শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই গ্রামবাসীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, আহত ৫০

দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ। ছবি: সংগৃহীত

ধান শুকানোর খলার দখল নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে অর্ধ শতাধিক আহত হয়েছেন।আজ বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সরাইল উপজেলার পরমানন্দপুর গ্রামের সোনাউল্লাহ গোষ্ঠীর মান্নান মিয়ার সাথে বুইল্লার বাড়ির রাশিদ মিয়ার মধ্যে ধান শুকানোর খলা দখল নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। খবর পেয়ে ওই দুই গোষ্ঠীর লোকজন পরমানন্দপুর চান্দালের মাঠে মুখোমুখি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ লিপ্ত হয়। পরে সোনাউল্লাহর পক্ষে যোগ দেয় খাঁবাড়ি, কৈবতবাড়ির লোকজন।

অপরদিকে বুইল্লার বাড়ির সাথে যোগ দেয় বুদ্ধির গোষ্ঠী, বড়বাড়ি ও উজিবাড়ির লোকজন। পুরো গ্রামই দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের নেতৃত্ব দেন সানাউল্লাহ গোষ্ঠীর কাঞ্চন মিয়া এবং বুইল্লার দলের পক্ষে জিয়াউল আমিন। ৩ ঘণ্টা ধরে চলা এই সংঘর্ষে ৫০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।

এরমধ্যে গুরুতর আহত ওসমান মিয়া (৫৫), কাঞ্চন মিয়া (১৬), টাক্কাবালি (১৬), জিয়াউর রহমান (১৬) ও মন মিয়াকে (৩০) ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অন্য আহতদের সরাইল, ভৈরব ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়। ৯টা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলার পর পুলিশ সেখানে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  (ওসি) এমরান হোসেন জানান, রাবার বুলেট ও টিয়ার সেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ঘটনাস্থল থেকে এ পর্যন্ত ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই গ্রামবাসীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, আহত ৫০

প্রকাশের সময় : ০১:৫৪:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

ধান শুকানোর খলার দখল নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে অর্ধ শতাধিক আহত হয়েছেন।আজ বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সরাইল উপজেলার পরমানন্দপুর গ্রামের সোনাউল্লাহ গোষ্ঠীর মান্নান মিয়ার সাথে বুইল্লার বাড়ির রাশিদ মিয়ার মধ্যে ধান শুকানোর খলা দখল নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। খবর পেয়ে ওই দুই গোষ্ঠীর লোকজন পরমানন্দপুর চান্দালের মাঠে মুখোমুখি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ লিপ্ত হয়। পরে সোনাউল্লাহর পক্ষে যোগ দেয় খাঁবাড়ি, কৈবতবাড়ির লোকজন।

অপরদিকে বুইল্লার বাড়ির সাথে যোগ দেয় বুদ্ধির গোষ্ঠী, বড়বাড়ি ও উজিবাড়ির লোকজন। পুরো গ্রামই দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের নেতৃত্ব দেন সানাউল্লাহ গোষ্ঠীর কাঞ্চন মিয়া এবং বুইল্লার দলের পক্ষে জিয়াউল আমিন। ৩ ঘণ্টা ধরে চলা এই সংঘর্ষে ৫০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।

এরমধ্যে গুরুতর আহত ওসমান মিয়া (৫৫), কাঞ্চন মিয়া (১৬), টাক্কাবালি (১৬), জিয়াউর রহমান (১৬) ও মন মিয়াকে (৩০) ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অন্য আহতদের সরাইল, ভৈরব ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়। ৯টা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলার পর পুলিশ সেখানে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  (ওসি) এমরান হোসেন জানান, রাবার বুলেট ও টিয়ার সেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ঘটনাস্থল থেকে এ পর্যন্ত ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে।