সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্বজুড়ে তীব্র ক্ষুধার মুখোমুখি ২৮ কোটি মানুষ

২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার আরও অবনতি হয়েছে। বিশ্বজুড়ে প্রায় ২৮ কোটি ২০ লাখ মানুষ সংঘাতের কারণে তীব্র ক্ষুধার্ত, বিশেষ করে গাজা ও সুদানে। জাতিসংঘের সংস্থা এবং উন্নয়ন গ্রুপ বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে।

খাদ্য নিরাপত্তা তথ্য নেটওয়ার্ক (এফএসআইএন) থেকে খাদ্য সংকটের সর্বশেষ বৈশ্বিক প্রতিবেদন অনুসারে, চরম আবহাওয়ার ঘটনা এবং অর্থনৈতিক ধাক্কা তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন হওয়া মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি করেছে। ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে এই সংখ্যা দুই কোটি ৪০ লাখ মানুষ বৃদ্ধি পেয়েছে।

তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এমন লোকের সংখ্যা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ২০২৩ সাল ছিল টানা পঞ্চম বছর। এই বছর বিশ্বের ১২টি দেশের অবস্থা অবনতি হওয়ায় প্রতিবেদনের তালিকায় খাদ্য নিরাপত্তাহীন লোকের সংখ্যা বেড়েছে।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) জরুরি অফিসের উপ-পরিচালক ফ্লেউর ওয়াউটার্স বলেন, ‘সুদান ও গাজা উপত্যকার মতো প্রধান খাদ্য সংকটের প্রেক্ষাপট ‘ আরও ভৌগোলিক অঞ্চল ‘নতুন বা তীব্র ধাক্কা’ অনুভব করেছে।

তিনি জানান, ২০১৬ সালে গ্লোবাল ফুড ক্রাইসিস নেটওয়ার্কের প্রথম প্রতিবেদনের পর থেকে খাদ্য নিরাপত্তাহীন মানুষের সংখ্যা ১০ কোটি ৮০ লাখ থেকে ২৮ কোটি ২০ লাখে উন্নীত হয়েছে। ইতিমধ্যে, সংশ্লিষ্ট এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত জনসংখ্যার অংশ দ্বিগুণ হয়ে ১১ শতাংশ থেকে ২২ শতাংশ হয়েছে। আফগানিস্তান, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো, ইথিওপিয়া, নাইজেরিয়া, সিরিয়া ও ইয়েমেনে খাদ্য সংকট আরও দীর্ঘায়িত হচ্ছে।

বিশ্বজুড়ে তীব্র ক্ষুধার মুখোমুখি ২৮ কোটি মানুষ

প্রকাশের সময় : ০২:৫৫:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার আরও অবনতি হয়েছে। বিশ্বজুড়ে প্রায় ২৮ কোটি ২০ লাখ মানুষ সংঘাতের কারণে তীব্র ক্ষুধার্ত, বিশেষ করে গাজা ও সুদানে। জাতিসংঘের সংস্থা এবং উন্নয়ন গ্রুপ বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে।

খাদ্য নিরাপত্তা তথ্য নেটওয়ার্ক (এফএসআইএন) থেকে খাদ্য সংকটের সর্বশেষ বৈশ্বিক প্রতিবেদন অনুসারে, চরম আবহাওয়ার ঘটনা এবং অর্থনৈতিক ধাক্কা তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন হওয়া মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি করেছে। ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে এই সংখ্যা দুই কোটি ৪০ লাখ মানুষ বৃদ্ধি পেয়েছে।

তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এমন লোকের সংখ্যা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ২০২৩ সাল ছিল টানা পঞ্চম বছর। এই বছর বিশ্বের ১২টি দেশের অবস্থা অবনতি হওয়ায় প্রতিবেদনের তালিকায় খাদ্য নিরাপত্তাহীন লোকের সংখ্যা বেড়েছে।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) জরুরি অফিসের উপ-পরিচালক ফ্লেউর ওয়াউটার্স বলেন, ‘সুদান ও গাজা উপত্যকার মতো প্রধান খাদ্য সংকটের প্রেক্ষাপট ‘ আরও ভৌগোলিক অঞ্চল ‘নতুন বা তীব্র ধাক্কা’ অনুভব করেছে।

তিনি জানান, ২০১৬ সালে গ্লোবাল ফুড ক্রাইসিস নেটওয়ার্কের প্রথম প্রতিবেদনের পর থেকে খাদ্য নিরাপত্তাহীন মানুষের সংখ্যা ১০ কোটি ৮০ লাখ থেকে ২৮ কোটি ২০ লাখে উন্নীত হয়েছে। ইতিমধ্যে, সংশ্লিষ্ট এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত জনসংখ্যার অংশ দ্বিগুণ হয়ে ১১ শতাংশ থেকে ২২ শতাংশ হয়েছে। আফগানিস্তান, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো, ইথিওপিয়া, নাইজেরিয়া, সিরিয়া ও ইয়েমেনে খাদ্য সংকট আরও দীর্ঘায়িত হচ্ছে।