (৪৫), শাহাজাহানের ছেলে জাকির হোসেন (২৯) এবং আবু বক্কারের ছেলে আবুল কাশেম ওরফে বাগানে(৫৫)।
স্থানীয়রা জানান, নিহতরা সকলেই নেশাখোর। গত ২৫ তারিখ রাতে গ্রামের একটি মেহগনি বাগানে বসে ৫ জন রেক্টিফাইড স্প্রীরিট পান করে অসুস্থ হয়ে পড়লে গ্রাম্য চিকিৎসকের স্মরাণাপন্ন হয়। অবস্থার অবনতিতে বৃহস্পতিবার তথ্য গোপন করে তারা যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়। এদিন মারা যায় ইসলাম ও জাকির। তাদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আর শুক্রবার রাতে মারা যাওয়া বাগানে ওরফে কাশেমের কবর খনন চলছে।
আবাদ কচুয়া গ্রামের কৃষক আকরাম শেখ বলেন, তারা নেশা ভাং করে। সেদিন নেশা করে তারা বমি করেছিলো। প্রথমদিন দুইজন মারা যায় পরের দিন আরেকজন মারা গেছে।
চা দোকানি আবু বক্কার বলেন, ওরা দিনের বেলা প্রজা থাকে রাতের বেলা রাজা হয়। কিসব দামি দামি খাবার খায়। এই খাইয়ে এখন ঘুমোয় গেছে।
কচুয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আমির হোসেন বলেন, এরা একসাথেই ঘোরা ফেরা করে। নেশা করে। অধিকাংশই গরীব মানুষ। এলকো বা অন্যকিছু খেয়েছে। তারপর মারা গেছে। বৃহস্পতিবার মারা যায় ইসলাম ও জাকির, ইসলামের কবর হয়েছে আবাদ কচুয়া গ্রামে এবং জাকিরের দাফন হয়েছে শ্বশুর বাড়ি রামনগর গ্রামে। আর শুক্রবার রাতে মারা যাওয়া বাগানে ওরফে কাশেমের কবর খনন চলছে আবাদ কচুয়া গ্রামে। তিনি আরও জানান একই সাথে নেশা করা আশরাফ হোসেনের দুটো চোখ নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানতে পেরেছি।
তিনি আরো বলেন, ঘটনা ধামাচাপা দিতে মৃতের পরিবারের সদস্যরা হাসপাতাল থেকে স্ট্রোকে মৃত্যুবরণের সনদ সংগ্রহ করে নিয়ে এসেছে।
তবে আশরাফ হোসেনের স্ত্রী নাজমা বেগম এ দাবি নাকচ করে দিয়ে বলেন, আমার স্বামী বাজারে কাঠের ব্যবসা করে। সে নেশা ভাং করে না। এগুলো মিথ্যা কথা। তার চোখ নষ্ট হয়নি। তবে তিনি কোথায় সে বিষয়ে কোনো সদুত্তোর দেননি নাজমা বেগম।
মৃত ইসলামের বাড়িতে গেলে তার স্বজনরা দাবি করেন মানষিক চাপে স্ট্রোক করে তার মৃত্যু হয়েছে। গত ৭ দিন ধরে তিনি অসুস্থ ছিলেন।
এদিকে গ্রামবাসী রেক্টিফাইড স্প্রীরিট বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক আব্দুর রশিদ জানান, স্বজনরা তথ্য গোপন করে রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করেন। তবে রোগীদের পরীক্ষা নিরীক্ষা করে যতটুকু বোঝা গেছে, তারা অতিরিক্ত বা বিষাক্ত নেশাজাতীয় দ্রব্য পানে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, তিনজন মারা গেছে, আমরা তৃতীয় জনের মৃত্যুর বিষয়টি জানার পর মামলা প্রস্তুতি নিয়েছি। রেক্টিফাইড স্প্রীরিট পানে মারা গেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। কতজন অসুস্থ আছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংখ্যাটা জানা নেই। একজন অসুস্থ ছিলো ঠিক হয়ে গেছে বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। #
যশোরে গাঁজা ও ধারালো চাকু উদ্ধার, গ্রেফতার-২
যশোরে গাঁজা বেচাকেনার অভিযোগে শুক্রবার রাতে সদর পুলিশ ফাঁড়ীর সদস্যরা যশোর শহরের ১নং ওয়ার্ডস্থ মোল্যাপাড়া নদীর পাড় এলাকায় আলাদা অভিযান চালিয়ে তিনশ’ গ্রাম গাঁজা ও একটি ধারালো চাকুসহ আটক করেছে। আটককৃতরা হচ্ছে,যশোর শহরের মোল্যাপাড়ার মৃত খায়রুল ইসলামের জহিরুল ইসলাম ও শহরের মোল্যাপাড়া আমতলা মোশারফ এর বাড়ির ভাড়াটিয়া আব্দুর রব বাবুর ছেলে ইমন হোসেন। এ ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় আলাদা মাদক আইনে দু’টি মামলা হয়েছে।
সদর পুলিশ ফাঁড়ীর সদস্যরা শুক্রবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে যশোর পৌরসভা ১নং ওয়ার্ড মোল্যাপাড়া নদীর পাড় এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় রাত সাড়ে ৯ টায় মোল্যাপাড়া নগীর পাড় রমজানের চা দোকানের উত্তর পাশে ইমন হোসেনকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার কাছ থেকে দেড়শ’ গ্রাম গাঁজা ও একটি সিলভার সাদা রংয়ের ষ্টীলের ধারালো চাকু উদ্ধার করে। অপরদিকে,সদর ফাঁড়ীর অপরটিম শুক্রবার রাত পৌনে ৯ টায় মোল্যাপাড়া এলাকা থেকে জহিরুল ইসলামকে দেড়শ’ গ্রাম গাঁজাসহ গ্রেফতার করে। শনিবার গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করে।#