শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৪২ জেলায় মৃদু দাবদাহ

ফাইল ছবি

দেশের ৪২টি জেলার উপর দিয়ে মৃদু দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। যার আরও বিস্তার ঘটতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। গতকাল মঙ্গলবার (১৪ মে) সন্ধ্যার বুলেটিনে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও সিলেট বিভাগের সব জেলা এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, রাঙ্গামাটি, নোয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, কক্সবাজার, ভোলা ও পটুয়াখালীর ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ বুধবার (১৫ মে) সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। ১৮ মে পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়ার এই ধারা চলতে পারে। তারপর হতে পারে ‘স্বস্তির বৃষ্টি’।

গতকাল মঙ্গলবার নীলফামারীর সৈয়দপুরে দেশের সর্বোচ্চ ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বগুড়ায় দেশের সর্বোচ্চ ১৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। মোংলায় হয়েছে ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত। এর বাইরে আর কোথাও পরিমাপযোগ্য বৃষ্টি হয়নি। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

চলতি মৌসুমে ৩১ মার্চ থেকে তাপপ্রবাহ শুরু হয়, যা ৬ মে পর্যন্ত টানা ৩৭ দিন ধরে চলে। গত সপ্তাহে ঝড়-বৃষ্টির প্রবণতা ছিল। গত সোমবার (১৩ মে) থেকে আবার দেশে তাপপ্রবাহ শুরু হয়, সেদিন সাত জেলায় দাবদাহ ছিল; যা ক্রমেই নতুন নতুন জেলায় ছড়িয়ে মঙ্গলবার (১৪ মে) ৪২টিতে ঠেকেছে।

বাতাসে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম হলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ ধরা হয়। ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে বলা হয় মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। আর তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির ওপরে উঠলে তাকে বলা হয় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ। টানা দাবদাহের মধ্যে ৩০ এপ্রিল যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠে। চুয়াডাঙ্গায় সেদিন থার্মোমিটারের পারদ ওঠে ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলিসিয়াসে। আর ঢাকায় তাপমাত্রা উঠে ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রিতে।

মে মাসের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি মাসে দেশের কোথাও কোথাও এক থেকে তিনটি মৃদু অথবা মাঝারি তাপপ্রবাহ এবং এক থেকে দুটি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। বঙ্গোপসাগরে এক বা দুটি লঘুচাপ হতে পারে। যার মধ্যে একটি মাসের দ্বিতীয়ার্ধে নিম্নচাপ অথবা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। চলতি মাসে নদ-নদীতে স্বাভাবিক প্রবাহ বিরাজ থাকতে পারে। তবে উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কোথাও কোথাও পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে।

৪২ জেলায় মৃদু দাবদাহ

প্রকাশের সময় : ১০:১২:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪

দেশের ৪২টি জেলার উপর দিয়ে মৃদু দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। যার আরও বিস্তার ঘটতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। গতকাল মঙ্গলবার (১৪ মে) সন্ধ্যার বুলেটিনে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও সিলেট বিভাগের সব জেলা এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, রাঙ্গামাটি, নোয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, কক্সবাজার, ভোলা ও পটুয়াখালীর ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ বুধবার (১৫ মে) সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। ১৮ মে পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়ার এই ধারা চলতে পারে। তারপর হতে পারে ‘স্বস্তির বৃষ্টি’।

গতকাল মঙ্গলবার নীলফামারীর সৈয়দপুরে দেশের সর্বোচ্চ ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বগুড়ায় দেশের সর্বোচ্চ ১৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। মোংলায় হয়েছে ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত। এর বাইরে আর কোথাও পরিমাপযোগ্য বৃষ্টি হয়নি। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

চলতি মৌসুমে ৩১ মার্চ থেকে তাপপ্রবাহ শুরু হয়, যা ৬ মে পর্যন্ত টানা ৩৭ দিন ধরে চলে। গত সপ্তাহে ঝড়-বৃষ্টির প্রবণতা ছিল। গত সোমবার (১৩ মে) থেকে আবার দেশে তাপপ্রবাহ শুরু হয়, সেদিন সাত জেলায় দাবদাহ ছিল; যা ক্রমেই নতুন নতুন জেলায় ছড়িয়ে মঙ্গলবার (১৪ মে) ৪২টিতে ঠেকেছে।

বাতাসে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম হলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ ধরা হয়। ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে বলা হয় মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। আর তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির ওপরে উঠলে তাকে বলা হয় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ। টানা দাবদাহের মধ্যে ৩০ এপ্রিল যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠে। চুয়াডাঙ্গায় সেদিন থার্মোমিটারের পারদ ওঠে ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলিসিয়াসে। আর ঢাকায় তাপমাত্রা উঠে ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রিতে।

মে মাসের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি মাসে দেশের কোথাও কোথাও এক থেকে তিনটি মৃদু অথবা মাঝারি তাপপ্রবাহ এবং এক থেকে দুটি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। বঙ্গোপসাগরে এক বা দুটি লঘুচাপ হতে পারে। যার মধ্যে একটি মাসের দ্বিতীয়ার্ধে নিম্নচাপ অথবা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। চলতি মাসে নদ-নদীতে স্বাভাবিক প্রবাহ বিরাজ থাকতে পারে। তবে উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কোথাও কোথাও পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে।