শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এমপি নাবিলের বিরুদ্ধে নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ

যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার অভিযোগ এনেছেন যশোর সদর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ার। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নির্বাচন কমিশন একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে চাইলেও সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ ও তার সমর্থিত প্রার্থী ভয়ভীতি ও ত্রাস সৃষ্টি করছেন। আজ বিকেলে প্রেসক্লাব যশোরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে  ফাতেমা আনোয়ার বলেন, স্থানীয় সাংসদের পক্ষে কোন চেয়ারম্যান প্রার্থী থাকবেনা মর্মে প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট আদেশ থাকা সত্ত্বেও যশোর সদর (যশোর-৩) আসনের সাংসদ কাজী নাবিল আহম্মেদ জেলা আওয়ালীগ কর্তৃক সদ্য বহিঃস্কৃত, বিতর্কিত,একাধিক চাঁদাবাজি,স্বর্ণ ও অবৈধ অস্ত্র চোরাচালান মামলার জামিন প্রাপ্ত আসামি আনোয়ার হোসেন বিপুলকে তাঁর মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ঘোষনা দিয়েছেন। তিনি দলীয় নেতাকর্মী, স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান,ওয়ার্ড আওয়ালীগের নেতাকর্মীদের নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারে সরাসরি হুকুম প্রদান করছেন। তাঁর মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনে অংশ না নিলে দলীয় পদ হারানোসহ বিভিন্ন সরকারি আর্থিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হবে মর্মে হুমকি দিয়েছেন। নেতাকর্মীদের ডেকে সরাসরি বলেছেন যে, তিনি স্থানীয় সাংসদ। তিনি আরো ৪ বছর এমপি হিসেবে আছেন বিধায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের সকল আর্থিক ক্ষাত তার হাতে রয়েছে। তিনি বলেন যে, তার মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে যদি কাজ না করা হয় তাহলে চেয়ারম্যান ও তাদের সহযোগী অঙ্গ-সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে এবং সরকারী আর্থিক সুবিধা (ডিজিএফ, ভিজিডি, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃকালীন ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা) থেকে বঞ্চিত করবেন। এছাড়াও উপজেলার সকল ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের পদ হারানোর ভয়ভীতি প্রদর্শণ করছেন তিনি। এমনকি স্থানীয় সাংসদের নির্দেশের বাহিরে যে সকল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী কাজ করবে তাদের নামের তালিকা তৈরি করছেন।

ফাতেমা আনোয়ার আরো বলেন,স্থানীয় সাংসদের প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ার হোসেন বিপুল তার পক্ষের কিশোর গ্যাং ও সন্ত্রাসীদের দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় পেশী শক্তি প্রদর্শণ করছেন। অবৈধ অস্ত্রশস্ত্রে সর্জিত হয়ে গভীর রাতে বাড়ী বাড়ী গিয়ে কর্মী সমর্থকদের হুমকি দিচ্ছে। এমতাবস্থায় সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্বাচন কমিশনের চেষ্টা ব্যর্থ হবে। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে ফাতেমা আনোয়ারের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট এড, আকরাম হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মীর জহিরুল হকসহ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এমপি নাবিলের বিরুদ্ধে নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ০৭:২৮:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪

যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার অভিযোগ এনেছেন যশোর সদর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ার। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নির্বাচন কমিশন একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে চাইলেও সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ ও তার সমর্থিত প্রার্থী ভয়ভীতি ও ত্রাস সৃষ্টি করছেন। আজ বিকেলে প্রেসক্লাব যশোরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে  ফাতেমা আনোয়ার বলেন, স্থানীয় সাংসদের পক্ষে কোন চেয়ারম্যান প্রার্থী থাকবেনা মর্মে প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট আদেশ থাকা সত্ত্বেও যশোর সদর (যশোর-৩) আসনের সাংসদ কাজী নাবিল আহম্মেদ জেলা আওয়ালীগ কর্তৃক সদ্য বহিঃস্কৃত, বিতর্কিত,একাধিক চাঁদাবাজি,স্বর্ণ ও অবৈধ অস্ত্র চোরাচালান মামলার জামিন প্রাপ্ত আসামি আনোয়ার হোসেন বিপুলকে তাঁর মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ঘোষনা দিয়েছেন। তিনি দলীয় নেতাকর্মী, স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান,ওয়ার্ড আওয়ালীগের নেতাকর্মীদের নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারে সরাসরি হুকুম প্রদান করছেন। তাঁর মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনে অংশ না নিলে দলীয় পদ হারানোসহ বিভিন্ন সরকারি আর্থিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হবে মর্মে হুমকি দিয়েছেন। নেতাকর্মীদের ডেকে সরাসরি বলেছেন যে, তিনি স্থানীয় সাংসদ। তিনি আরো ৪ বছর এমপি হিসেবে আছেন বিধায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের সকল আর্থিক ক্ষাত তার হাতে রয়েছে। তিনি বলেন যে, তার মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে যদি কাজ না করা হয় তাহলে চেয়ারম্যান ও তাদের সহযোগী অঙ্গ-সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে এবং সরকারী আর্থিক সুবিধা (ডিজিএফ, ভিজিডি, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃকালীন ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা) থেকে বঞ্চিত করবেন। এছাড়াও উপজেলার সকল ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের পদ হারানোর ভয়ভীতি প্রদর্শণ করছেন তিনি। এমনকি স্থানীয় সাংসদের নির্দেশের বাহিরে যে সকল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী কাজ করবে তাদের নামের তালিকা তৈরি করছেন।

ফাতেমা আনোয়ার আরো বলেন,স্থানীয় সাংসদের প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ার হোসেন বিপুল তার পক্ষের কিশোর গ্যাং ও সন্ত্রাসীদের দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় পেশী শক্তি প্রদর্শণ করছেন। অবৈধ অস্ত্রশস্ত্রে সর্জিত হয়ে গভীর রাতে বাড়ী বাড়ী গিয়ে কর্মী সমর্থকদের হুমকি দিচ্ছে। এমতাবস্থায় সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্বাচন কমিশনের চেষ্টা ব্যর্থ হবে। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে ফাতেমা আনোয়ারের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট এড, আকরাম হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মীর জহিরুল হকসহ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।